- Home
- World News
- International News
- শুল্ক সঙ্ঘাতে তপ্ত ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক, মোদীর পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পকে সবক শেখালেন পুতিন
শুল্ক সঙ্ঘাতে তপ্ত ভারত-আমেরিকার সম্পর্ক, মোদীর পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পকে সবক শেখালেন পুতিন
Putin On Donald Trump: ট্রাম্পের অতিরিক্ত শুল্ক নীতির ফলে একেই চাপে ভারত। তার উপর মার্কিন প্রেসিডেন্টের একের পর এক আজব যুক্তি নিয়ে এবার তাঁকেই তুলোধনা করলেন রুশ প্রেসিডেন্ট পুতিন। কী বলেছেন তিনি? বিস্তারিত জানতে দেখুন সম্পূর্ণ ফটো গ্যালারি…

ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পকে বার্তা পুতিনের
ভারতের সঙ্গে শুল্ক সঙ্ঘাত ইস্যুতে বর্তমানে খানিকটা তপ্ত আমেরিরকার সম্পর্ক। পরিস্থিতি বদলানোর বিন্দুমাত্র চেষ্টা না করে ভারতের বিরুদ্ধে একের পর এক মন্তব্য করেই চলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প। এবার সেই ইস্যুতে ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে ট্রাম্পের মন্তব্যের কড়া জবাব দিলেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট পুতিন।
কী বার্তা দিলেন পুতিন?
শুক্রবার এই বিষয়ে সর্বভারতীয় এক সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশিত খবর থেকে জানা গিয়েছে যে, ভারতকে ক্রমাগত যেভাবে চোখ রাঙানি দিচ্ছে আমেরিকা তাতে বেজায় রুষ্ট রাশিয়া। পুতিনের দাবি, শুল্ক ইস্যুতে এভাবে ভারত বা চিনের সঙ্গে কথা বলতে পারেন না মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পুতিন আরও জানান, আমেরিকার শুল্ক নীতি এই দেশগুলির অর্থনীতিকে আরও দুর্বল করার চেষ্টা করছে।
ভারত-চিনের পাশেই পুতিন
এদিন ভারত ও চিনকে নিজের পার্টনার বলে দাবি করে পুতিন আরও বলেন যে, ‘’আমেরিকা শুল্ক নীতি এই দেশগুলির নেতৃত্বকে দুর্বল করার চেষ্টা। ১৫০ কোটি মানুষের দেশ ভারত, চিন, তাদের শক্তিশালী অর্থনীতি, আবার তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক পদ্ধতি ও নিয়মও রয়েছে। যখন কেউ বলে যে তারা শাস্তি দিতে চলেছে, তাহলে আপনাকে ভাবতে হবে যে এই বড় বড় দেশের নেতৃত্ব কী প্রতিক্রিয়া দেবে?''
পুতিনের মুখে ভারতের ঔপনিবেশিকতার ইতিহাস
এই বিষয়ে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, ‘’ইতিহাসেও ওদের কঠিন সময় ছিল, ওপনিবেশিকতা, তাদের সার্বভৌমত্বের উপরে দীর্ঘ সময় ধরে কর বসানো হয়েছে। যদি কেউ একজনও দুর্বলতা দেখায়, তাহলে তাঁর রাজনৈতিক কেরিয়ার শেষ হয়ে যাবে। তাই তাদের ব্যবহারেও সেই প্রভাব রয়েছে।''
মোদী-পুতিন-জিংপিং সাক্ষাতকে কটাক্ষ
এদিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নতুন উবাচ। তিনি ভারত-চিন-রাশিয়ার বন্ধুত্ব নিয়ে আবারও কটাক্ষ করেছেন। নিজের সোশ্যাল মিডিয়ায় যা নিয়ে বার্তা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। সেখানে তিনি চিনের SEO বৈঠকের তিন দেশের রাষ্ট্রপ্রধানেরও ছবি পোস্ট করেছেন। তবে এই তিন দেশের সঙ্গে যুদ্ধ ঘোষণা করার পর তিনটি দেশ ট্রাম্পকে তেমন গুরুত্ব না দেওয়ায় মার্কিন প্রেসিডেন্টের সংকট যে বাড়িয়েছে তা আর বলার অপেক্ষা রাখে না।

