- Home
- World News
- International News
- পৃথিবীর দিকে দ্রুত ধেয়ে আসছে জোড়া সৌরঝড়! ভয়াবহ অঘটন ঘটতে চলেছে এই দিনে, হবে ব্যাপক ক্ষতি
পৃথিবীর দিকে দ্রুত ধেয়ে আসছে জোড়া সৌরঝড়! ভয়াবহ অঘটন ঘটতে চলেছে এই দিনে, হবে ব্যাপক ক্ষতি
- FB
- TW
- Linkdin
গণমাধ্যমের খবর অনুযায়ী, স্পেস ওয়েদার প্রেডিকশন সেন্টার জানিয়েছে, সূর্য যখন প্রবল পরিমাণ শক্তি উগরে দেয় বা নির্গত করে ঠিক সেই সময়ে এইরকম ভূচৌম্বকীয় ঝড়ের সৃষ্টি হয়।
ইতিমধ্যেই মৃদু ঝড় শুরু হয়ে গিয়েছে। যার ফলে পৃথিবীতে দ্রুতগতির ঝোড়ো হাওয়া বা সোলার উইন্ড আছড়ে পড়ছে। এই ঝড়ের প্রভাবে মেরু প্রদেশের আকাশে অরোরা তৈরি হতে পারে বলেও জানা গিয়েছে। পাশাপাশি, নেভিগেশন এবং যোগাযোগ ব্যবস্থায় বিঘ্নিত হওয়া ছাড়াও এই সৌরঝড়ের প্রভাবে বিদ্যুৎ পরিষেবাতেও সমস্যা দেখা দিতে পারে।
আমেরিকান মহাকাশ সংস্থা নাসার রিপোর্ট অনুযায়ী, সূর্য তার ১১ বছরের দীর্ঘ সৌরচক্র অতিক্রম করছে। এই কারণে, করোনাল ম্যাস ইজেকশন (সিএমই) এবং সোলার ফ্লেয়ার সূর্যের মধ্যে ঘটছে, যা ২০২৫ সাল পর্যন্ত চলতে থাকবে। সেপ্টেম্বর ২০১৭-এর পর এখন পর্যন্ত সূর্যের মধ্যে সবচেয়ে বড় সৌর শিখা দেখা গেছে।
সৌর ঝড়ের আবহেই ধেয়ে আসছে কোরোনাল মাস ইজেকশন। যেটি আবার সৌর ঝড়ের থেকে আলাদা। এই মেঘগুলো মহাকাশে ঘুরতে থাকে। তারা যত বেশি ঘোরে, তত বেশি প্রসারিত হয়। এই মেঘগুলো ঘুরতে ঘুরতে কয়েক লাখ মাইল দূরত্ব জুড়ে দেয়।
ঘূর্ণনের সময়, এই মেঘগুলি গ্রহগুলির চৌম্বক ক্ষেত্রের সাথে সংঘর্ষ হয়। এমন পরিস্থিতিতে, যখন তাদের দিকগুলি পৃথিবীর দিকে থাকে, তখন তারা ভূ-চৌম্বকীয় গোলযোগ সৃষ্টি করে।
এসব কারণে স্যাটেলাইটে শর্ট সার্কিট হয়। পাওয়ার গ্রিড ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এসব কারণে মহাকাশচারীদের জীবনও হুমকির মুখে পড়তে পারে। এদিকে এগুলি পৃথিবীর ম্যাগনেটোস্ফিয়ারের সাথে প্রতিক্রিয়া ঘটিয়ে বিঘ্ন ঘটাতে পারে বিদ্যুৎ পরিষেবা সহ কৃত্রিম উপগ্রহের সঙ্গে যোগাযোগ ব্যবস্থাতেও।
প্রতি ১১ বছরের সময়কালে সূর্যের চৌম্বক ক্ষেত্র একটি চক্রের মধ্য দিয়ে যায়। অর্থাৎ সূর্যের উত্তর এবং দক্ষিণ মেরু স্থান পরিবর্তন করে। আর একইভাবে মেরুগুলি নিজেদের জায়গায় ফিরে আসতে ফের ১১ বছর সময় নেয়।
এই নির্দিষ্ট সময়ে সূর্যের একাধিক শিখা প্রকাশ করে। যেগুলি পৃথিবীর স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে প্রভাবিত করতে পারে। জানা গিয়েছে যে, কয়েকদিন আগেই সানস্পট অঞ্চল AR3663 থেকে ২ টি বিশাল সৌর শিখা বেরিয়েছে। যার ফলে পৃথিবী বর্তমানে ফায়ারিং লাইনে রয়েছে।