- Home
- World News
- International News
- জর্ডনের রানী সর্বথ ইকরামুল্লাহর সঙ্গে কলকাতা ঘনিষ্ট যোগ, বিয়ে হয়েছিল করাচিতে- চিনুন এই মহিলাকে
জর্ডনের রানী সর্বথ ইকরামুল্লাহর সঙ্গে কলকাতা ঘনিষ্ট যোগ, বিয়ে হয়েছিল করাচিতে- চিনুন এই মহিলাকে
কূটনীতির বাইরেও জর্ডনের রাজপরিবারের সঙ্গে কিন্তু ভারতের যোগ রয়েছে। কারণ জর্ডনের রাজরানীর জন্ম ভারতে। আরও স্পষ্ট করে বললে বলা ভাল কলকাতায়।

জর্ডন সফরে মোদী
জর্ডন সফরে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি আম্মানের আল হুসেনইনিা প্রাসাদে বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ বিন আল হুসেনের সঙ্গে দেখা করেন। দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন। কথা বলেন আঞ্চলিক স্থিতিশিলতা ও সন্ত্রাসবাদ বিরোধী সহযোগিতা তিনি। কূটনীতির বাইরেও জর্ডনের রাজপরিবারের সঙ্গে কিন্তু ভারতের যোগ রয়েছে। কারণ জর্ডনের রাজরানীর জন্ম ভারতে। আরও স্পষ্ট করে বললে বলা ভাল কলকাতায়।
সর্বথ ইকরামুল্লাহ
জর্ডনের রাজরানী সর্বথ ইকরামুল্লাহ। স্বাধীনতা দিবসের মাত্র কয়েক সপ্তাহ আগে ২৪ জুলাই ১৯৪৭ সালে কলকাতায় জন্মগ্রহণ করেন। সেই সময় বাংলার বিখ্যাত সোহরাওয়ার্দি পরিবারে তাঁর জন্ম।
সর্বথ ইকরামুল্লার বাবা ও মা
সর্বর্থ ইকরামুল্লার বাবা মোহম্মদ ইকরামুল্লাহ ভারতীয় সিভিল সার্ভিসে কর্মরত। পরে পাকিস্তানের প্রথম বিদেশমন্ত্রী হন। তাঁর মা শায়েস্তা সোহরাওয়ার্দি ইকরামুল্লাহ ছিলেন পাকিস্তানের প্রথম মহিলা সাংসদ। তিনি মরোক্কোর রাষ্ট্রদূত ছিলেন।
সর্বথ ইকরামুল্লার পড়াশুনা
তিনি ব্রিটনে পড়াশুনা করেন। পরবর্তীকালে ইউরোপ ও দক্ষিণ এশিয়া জুড়ে বাবার কূটনৈতিক কর্মকাণ্ড যেখানে যেখানে ছিল সেখানেই তিনি গিয়েছিলেন। সেই সময়ই লন্ডনে জর্ডনের হাশেম রাজবংশের যুবরাজ হাসান বিন তালালের সঙ্গে বিভিন্ন কূটনৈতিক অনুষ্ঠানেই দেখা করতেন সর্বথ।
বিয়ে পাকিস্তানে জন্ম ভারতে
১৯৬৮ সালের ২৮ অগস্ট সর্বথ ইরকামুল্লাহ পাকিস্তানের করাচিতে প্রিন্স তালালের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। অনুষ্ঠানে পাকিস্তানি, জর্ডনদিয়া ও পাশ্চাত্যের সংমিশ্রণ দেখা যায়। দম্পতি আম্মানে স্থায়ীভাবেই বসবাস শুরু করহেন। তাদের চার সন্তান। রাজকুমারী রহমা, সুমায়া বাদিয়া ও প্রিন্স রশিদ।
জর্ডনের রানী
রাজকুমারি সর্বথ ১৯৬৮ সাল থেকে ১৯৯৯ সাল পর্যন্ত জর্ডনের ক্রাউন প্রিন্সেস হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। সেই সময়টা জুড়ে তিনি শিক্ষা, সমাজকল্যাণ ও নারী ক্ষমতায়নের পক্ষেই কাজ করেন। তিনি ১৯৮১ সালে জর্ডনে প্রথম দ্বিভাষিক আন্তর্জাতিক স্নাতক প্রতিষ্ঠান আম্মান স্নাতক স্কুল-সহ একাধিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি প্রতিবন্ধীদের জন্য বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান তৈরি করেন।
প্রথম জর্ডনদিয়া নারী
সর্বথ ইকরামুল্লাহ প্রথম জর্ডনদিয়া মহিলা তিনি তাইকোয়ান্দোতে ব্ল্যাক বেল্ট অর্জন করেছিলেন। জর্ডন ব্যাডমিন্টন ফেডারেশনের সম্মানসূচক সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৯১ সালে উপসাগরীয় যুদ্ধেও তাঁর অবদান ছিল। তিনি ১ মিলিয়ন ডলারের বেশি চিকিৎসার জন্য সরবরাহ করেছিলেন।
১৯৯১ সালে ছেলে প্রিন্স আবদুল্লাহকে উত্তরাধিকারী হিসেবে মনোনীত করেন । যার ফলে সর্বথের মেয়াদও শেষ হয়।
বিশ্বব্যাপী স্বীকৃতি
রাজকুমারী সারভাথের কাজ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত। তিনি ১৯৯৫ সালে ওম্যান অফ পিস অ্যাওয়ার্ড, ১৯৯৪ সালে গ্র্যান্ড কর্ডন অফ দ্য রেনেসাঁ, ২০০২ সালে পাকিস্তানের হিলাল-ই-ইমতিয়াজ এবং বাথ বিশ্ববিদ্যালয় (২০১৫) এবং নিউ ব্রান্সউইক বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডিগ্রি লাভ করেন।

