সংক্ষিপ্ত

সোমবার অবশেষে অস্ট্রেলিয়ান স্পেস এজেন্সি এটি আদতে ISRO-র PSLV রকেটেরই অংশ।

অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে মিলল ভারতীয় মহাকাশ গবেষণা সংস্থা ISRO-র PSLV রকেটেরই অংশ। গত কয়েকদিন ধরেই অস্ট্রেলিয়ার সৈকতে পড়ে ছিল এই রহস্যময় বস্তুটি। সোমবার অবশেষে অস্ট্রেলিয়ান স্পেস এজেন্সি এটি আদতে ISRO-র PSLV রকেটেরই অংশ। তবে অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতে কীভাবে এল এই রকেটের ভগ্নাংশ? ইসরোর তরফে যদিও এবিষয় এখনও পর্যন্ত কোনও বিবৃতি দেওয়া হয়নি। তবে বিজ্ঞানীরা মনে করছেন, এই ঘটনা একেবারেই অস্বাভাবিক কিছু নয়। এমনকী রকেটের এই টুকরো মহাকাশ অভিযানের ব্যর্থতার চিহ্নও বলা যায় না বলে মনে করছেন তাঁরা। বিজ্ঞানীদের মতে যে কোনও অভিযানের ক্ষ্রেত্রেই এই ঘটনা খুবই স্বাভাবিক। একে একে রকেট বা রকেটের অংশ নিচে পড়ে যেতে থাকে। সমুদ্র সৈকতে রকেটের অংশ পড়ে থাকা খুব অভাবনীয় কিছু নয় বলেই মনে করছেন বিজ্ঞানীরা।

বিজ্ঞানীরা জানাচ্ছেন, মহাকাশে উপগ্রহ প্রেরণের সময় কেবল উপগ্রহটাই কক্ষপথে পৌঁছয়। রকেটের বাকি অংশ মহাকাশে যাওয়ার পথে বিভিন্ন পর্যায় একে একে খসে পড়তে থাকে। অস্ট্রেলিয়ার সমুদ্র সৈকতে দেখা মিলেছে সেইরকমই একটি PSLV-র থার্ড স্টেজের। তবে এটি আদৌ উপকূলে পড়েছিল নাকি, সমুদ্রের ঢেউয়ের সঙ্গে ভেসে এসেছে সেবিষয় এখনও কিছু জানা যায়নি। আপাতত দু'মিটার লম্বা ওই বস্তুটি অস্ট্রেলিয়ার 'স্টোরেজ'-এ রয়েছে।

 

 

প্রসঙ্গত, বর্তমানে ভারতের চাঁদ মিশনের গুরুত্বপূর্ণ অংশই হল চন্দ্রযান ৩। ১৪ জুলাই শ্রীহরিকোটার সতীশ ধাওয়ান মহাকাশ স্টেশন থেকে এটি যাত্রা শুরু করেছিল। আগামী ২৩ অগাস্ট এটি ল্যান্ডার ও রোভাবের সাহায্যে চাঁদের দক্ষিণমেরুতে ল্যান্ড করবে। তেমনই পরিকল্পনা রয়েছে ইসরোর। মহাকাশযানটি মঙ্গলবার পৃথিবীর চারপাশে পাঁচটি কক্ষপথ-উত্থাপন কৌশল সম্পন্ন করেছে এবং এখন চন্দ্র সন্নিবেশের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। ইন্ডিয়ান স্পেস রিসার্চ অর্গানাইজেশন অনুসারে, এটি উপবৃত্তাকার কক্ষপথে সবচেয়ে দূরবর্তী এবং নিকটতম বিন্দু সহ ১,২৭৬০৩ কিমি x ২৩৬ কিমি একটি কক্ষপথ অর্জন করেছে। এর পরবর্তী ধাপ হল পৃথিবী থেকে চাঁদের গতিপথে স্থানান্তরিত করা, যেখানে চাঁদের মাধ্যাকর্ষণ অবশেষে এটিকে চন্দ্রের কক্ষপথে টেনে আনবে, যার চূড়ান্ত লক্ষ্য চন্দ্র পৃষ্ঠে নরম অবতরণ অর্জন করা।