Pope Francis Death News: পবিত্র ইস্টার পালনের পরদিনই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেলন পোপ ফ্রান্সিস। সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৩৫ নাগাদ নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি।
Pope Francis Death News: পবিত্র ইস্টার পালনের পরদিনই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেলন পোপ ফ্রান্সিস। সোমবার স্থানীয় সময় সকাল ৭টা ৩৫ নাগাদ নিজের বাসভবনেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। মৃত্যুকালে তাঁর বয়স হয়েছিল ৮৮। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন।
সোমবার পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যু সংবাদ জানিয়ে ভ্যাটিকান প্রশাসক কার্ডিনাল কেভিন ফারেল বলেন, "তার পুরো জীবনই প্রভু ও তাঁর গির্জার সেবায় উৎসর্গিত ছিল। এদিন সকাল ৭:৩৫-এ রোমের বিশপ পোপ ফ্রান্সিস প্রভুর ঘরে ফিরে গেলেন তিনি।'' অন্যদিকে পোপ ফ্রান্সিসের মৃত্যুর খবরে বিশ্বজুড়ে নেমে এসেছে শোকের ছায়া।
জানা গিয়েছে, মৃত্যুর মাত্র একদিন আগেও পোপ ফ্রান্সিস জীবনের আসল অর্থ তুলে ধরেছিলেন তাঁর শেষ টুইটে, যেখানে তিনি লিখেছিলেন, "খ্রিস্ট বেঁচে উঠেছেন! এই শব্দগুলিই আমাদের অস্তিত্বের সম্পূর্ণ তাৎপর্য ধারণ করে, কারণ আমরা মৃত্যুর জন্য নয়, জীবনের জন্যই সৃষ্টি হয়েছি।" শুধু তাই নয়, ভ্যাটিকানবাসীকে অবাক করে দিয়ে রবিবার পবিত্র ইস্টারের অনুষ্ঠানেও যোগ দেন তিনি। যদিও রোমান ক্যাথলিক চার্চের প্রথম লাতিন আমেরিকান নেতা পোপ ফ্রান্সিস এই নিয়ে তিনবার ইস্টারের শোভাযাত্রায় অংশগ্রহন করেননি।
সূত্রের খবর, মৃত্যুর কয়েক ঘন্টা আগেও রবিবার সকালে মার্কিন ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্স-এর সঙ্গে একটি ব্যক্তিগত বৈঠকে তিনি উপস্থিত ছিলেন। একই সঙ্গে সেন্ট পিটার্স স্কোয়ারে জড়ো হওয়া ৩৫,০০০ ভক্তকে তিনি ইস্টারের অভিনন্দন জানান। এবং আশীর্বাদ দেন। পোপ ফ্রান্সিস ছিলেন চার্চের ইতিহাসে অন্যতম প্রবীণ পোপ।
জানা গিয়েছে, দীর্ঘদিন ধরেই বার্ধক্যজনিত অসুস্থতায় ভুগছিলেন তিনি। পরপর দুবার নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন পোপ। বিশেষ সমস্যার কারণে ২১ বছর বয়সে তাঁর একটি ফুসফুস কেটে বাদ দিয়ে দেওয়া হয়। যার কারণে আগে থেকেই সমস্যা ছিল। এদিকে সম্প্রতি সেটি গুরুতর আকার নেয়। হাসপাতালে ভর্তি হলে পোপকে পরীক্ষা নিরীক্ষা করে চিকিৎসকরা জানান, তাঁর দুটি ফুসফুসই ক্ষতিগ্রস্ত। তিনি নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন। ফলে অন্যান্য রিপোর্টগুলিও তেমন ভালো ছিলো না পোপের। তবে চিকিৎসকদের সব প্রচেষ্টাকে ব্যর্থ করে দিয়ে না ফেরার দেশে পোপ ফ্রান্সিস।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।


