সংক্ষিপ্ত

পাকিস্তানকে কড়া জবাব ভারতের। রাষ্ট্র সংঘের অধিবেশনে জয়শঙ্কর আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রবাদের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তিনি অভিযোগ করেন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ।

 

 

রাষ্ট্র সংঘের নিরাপত্তা পরিবষদের কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করার পরে ভারত বুধবার পাকিস্তানের তীব্র সমালোচনা করে। আল-কায়দা নেতা ওসমা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেওয়া ও প্রতিবেশী দেশ ভারতের সংসদে হামলার প্রসঙ্গ উত্থাপন করে। ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন জাতি সংঘের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে আমাদের সময়ের প্রধান চ্যালেঞ্জগুলির কার্যকর প্রতিক্রিয়ার ওপর। তা মহামারি, জলবায়ু পরিবর্কন, সংঘাত বা সন্ত্রাস- যাইহোক না কেন। আমরা স্পষ্টতই আজ বহু পাক্ষিকতাবাদের সংস্কারের ওপর জোর দিচ্ছি। আমাদের স্বভাবতই প্রত্যেকটি বিষয় নিজেদের মতামত থাকা প্রয়োজন। তবে ক্রমবর্ধমান অভিসন্ধি রয়েছে যা এটিকে আর বিলম্বিত করা যায় না। রাষ্ট্র সংঘের এই অধিবেশনে ভারতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়েছে।

রাষ্ট্র সংঘের অধিবেশনে জয়শঙ্কর আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রবাদের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। তিনি অভিযোগ করেন রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চলছে আন্তঃসীমান্ত সন্ত্রাসবাদ। কিন্তু যখন আমরা এর সর্বোত্তম সমাধানের সন্ধান করি তখন আমাদের এই মত কখনই মেনে নেওয়া উচিৎ নয় যে এটি জাতীয় স্বাভাবিকীকরণ। কারণ গোটা বিশ্বই সন্ত্রাসবাদকে অগ্রহণযোগ্য বলে মনে করেছে। আর সেই সন্ত্রাসবাদকে স্বীকৃতি দেওয়ার প্রশ্নই ওঠে না। তিনি স্পষ্ট ভাষায় বলেন যারা ওসামা বিন লাদেনকে আশ্রয় দেয় আর আর প্রতিবেশী দেশের পার্লামেন্টে হামলা চালায় তারা কখনই কাউন্সিলের সামনে উপদেশ দিতে পারে না।

জয়শঙ্কর মঙ্গলবার রাষ্ট্রসংঘে সন্ত্রাসদমন ও সংস্কারকৃত বহুপাক্ষিকতার উপর দুটি ইভেন্টের সভাপতিত্ব করেন। নিরাপত্তা পরিষদের বর্তমান সভাপতিত্বে ভারতের অধীনেই অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই মাসে ক্ষমতাবানদের নির্বাচিত সদস্য হিসেবে

এবারই রাষ্ট্র সংঘের অধিবেশনে পাকিস্তানের বিদেশমন্ত্রী বিলাওয়াল ভুট্টো কাশ্মীর ইস্যু উত্থাপন করে। তারপরই জয়শঙ্কর তার তীব্র প্রতিক্রিয়া জানান। পররাষ্ট্র মন্ত্রী বুধবার জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদে "আন্তর্জাতিক শান্তি ও নিরাপত্তার রক্ষণাবেক্ষণ: সংস্কারকৃত বহুপাক্ষিকতার জন্য নতুন অভিমুখ" শীর্ষক উন্মুক্ত বিতর্কে সভাপতিত্ব করেন, এটি ১৫-দেশের পরিষদের ভারতের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একটি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে। এই বিষয়ে বিতর্কে অংশ নিয়েছিল ৬০টিরও বেশি দেশ। যার মধ্যে ছিলেন পাকিস্তানের বিলাওয়াল ভুট্টো।

জয়শঙ্কর শুধু ভারতের কথাই বলেননি, তিনি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১১ সেপ্টেম্বর হামালার কথাও তুলে ধরেন। বলেন ওসামা বিন লাদেন, যিনি পাকিস্তানের অ্যাবোটাবাদ শহরে দীর্ঘদিন ধরেই বসবাস করছিল। তাঁকে আশ্রয় দিয়েছিল পাকিস্তান। ২০২১ সালের মার্কিন নৌবাহিনীর একটি গোপন অভিযানে সে নিহত হয়। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন লস্কত-ই-তৈবা, জইশ-ই-মোহম্মদের সন্ত্রাসবাদীকে ১৩ বছর আগে ভারতের পার্লামেন্টে হামলা চালিয়েছিল- সেই ঘটনায় ১৩ জন নিহত হয়েছিল।

ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে রীতিমত উত্তপ্ত পরিবেশ। কারণ গত ২০১৯ সালের ৫ অগস্ট জম্মু ও কাশ্মীরের বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহার করে নেয় ভারত। বাতিল করে ৩৭০ ধারা। যার তীব্র বিরোধিতা করে পাকিস্তান। তারপর থেকেই ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের দূরত্ব বাড়তে থাকে। কিন্তু এদিনও ভারত স্পষ্ট করে দিয়েছে জম্মু ও কাশ্মীরের বিষয় ভারতের অভ্যন্তরীন। কাশ্মীর বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারও ভারতের নিজস্ব বিষয়। পাশাপাশি পাকিস্তানকে ভারত বিরোধী প্রচার বন্ধ করার পরামর্শও দিয়েছে ভারত।

আরও পড়ুনঃ

নারী অধিকার সংস্থা থেকে বহিষ্কৃত ইরান, রাষ্ট্রসঙ্ঘের সিদ্ধান্তে ভোটদান থেকে সরে দাঁড়াল ভারত

সমলিঙ্গের বিয়েতে স্বীকৃতি দিলেন জো বাইডেন, সমানাধিকারের পথে একধাপ এগিয়ে গেল আমেরিকা

ইমরান খানের রাজনৈতিক জীবনে ইতি? তেমনই রাস্তা তৈরি করছে পাকিস্তানের নির্বাচন কমিশন