সংক্ষিপ্ত
সীমান্ত রাজ্য উত্তরাখণ্ডে চিনের আপত্তিকর প্রবেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে পেলো ভারত।
ফের ভারতের পাশে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। এর আগেও একাধিক আন্তর্জাতিক সমস্যার মোকাবিলায় ভারত পাশে পেয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে। এই চিরন্তন হৃদ্যতার সম্পর্ক আরো একবার পুনরুজ্জীবিত হলো সম্প্রতি। সীমান্ত রাজ্য উত্তরাখণ্ডে চিনের আপত্তিকর প্রবেশের বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে এবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে পাশে পেলো ভারত।শুক্রবার এপ্রসঙ্গে ভারতে ইউএস চার্জ ডি অ্যাফেয়ার্স এলিজাবেথ জোনস বলেন,' আমি আমার ভারতীয় সহকর্মীর দিক থেকে বিচার করে বলছি ,চিন যেটা করছে তা একেবারেই সঠিক নয়। '
আউলিতে মহড়া চলাকালীন চিনের সঙ্গে ভারতের একটি চুক্তি হয়। সেখানে বলা হয় যে ভারতের সীমান্ত থেকে ১০০ কিলোমিটার পর্যন্ত এক্তিয়ারের মধ্যে চীন আর প্রবেশ করবে না। কিন্তু সেই চুক্তি লঙ্ঘন করে চীন। সীমান্তে এমন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করার জন্য বৃহস্পতিবার ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রক একটি কড়া হুঁশিয়ারি জারি করে চীনের বিরুদ্ধে। তারা বলে ,' ভারত সবসময়ই সামনাসামনি লড়াই করে। এবং যার সঙ্গে বিরোধিতা তার সঙ্গেই সরাসরি লড়াইয়ে নামে। তৃতীয় কোনো দেশের পরামর্শ নেয় না। '
মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি অবশ্য বলেন যেমার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে ভারতের এই যৌথ মহড়ার ক্ষেত্রে ১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ সালের চুক্তির যদিও কোনো সম্পর্ক নেই। তবুও আমি চীনকে মনে করিয়ে দিতে চাই যে ১৯৯৩ এবং ১৯৯৬ এ যে চুক্তি তারা করেছিল ভারতের সঙ্গে সেটি লঙ্ঘন করার আগে চিন্তা ভাবনা করার উচিত ছিল চীনের। ' ১৯৯৩ সালের এই চুক্তিতে স্পষ্ট বলা ছিল যে দুই দেশই তাদের সীমান্তের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা এবং তার আসে পাশের সংলগ্ন অঞ্চলগুলিতে শান্তি বজায় রাখতে সচেষ্ট থাকবে। কিন্তু বর্তমানে চীনের যা কার্যকলাপ তাতে স্পষ্ট যে তারা কোনোভাবেই চাইছেন না এই চুক্তি মেনে চলতে। তাই এই পরিস্থিতি মোকাবিলা করতেই উত্তরাখন্ড সীমান্তে এখন চলছে ভারত -মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ১৮ তম যৌথ সামরিক মহড়া। এই মহড়া যে যুদ্ধ অভিযানের পূর্বাভাস তা বুঝতে আর বাকি নেই চীনের।