Crime News: শহরে নামজাদা লাইসেন্স প্রাপ্ত দোকান থেকে অবৈধ ভাবে আগ্নেয়াস্ত্র পাচারের অভিযোগ। পুলিশি অভিযানে গ্রেফতার মালিকরা। তারপর কী হল? বিশদে জানতে পড়ুন সম্পূর্ণ প্রতিবেদন… 

Kolkata Crime News: কলকাতায় অস্ত্র উদ্ধারে চাঞ্চল্য, গ্রেফতার বন্দুক দোকানের তিন মালিক। জানা গিয়েছে, অবৈধভাবে বন্দুকপাচার-এর মামলায় তদন্তে নেমে বৃহস্পতিবার রাতে বেঙ্গল এসটিএফ-এর একটি দল গ্রেফতার করে শহরের নামী বন্দুক দোকানের ( "নরসিং চান্দর এন্ড দা", কলকাতা, বিবাদী বাগ ) তিনজন মালিককে। সঙ্গে দোকান থেকে বাজেয়াপ্ত করা হয় দোনলা ও একনলা বন্দুক মিলিয়ে মোট একচল্লিশটি আগ্নেয়াস্ত্র।

কলকাতার বি.বি.ডি. বাগ এলাকায় অবস্থিত লাইসেন্সপ্রাপ্ত বন্দুকের দোকান নার্সিং চুণ্ডার অ্যান্ড দাও-তে হানা দিল পশ্চিমবঙ্গ স্পেশাল টাস্ক ফোর্স (এসটিএফ)। পুলিশ সূত্রে খবর, বৃহস্পতিবারের এই অভিযানে দোকানের তিন মালিক তথা অংশীদার সুবীর দাও, অভীর দাও ও সুব্রত দাও-কে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তিনজনই গিরিশ পার্ক এলাকার বাসিন্দা।

অভিযান চলাকালীন ওই দোকান থেকে বিপুল পরিমাণ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার হয়। মোট ৪১টি বন্দুক বাজেয়াপ্ত করেছে এসটিএফ, যার মধ্যে রয়েছে সিঙ্গল ব্যারেল ও ডাবল ব্যারেল বন্দুক। এদের কোনওটিরই সরকারি নথিতে উল্লেখ নেই।

পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, এর আগে রহড়া থানায় শুরু হওয়া একটি মামলার তদন্তের সূত্র ধরেই এসটিএফ এই দোকানটির দিকে নজর দেয়। তদন্তে উঠে এসেছে, অসাধু ব্যবসায়ীরা দোকান থেকে বেআইনি উপায়ে আগ্নেয়াস্ত্র সংগ্রহ করে মোটা দামে বিক্রি করত। এসটিএফ জানিয়েছে, গোটা ঘটনার তদন্ত জারি রয়েছে। ধৃতদের হেফাজতে নিয়ে চলছে এই চক্রের সঙ্গে আর কারা কারা জড়িত তাদের খোঁজে তল্লাশি। 

অন্যদিকে, ভারত-পাক সঙ্ঘাতের আবহে এবার বাজারে পাকিস্তানি নোট। তাও আবার সীমান্ত লাগোয়া কোচবিহার জেলার মেখলিগঞ্জ এলাকা থেকে উদ্ধার। রাস্তায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে রয়েছে পাকিস্তানি টাকা। বিষয়টি চাউর হতেই আতঙ্ক ছড়িয়েছে ওই এলাকায়য

সূত্রের খবর, মেখলিগঞ্জের রানীরহাটে পাকিস্তানি টাকা। চাঞ্চল্য ছড়াল কোচবিহার জেলাজুড়ে। জানা গিয়েছে, বুধবার রাতে রানীরহাট বাজারে এক দোকানদার একটি ১০০ টাকা ও একটি ১০ টাকার পাকিস্তানি নোট কুড়িয়ে পায়। রাতে চুপচাপ থাকলেও সকালে ওই দোকানদার এলাকার লোকজনদের বিষয়টি জানায়। এতেই হইচই শুরু হয়েছে।

কীভাবে পাকিস্তানি টাকা আসলো রানীরহাটে তা ঘিরেই কৌতূহল যেমন বেড়েছে তেমনি উদ্বেগও ছড়িয়েছে। চ্যাংড়াবান্ধায় মানি এক্সচেঞ্জ কাউন্টার রয়েছে। সেখানকার ব্যবসায়ীরা জানায় পাকিস্তানি টাকা এক্সচেঞ্জ করা হয় না। ফলে সেই টাকা কোথায় থেকে আসলো তা ঘিরেও আরও প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। তাহলে কোথাও কি পাকিস্তানি যোগ রয়েছে কি ন! তাদের কাছ থেকে কোনও ভাবে সেই টাকা পড়েছে? সবটাই তদন্ত করছে প্রশাসন বলে জানা গেছে।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।