সংক্ষিপ্ত
বল ফেলার বাস্কেটের পাশে লোহার ওপর লাঠি দিয়ে একের পর এক আঘাত করতে থাকেন তার শিক্ষিকা। তারপরেই উচ্ছ্বাসে মেতে ওঠে গোটা স্কুল।
ছোটবেলা থেকে বিভিন্ন ধরনের খেলাধূলায় পারদর্শী হয়ে ওঠে শিশুরা। যথাযথ শিক্ষা না পেলেও তারা নিজের নিজের কৌশল ব্যবহার করে সঠিক লক্ষ্যমাত্রায় ঠিকই পৌঁছে যেতে পারে। শিল্প থেকে বুদ্ধিমত্তা, শিশুকালের ক্ষমতা অসীম, যা অনেকসময় বড়দের কল্পনাতেও আসে না। ঠিক যেমন, জুলস হুগল্যান্ডের দক্ষতা। হাইস্কুলের এই ছাত্রী চোখে দেখতে না পেলেও বাস্কেটবল খেলায় হারিয়ে দিতে পারে যে কোনও পারদর্শী খেলোয়াড়কে।
-
সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হয়েছে একটি ভিডিও, যেখানে জুলস হুগল্যান্ডের (Jules Hoogland) বাস্কেটবল খেলার দক্ষতা দেখে অভিভূত হয়ে গিয়েছেন নেটিজেনরা। অন্ধ ছাত্রীর জন্য শোনার ক্ষমতাকে প্রকট করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন শিক্ষিকা। এই ক্ষমতা দিয়েই সে বিপক্ষ দলকে ধরাশায়ী করে দিতে পারবে, এই বিশ্বাস ছিল তার নিজের দলের খেলোয়াড়দেরও। এই উদ্দেশে বল ফেলার বাস্কেটের পাশে লোহার ওপর লাঠি দিয়ে একের পর এক আঘাত করতে থাকেন তার শিক্ষিকা।
-
কোথায় বাস্কেট আছে, তা কানে শুনে আন্দাজ করে নিতে সক্ষম হয় জুলস হুগল্যান্ড। দু'একবার নিজের দাঁড়ানোর পজিশন ঠিক করে নিয়ে শব্দ থেমে যেতেই বল ছুঁড়ে দেয় সঠিক লক্ষ্যে। বল ছোড়ার মুহূর্তে স্তব্ধ হয়ে থাকে গোটা গ্যালারি, প্রত্যেকের মুখেই তখন বিস্ময় আর প্রবল আশা। তারপরেই উচ্ছ্বাস! সকল ছাত্রছাত্রীদের বাঁধভাঙা উচ্ছ্বাসের শব্দে মেতে ওঠে সম্পূর্ণ স্কুল চত্বর। ততক্ষণে জুলস-কে আনন্দে জড়িয়ে ধরেছে তার বিপক্ষ দলের খেলোয়াড়রাও।
-
সোশ্যাল মিডিয়ায় দারুণ নজর কেড়েছে আবেগে ভরপুর এই ভিডিও। নেটিজেনরা লিখেছেন, ‘শুধুমাত্র শিক্ষিকার লাঠির শব্দ নয়, সব বন্ধুদের এই বাঁধভাঙ্গা উচ্ছ্বাসের শব্দও জুলস সারা জীবন নিজের কানে ধরে রাখবে।’
-