সংক্ষিপ্ত
রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন যে আমরা খুশি যে উভয় নেতা, ভারতের নেতা এবং চিনের নেতা, রাশিয়ার কাজানে তাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার সুযোগ পেয়েছেন।
বিশ্বে রাজনৈতিক পরিবর্তনের মধ্যেই রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন শীঘ্রই ভারত সফরে আসতে পারেন। ক্রেমলিনের মুখপাত্র দিমিত্রি পেসকভ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, রাশিয়া শিগগিরই পুতিনের সফরের তারিখ ঘোষণা করবে। সংবাদ সংস্থা এএনআই-এর সাথে কথা বলার সময়, পেসকভ বলেছিলেন যে রাষ্ট্রপতি ভ্লাদিমির পুতিনের ভারত সফরের নির্দিষ্ট তারিখগুলি শীঘ্রই ঘোষণা করা হবে এবং রাশিয়া এর জন্য প্রস্তুতি শুরু করবে।
তাকে যখন প্রশ্ন করা হয়েছিল যে ভারত ও চিনের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নে রাশিয়া কোনো ভূমিকা রাখছে কিনা। তারপরে রাশিয়ার রাষ্ট্রপতির প্রেস সেক্রেটারি দিমিত্রি পেসকভ বলেছিলেন যে আমরা খুশি যে উভয় নেতা, ভারতের নেতা এবং চিনের নেতা, রাশিয়ার কাজানে তাদের দ্বিপাক্ষিক বৈঠক করার সুযোগ পেয়েছেন।
শান্তি উদ্যোগে ভারতের জোর
গত মাসে অক্টোবরে রাশিয়ার কাজানে ব্রিকস সম্মেলনের সময় প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং পুতিন দেখা করেছিলেন। এরপর প্রেসিডেন্ট পুতিনকে ভারত সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। গত বৈঠকে প্রধানমন্ত্রী মোদী রাষ্ট্রপতি পুতিনকে বলেছিলেন যে ভারত শান্তির মাধ্যমে বিরোধের সমাধান করতে চায়, বিশেষ করে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ নিয়ে। তিনি বলেছিলেন যে আমরা রাশিয়া-ইউক্রেন সংঘাতে সব পক্ষের সাথে কথা বলেছি। আমরা সবসময় বিশ্বাস করে এসেছি যে সংলাপের মাধ্যমে সব দ্বন্দ্বের সমাধান করা সম্ভব। আমরা বিশ্বাস করি যে বিরোধ শান্তিপূর্ণভাবে সমাধান করা উচিত। ভারত শান্তি প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করতে সদা প্রস্তুত।
রাশিয়া ও ভারতের মধ্যে বিশেষ সম্পর্ক রয়েছে
প্রধানমন্ত্রী মোদী শান্তি পরিকল্পনা নিয়ে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভালকে মস্কো পাঠিয়েছিলেন। যেখানে তিনি প্রেসিডেন্ট পুতিনের সঙ্গে দেখা করেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী এবং রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিনের সম্পর্ক বিশ্ব মঞ্চে একটি শক্তিশালী অংশীদারিত্বের উদাহরণ।
দুই নেতার মধ্যে ব্যক্তিগত বন্ধুত্ব এবং পারস্পরিক বোঝাপড়া ভারত-রাশিয়া সম্পর্ককে আরও গভীর করেছে। এই সম্পর্ক প্রতিরক্ষা, জ্বালানি ও বাণিজ্যের ক্ষেত্রে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চুক্তি ও সহযোগিতা প্রকল্পে পরিপূর্ণ। বিশেষ করে রাশিয়ার কাছ থেকে ভারতের S-400 মিসাইল সিস্টেম অধিগ্রহণ দুই দেশের মধ্যে আস্থা ও কৌশলগত অংশীদারিত্বের একটি বড় লক্ষণ।
আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।