ডোনাল্ড ট্রাম্প শি জিনপিং বৈঠক: মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক হয়েছে। এই বৈঠকের পর ট্রাম্প চিনকে বড় স্বস্তি দিয়ে শুল্ক ১০ শতাংশ কমানোর ঘোষণা করেছেন।

ডোনাল্ড ট্রাম্প শি জিনপিং বৈঠক: দক্ষিণ কোরিয়ায় চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে সফল বৈঠকের পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বৃহস্পতিবার একটি বড় ঘোষণা করেছেন। তিনি চিনের ওপর আরোপিত ফেন্টানাইল শুল্ক কমিয়ে ১০ শতাংশ করার কথা জানিয়েছেন। দুই নেতার এই বৈঠকটি বুসানে এশিয়া-প্যাসিফিক ইকোনমিক কো-অপারেশন শীর্ষ সম্মেলনের ফাঁকে অনুষ্ঠিত হয়, যেখানে বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়। ট্রাম্প বলেছেন যে এই বৈঠকের সময় আমেরিকা ও চিনের মধ্যে একটি বড় বিবাদেরও সমাধান করা হয়েছে।

ট্রাম্প ১০% শুল্ক কমালেন

এই বৈঠকটি বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কারণ দীর্ঘদিন ধরে দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্য যুদ্ধ নিয়ে উত্তেজনা চলছিল। ট্রাম্প এর আগে চিনসহ বেশ কয়েকটি দেশের ওপর भारी শুল্ক আরোপ করেছিলেন, যার জবাবে চিন দুর্লভ খনিজ পদার্থের রপ্তানি বন্ধ করে দেয়। এর ফলে দুই দেশের সম্পর্কে উত্তেজনা বেড়ে গিয়েছিল। এখন এই বৈঠকের পর আশা করা হচ্ছে যে আমেরিকা ও চিনের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্কের উন্নতি হতে পারে।

২০২৬ সালে চিন সফরে যাবেন ট্রাম্প

ট্রাম্প জানিয়েছেন যে তাঁর এবং শি জিনপিংয়ের আলোচনায় ইউক্রেন যুদ্ধের বিষয়টি বেশ গুরুত্বপূর্ণ ছিল। তিনি বলেন, দুই নেতাই এই সংকট সমাধানে একসঙ্গে কাজ করতে সম্মত হয়েছেন। ট্রাম্প বলেন, “ইউক্রেনের বিষয়টি আমাদের আলোচনায় খুব গুরুত্ব পেয়েছে। আমরা এ নিয়ে দীর্ঘক্ষণ আলোচনা করেছি এবং সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা একসঙ্গে একটি সমাধান খোঁজার চেষ্টা করব।” তিনি আরও বলেন যে চিনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং ইউক্রেন যুদ্ধ শেষ করার জন্য কড়া পদক্ষেপ নিতে আমেরিকাকে সাহায্য করবেন। বৈঠকটিকে অত্যন্ত সফল বলে উল্লেখ করে ট্রাম্প সাংবাদিকদের জানান যে তিনি ২০২৬ সালের এপ্রিলে চিন সফরে যাবেন।

ভারতকে আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে

ডোনাল্ড ট্রাম্প ভারতীয় পণ্যের ওপর ২৫% কর এবং রাশিয়া থেকে তেল কেনার ওপর ২৫% অতিরিক্ত জরিমানা আরোপ করেছিলেন। এরপর ভারত ও আমেরিকার মধ্যে আলোচনা কিছু সময়ের জন্য থেমে গিয়েছিল। ২০২৫ সালের সেপ্টেম্বরে মার্কিন কর্মকর্তা ব্রেন্ডন লিঞ্চ নয়াদিল্লিতে ভারতীয় কর্মকর্তাদের সঙ্গে দেখা করেন। এরপর ট্রাম্পের ঘনিষ্ঠ এবং আমেরিকার মনোনীত রাষ্ট্রদূত সার্জিও গোর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গেও দেখা করেন। সম্প্রতি বিদেশমন্ত্রী এস. জয়শঙ্কর এবং বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের আমেরিকা সফরেও বাণিজ্য সংক্রান্ত বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠকগুলো থেকে স্পষ্ট যে ভারত ও আমেরিকার মধ্যে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আবার শক্তিশালী হওয়ার পথে এগোচ্ছে। এখন সবার নজর এই দিকে যে আমেরিকা ভারতের ওপর আরোপিত কর তুলে নেবে, নাকি এর জন্য আরও কিছুটা অপেক্ষা করতে হবে।