সংক্ষিপ্ত

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেছেন যে ইউএসএস জেরাল্ড আর. ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ক্রুজার এবং ডেস্ট্রয়ারের সাথে ৫ হাজার নৌ কর্মী এবং যুদ্ধ বিমানও ইজরায়েলকে সাহায্য করার জন্য পাঠানো হচ্ছে।

ইজরায়েল এবং হামাসের মধ্যে সংঘা অব্যাহত। তারই মাঝে বড় পদক্ষেপ নিল আমেরিকা। ইজরায়েলকে সাহায্য করতে তাদের যুদ্ধজাহাজ পাঠিয়েছে আমেরিকা। রবিবার অর্থাৎ ৮ অক্টোবর রাতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন এ নির্দেশ দেন। মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন নৌবাহিনীর 'ফোর্ড ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ'কে ইজরায়েলকে সহায়তা করতে পূর্ব ভূমধ্যসাগরে যাওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া এ এলাকায় আমেরিকান ফাইটার প্লেনের টহলও বাড়ানো হচ্ছে।

মার্কিন প্রতিরক্ষা সচিব লয়েড অস্টিন বলেছেন যে ইউএসএস জেরাল্ড আর. ইউএসএস জেরাল্ড আর ফোর্ড ক্যারিয়ারের পাশাপাশি ক্রুজার এবং ডেস্ট্রয়ারের সাথে ৫ হাজার নৌ কর্মী এবং যুদ্ধ বিমানও ইজরায়েলকে সাহায্য করার জন্য পাঠানো হচ্ছে। আমাদের উদ্দেশ্য হলো হামাসের কাছে অতিরিক্ত অস্ত্র যাতে পৌঁছাতে না পারে তা পর্যবেক্ষণ করা এবং প্রতিরোধ করা।

ফোর্ড ছাড়াও আমেরিকা ক্রুজার ইউএসএস নরম্যান্ডি, ডেস্ট্রয়ার 'ইউএসএস থমাস হাডনার', 'ইউএসএস রামেজ', 'ইউএসএস কার্নি' এবং 'ইউএসএস রুজভেল্ট' পাঠাচ্ছে। এছাড়াও, মার্কিন বিমান বাহিনীর F-35, F-15, F-16 এবং A-10 যুদ্ধবিমান স্কোয়াড্রনও ওই এলাকায় পাঠানো হচ্ছে। জেনে রাখা ভালো যে 'ফোর্ড ক্যারিয়ার স্ট্রাইক গ্রুপ' ইতিমধ্যেই ভূমধ্যসাগরে ছিল। গত সপ্তাহে এটি আয়োনিয়ান সাগরে ইতালির সাথে নৌ মহড়ায় জড়িত ছিল। এটি আমেরিকার সর্বশেষ এবং সবচেয়ে উন্নত বিমানবাহী রণতরী এবং এই অভিযান এটির প্রথম পূর্ণাঙ্গ সমরাভিযান।

রবিবারই ইজরায়েলের প্রেসিডেন্ট বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর সঙ্গে কথা বলেছেন বাইডেন। সেখানে তিনি প্রতিরক্ষা খাতে আনুষঙ্গিক সাহায্য করার আশ্বাস দিয়েছেন ইহুদি-প্রধান দেশটিকে। পরে হোয়াইট হাউসের তরফে একটি বিবৃতি দিয়ে বলা হয়, “ইজরায়েলের কোনও শত্রু যেন এমনটা মনে না করে যে, তারা বর্তমান পরিস্থিতির সুযোগ নিতে পারবে।” এই বিবৃতিতে পরোক্ষে হামাসকেই বার্তা দেওয়া হয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।