সংক্ষিপ্ত
জার্মান মহিলা শনি লুক ইজরায়েলের একটি গানের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও ছিল হামাস জঙ্গিদের নিশানায়। অনুষ্ঠান থেকেই শনিকে অপহরণ করা হয়েছিল।
ইসরায়েল প্যালেস্টাইন দ্বান্দ্ব এখনও অব্যাহত। তারই মধ্যে একাধিক ভিডিও ফুটেজ প্রকাশ্যে আসছে। যা যুদ্ধের ভয়াবহতার কথাও স্মরণ করিয়ে দিচ্ছে। সম্প্রতি তেমনই একটি ভিডিও ভিডিও ভাইরাল হয়েছিল জার্মান ট্যাটু শিল্পিকে নিয়ে। যাকে নগ্ন অবস্থায় গাড়িতে করে নিয়ে ঘুরেছিল হামাস জঙ্গিরা। অবশেষে সেই মহিলার মৃতদেহের সন্ধান পাওয়া গেছে। শনাক্তও করা হয়েছে বলে সোমবার ইজরায়েল জানিয়েছেন।
জার্মান মহিলা শনি লুক ইজরায়েলের একটি গানের অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে গিয়েছিলেন। সেই সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানও ছিল হামাস জঙ্গিদের নিশানায়। অনুষ্ঠান থেকেই শনিকে অপহরণ করা হয়েছিল। সোমবার ইজরায়েল শনির মৃতর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। তাঁর মাকেও সবকিছু জামাম হয়েছে। ইজরায়েল জানিয়েছেন, মহিলা ইজরায়েলের ট্রাইব অব সুপারনোভা মিউজিক ফেস্টিভ্যালে উপস্থিত হয়েছিল।
সোশ্যাল মিডিয়ায় বিরক্তিকর ভিডিও
ইজরায়েল- গাজা দ্বন্দ্বের মধ্যেই হামাস জঙ্গিদের অমানবিক কীর্তি। প্যালেস্টাইনের হামাসরা একটি পিকআপ ভ্যানের পিছনে এক নগ্ন জার্মান মহিলার দেহ নিয়ে প্যারেড করল ইজরায়েলের রাস্তায়। ক্ষতবিক্ষত মহিলার দেহ ইজরায়েলের সাধারণ মানুষের মনে শুধুমাত্র উদ্বেগ আর ভয় তৈরি করল। যদিও তাণ্ডবের মধ্যে মহিলার দেহ নিয়ে তাণ্ডবের সময় অনেক জঙ্গি মহিলার দেহে লাথি মারে, থুথু ছিটিয়ে দেয়। ভিডিওতে আরও দেখা গেছে গাড়িটি ঘিরে রেখেছে অনেক মানুষ। তারা আতঙ্কে কান্নাকাটি করছে।
জার্মান মহিলা
হামাসরা প্রথমে দাবি করেছি নগ্ন মহিলা ইজরায়েলি সেনার সদস্য। কিন্তু সোশ্যাল মিডিয়া ভাইরাল হওয়া ছবি দেখে একটি জার্মান পরিবার জানিয়েছে মহিলা তাদের পরিবারের সদস্য। তার নাম শানি। পেশায় একজন ট্যাটুশিল্পি। তাঁর মা ও বোন তাঁকে শনাক্ত করেছে। মহিলার এক আত্মীয় জানিয়েছেন, এক গানের অনুষ্ঠানে যোগ দিতে তিনি ইজরায়েলে গিয়েছিলেন। হামাসরা প্রথমে যেখানে আক্রমণ করেছিল তার মধ্যে অনুষ্ঠান স্থল ছিল। প্রাথমিকভাবে মনে করা হচ্ছে শানিকে সেখানেই হত্যা করা হয়েছে। তিনি এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। বলেছেন এটি গোটা পরিবারের কাছে একটি দুঃস্বপ্ন। যুদ্ধ মানেই মৃত্যু ধ্বংস আর মহিলা ও শিশুদের ওপর পাশবিক নির্যাতন। সেই ধারাই অব্যাহত ইজরায়েল - প্যালেস্টাইন যুদ্ধে। হামাস জঙ্গিদের কুকীর্তি ক্রমাগত সামনে আসছে।