সংক্ষিপ্ত

জাবালিয়ার ওল্ড গাজার স্ট্রিটের দুটি বাড়িকে টার্গেট করেছিল ইজরায়েলি সেনা। সেই ঘটনায় কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে।

 

আবার নতুন করে শুরু হলে গেল ইজরায়েল - প্যালেস্টাইন যুদ্ধ আবারও নতুন করে শুরু হলে গেল। শনিবার ইজরায়েলের বিমান হানা চলে গাজায়। নিহতের সংখ্যা কয়েক ডজন। মৃতদের অধিকাংশই প্যালেস্টাইনের বাসিন্দা। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ইতিমধ্যেই ইজরায়েল সামরিক অভিযান কমানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছে। অন্যদিকে হামাস নেতাদের সঙ্গে আলোচনায় বসার কথাও বলেছে। পাশাপাশি গাজায় হামলা চালালে যাতে শুধুমাত্র হামাস নেতাদেরই টার্গেট করা হয় সেই কথাও বলেছেন।

জাবালিয়ার ওল্ড গাজার স্ট্রিটের দুটি বাড়িকে টার্গেট করেছিল ইজরায়েলি সেনা। সেই ঘটনায় কমপক্ষে ১৪ জনের মৃত্যু হয়েছে। জাবালিয়ার অন্য একটি বাড়িতেও টার্গেট করেছিল সেনা। সেখানেই মৃত্যু হয়েছে প্রায় ১৪ জনের। শনিবার ইজরায়েলের এই হানায় প্রায় ৩০ জনের মৃত্যু হয়েছে। তেমনই জানিয়েছে প্যালেস্টাইনের প্রশাসন। প্রশাসন জানিয়েছে, ইজরায়েলের সামরিক বাহিনীর হামলায় দুটি বাড়ি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে। ধ্বংসস্তূপের নিচে প্রচুর সাধারণ মানুষ চাপা পড়ে রয়েছে। তাদের উদ্ধরের চেষ্টা করা হয়েছে।

ইজরায়েলের সামরিক বাহিনী বলেছে গাজা শহরের দুটি শহরে এখনও পর্যন্ত হামাস জঙ্গিরা লুকিয়ে রয়েছে। সেই জঙ্গিদের তাদের হত্যা করার চেষ্টা করা হয়েছে। ইজরায়েল আরও বলেছে, খান ইউনিসের অ্যাপাটমেন্টে অস্ত্র মজুত করছে হামাসরা। হামাসরা ভূগর্ভস্থ টানেলের পরিকাঠামো আরও সুন্দর করে সাজিয়ে নিচ্ছে।

তবে ইজরায়েলের এই অতর্কিত হামলার কারণে ও নির্বিচারে বোমা বর্ষণের কারণে দেশটি আন্তর্জাতিক সমর্থন হারাতে পারে। অনেক দেশই ইজরায়েলের দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এই কথা বলে ইজরায়েলকে সতর্ক করেছে। মার্কিন রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্ট জ্যাক সুলিভান বৃহস্পতিবারই ইজরায়েল সফর করেছেন। তিনি বলেছেন, হামাস নেতাদের বিরুদ্ধে সামরিক অভিযান চালাতে পারে ইজরায়েল। কিন্তু তাতে যেন সাধারণ মানুষের প্রাণ বা সম্পত্তির কোনও ক্ষতি না হয়।

এই বার্তার পরই এদিন ইজরায়েন বড়সড় হামলা চালায়। তবে ইজারেল বলেছে, গাজা উপত্যকায় আটক করা তিন জন পণবন্দিকে সাধারণ নাগরিক হিসেবে মনে করে না প্যালেস্টাইন। তিনজনকেই তারা জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে হুমকি হিসেবে মনে করে হামাসরা। আর সেই কারণেই তারা পণবন্দিদের গুলি করে হত্যা করেছে। তবে এই বন্দিদের ভুলভাবে হত্যার পরে তেল আবিবের কাপলান জংশনে একটি বিক্ষোভও হয়ে। গোটা ঘটনাকে একটি ট্যাজেডি হিসেবে বর্ণনা করেছে ইজরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নিতানিয়াহু। অন্যদিকে ইজরায়েলের সাধারণ মানুষ বলেছে, অবিলম্বে পণবন্দিদের মুক্তি করে নিয়ে আসতে হবে হামাসের ডেরা থেকে।

ইজরায়েল হামাস যুদ্ধে গাজায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ১৮.৭৮৭জন । তবে হামাস মন্ত্রিসভার দাবি সংঘর্ষে আহত হয়েছে ৫০ হাজার ৮৯৭ জন।

আরও পড়ুনঃ

Indian Navy: আরব সাগরে হাইজ্যাক হওয়া জাহাজকে সাহায্যের জন্য এগিয়ে যাচ্ছে ভারতীয় নৌবাহিনী

PM Modi: ২০১৪ সাল থেকে এখনও পর্যন্ত ১৪টি দেশের সর্বোচ্চ সম্মান পেয়েছেন মোদী

ইজরায়েল-হামাস যুদ্ধের ৪১ দিনে যুদ্ধবিরতি আলোচনা, কাতারের মধ্যস্থতায় কথা পণবন্দি নিয়ে