সংক্ষিপ্ত
মঙ্গলবার জাপানের হোনশুর পশ্চিম উপকূলে রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। তবে ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
আবারো শক্তিশালী ভূমিকম্পে কেঁপে উঠেছে জাপানের মাটি। জিএফজেড জার্মান রিসার্চ সেন্টার ফর জিওসায়েন্সেস জানিয়েছে, মঙ্গলবার জাপানের হোনশুর পশ্চিম উপকূলে রিখটার স্কেলে ৬ মাত্রার ভূমিকম্প হয়েছে। তবে ভূমিকম্পের পর এখন পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। এর আগে রবিবার ৫ মাত্রার ভূমিকম্প হয়। চলতি বছরের শুরুটা ভালো হয়নি জাপানের। গত ১ জানুয়ারি দেশটিতে বিপজ্জনক ভূমিকম্পের পর সুনামির সতর্কতা দেওয়া হয়।
গত ১ জানুয়ারি বিপজ্জনক ভূমিকম্প হয়েছিল
চলতি বছরের প্রথম দিনেই ভয়াবহ ভূমিকম্প হয় জাপানে। ৭.৬ মাত্রার ভূমিকম্পে দেশজুড়ে ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ শুরু হয়। সুনামির বিষয়ে সতর্কতা জারি করা হয় এবং ভবিষ্যতে আরও ভূমিকম্পের সম্ভাবনা তুলে ধরা হয়েছিল তখন। ১ জানুয়ারির ভূমিকম্পে এ পর্যন্ত ১২৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে শতাধিক দোকানপাট ও ঘরবাড়ি।
ভূমিকম্পের পর বিদ্যুৎ সংকট
১ জানুয়ারি ভূমিকম্পের পর অনেক বাড়িতে বিদ্যুৎ সংকট দেখা দেয়। জাপানের ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের বাসিন্দারা বিদ্যুৎহীন অবস্থায় রয়েছেন। আনামিজুতে প্রায় ১৯০০টি বাড়ি বিদ্যুৎহীন ছিল এবং ইশিকাওয়া প্রিফেকচারের প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন ছিল। বন্ধ রয়েছে টেলিফোন পরিষেবাও।
গাড়িতে জীবন কাটাচ্ছেন মানুষ
বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ১ জানুয়ারির ভূমিকম্পের পর মানুষ এতটাই আতঙ্কিত যে, ঘরে ঘুমানোর পরিবর্তে বাইরে খোলা জায়গায় বা গাড়িতে ঘুমাচ্ছে। যে কোনো সময় শক্তিশালী ভূমিকম্প হতে পারে এবং তাদের জীবন বিপর্যয়ের মুখে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা করছেন তারা।
এফপি নিউজ এজেন্সির সঙ্গে কথা বলার সময় ওয়াজিমার বাসিন্দা হিরোইউকি হামাতানি বলেন, 'আমি সেই দিন বিশ্রাম নিচ্ছিলাম যখন ভূমিকম্প হয়েছিল। আমার সব আত্মীয় একসঙ্গে ছিলেন এবং আমরা মজা করছিলাম. কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে সব বদলে গেল। বাড়িটি দাঁড়িয়ে আছে কিন্তু তা আর বাসযোগ্য নয়। ভবিষ্যৎ নিয়ে ভাবার জায়গা নেই আমার মনে। গত সপ্তাহের ভূমিকম্পে মৃতের সংখ্যা ২০১৬ সালের পর সর্বোচ্চ। ২০১৬ সালে, দক্ষিণ-পশ্চিম জাপানের কুমামোটোতে ভূমিকম্পে ২৭৬ জন নিহত হয়েছিল।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।