বিশ্ব ঋণগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকায় আমেরিকা, চিন এবং ভারত গুরুত্বপূর্ণ স্থান দখল করেছে। আমেরিকার ঋণ ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলার, চিনের ১৪.৬৯ ট্রিলিয়ন ডলার এবং ভারতের ৩.০৫৭ ট্রিলিয়ন ডলার।
প্রকাশ্যে এল বিশ্ব ঋণগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকা। এই তালিকায় আমেরিকা, চিন এবং ভারত দখল করল গুরুত্বপূর্ণ স্থান। জেনে নিন কোন দেশের ঋণ কত।
বৈশ্বিক ঋণের সবচেয়ে বড় অংশ বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ঋণগ্রস্ত দেশ আমেরিকার ওপর। এটি বৈশ্বিক অর্থনীতির বৃহত্তম অংশ এবং এর মোট ঋণ ৩৬ ট্রিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে। এই পরিমাণটি মার্কিন জিডিপির প্রায় ১২৫ শতাংশ। প্রকাশ্যে আসা রিপোর্ট বলছে মোট বৈশ্বক ঋণের প্রায় ৩৪.৬ শতাংশ আমেরিকা দখল করেছে।
তালিকার দ্বিতীয় স্থানে আছে চিন। বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চিন। এই দেশের মোটা ঋণের পরিমাণ প্রায় ১৪.৬৯ ট্রিলিয়ন ডলার। যা বৈশ্বিক ঋণের ১৬.১ শতাংশ। চিনের ঋণ বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল তাদের দ্রুত অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এবং বৃহৎ অবকাঠামোতে বিনিয়োগ। দেশের উন্নয়নের স্বার্থে এই বিপুল পরিমাণ ঋণ গ্রহণ করেছে এই দেশ।
এই তালিকার সপ্তম স্থানে আছে ভারত। ভারতের ঋণের পরিমাণ ৩.০৫৭ ট্রিলিয়ন ডলার। যা বৈশ্বিক ঋণের ৩.২ শতাংশ। বাকি বড় দেশের তুলনায় এই দেশের ঋণ কম। এটি ইঙ্গিত দেয় যে ভারত ঋণের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে আসনে কিছুটা সফল হয়েছে। ভারতের ঋণ বৃদ্ধির প্রধান কারণ হল কোভিড ১৯। মহামারির সময় সরকারের বড় অঙ্কের টাকা ব্যয় হয়। যার মধ্যে অর্থনৈতিক প্রণোদনা প্যাকেজ ও স্বাস্থ্যসেবা পরিকল্পনা অন্তর্ভুক্ত ছিল। অবকাঠামো উন্নয়নের জন্য সরকারি বিনিয়োগের ঋণ বৃদ্ধি পায়। তবে, এখন পরিস্থিতি বদল হয়েছে। ভারতের বর্তমান পরিস্থিতি স্থিতিশীল। তাই ঋণের পরিমাণেও আছে নিয়ন্ত্রণে।
বর্তমানে বৈশ্বিক ঋণ ১০০.২ ট্রিলিয়ন ডলার পৌঁছেছে, যা কোভিড ১৯ মহামরির পর দ্রুত বেড়েছে। মহামারির কারণে বিভিন্ন সরকার তাদের অর্থনীতিকে স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনের তুলনায় অনেক বেশি ব্যয় করেছে, যার ফলে ঋণের মাত্রা রেকর্ড পর্যায়ে পৌঁছেছে। সদ্য প্রকাশ্যে এল বিশ্বের সবচেয়ে ঋণগ্রস্ত দেশগুলোর তালিকা। এই তালিকায় চিন-আমেরিকার মতো দেশের সঙ্গে রয়েছে ভারতের নাম।
