Japan Twitter Killer: টুইটার কিলিং নামে পরিচিত তাকাহিরো শিরাইশিকে শুক্রবার ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। ২০১৭ সালে সে সোশ্যাল মিডিয়ার মাধ্যমে ৯ জনের সাথে যোগাযোগ করে তাদের হত্যা করে।

Japan Twitter Killer: জাপানে শুক্রবার তাকাহিরো শিরাইশি নামের এক ব্যক্তিকে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। তাকে টুইটার কিলিং নামেও চেনা যেত। ২০১৭ সালে সে ৯ জনকে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এই সবাই সোশ্যাল মিডিয়ায় আত্মহত্যার কথা বলছিল, আর শিরাইশি টুইটারের মাধ্যমে তাদের সাথে যোগাযোগ করে।

নৃশংসভাবে মহিলাদের হত্যা করত শিরাইশি

সে ৮ জন মহিলা এবং ১ জন পুরুষকে তার ফ্ল্যাটে ডেকে আনে, তারপর তাদের হত্যা করে শরীর টুকরো টুকরো করে ফেলে। পুলিশ যখন তার অ্যাপার্টমেন্টে তল্লাশি চালায়, তখন মৃতদেহের টুকরোগুলো ফ্রিজে রাখা ছিল। তদন্তে এও প্রকাশ পায় যে সে কিছু মহিলার যৌন নির্যাতনও করেছিল।

সাহায্যের নামে করত মহিলাদের হত্যা

মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, তাকাহিরো শিরাইশি তার শিকারদের সাথে টুইটারের মাধ্যমে যোগাযোগ করত। সে তাদের বলত যে তারা যদি আত্মহত্যা করতে চায় তাহলে সে তাদের সাহায্য করবে। কিন্তু সাহায্যের নামে সে আটজন মহিলার সাথে ধর্ষণ করে এবং তারপর নৃশংসভাবে তাদের হত্যা করে। এদের মধ্যে কিছু মেয়ে অনেক কম বয়সীও ছিল। এছাড়া, সে একজন মহিলার প্রেমিককেও মেরে ফেলে যাতে সে কাউকে কিছু না বলতে পারে।

অত্যন্ত গোপনীয় ভাবে দেওয়া হল ফাঁসি

এপির রিপোর্ট অনুযায়ী, জাপানে আত্মহত্যার হার বিশ্বে সবচেয়ে বেশি। কিছু সময় আগে এতে কিছুটা কমেছিল, কিন্তু করোনা মহামারীর পর আবার বৃদ্ধি পেয়েছে। এই রিপোর্টে এও বলা হয়েছে যে জাপানে ফাঁসির সাজা বাতিলের দাবি জোরদার হচ্ছে, বিশেষ করে গত বছর বিশ্বের সবচেয়ে দীর্ঘ সময় ধরে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত বন্দী ইওয়াও হাকামাদাকে খালাস দেওয়ার পর থেকে। শিরাইশিকে টোকিও ডিটেনশন হাউসে অত্যন্ত গোপনীয় ভাবে ফাঁসি দেওয়া হয়েছে। সরকার ততক্ষণ এ বিষয়ে কোন তথ্য দেয়নি, যতক্ষণ না সাজা কার্যকর হয়েছে।