সংক্ষিপ্ত

খেরসন থেকে রাশিয়ান বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে পরাজয় হিসাবে দেখা হচ্ছে। এটি রাশিয়ায় দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছিল যে ভ্লাদিমির পুতিন G-20 সম্মেলনে অংশ নেবেন না।

জি-২০ সম্মেলনে যোগ দিতে বালি যাচ্ছেন না রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। রাশিয়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের তৈরি রিপোর্টে এর পিছনে এক ভয়ঙ্কর কারণ তুলে ধরা হয়েছে। তবে এই কারণের ও রিপোর্টের সত্যতা যাচাই করা হয়নি। রাশিয়ার রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছেন জি-২০ সম্মেলনে খুন হয়ে যেতে পারেন ভ্লাদিমির পুতিন। ভাষ্যকার সের্গেই মার্কভ লিখেছেন যে রুশ বাহিনী ইউক্রেনের খেরসন থেকে প্রত্যাহার করেছে। এখন পুতিন আশঙ্কা করছেন যে তাকে হত্যার চেষ্টা হতে পারে। 'দ্য সান'-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, মার্কভ লিখেছেন, 'আমেরিকা, ব্রিটেন এবং ইউক্রেনের বিশেষ বাহিনী ভ্লাদিমির পুতিনকে হত্যার ষড়যন্ত্র করতে পারে এমন প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।' শুধু তাই নয়, মার্কো বলেছেন, জি-টোয়েন্টি বৈঠকের সময় তাকে ছোট করার বা অপমান করার ষড়যন্ত্র হতে পারে।

মার্কভকে রাশিয়ান শক্তির সমর্থক হিসাবে বিবেচনা করা হয়। রাশিয়াকে জিততে হলে অর্থনীতিকে সামরিক শক্তিতে রূপান্তরিত করতে হবে বলেও পরামর্শ দিয়েছেন তিনি। তিনি বলেন, এই সিদ্ধান্ত নিতে ইতিমধ্যে ৬ মাস বিলম্ব হচ্ছে। এখন আমাদের কঠিন সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তিনি বলেন, আমাদের কারখানাগুলোকে ড্রোন, যোগাযোগ, মিসাইল তৈরি করতে হবে।

উল্লেখ্য, খেরসন থেকে রাশিয়ান বাহিনী প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে পরাজয় হিসাবে দেখা হচ্ছে। এটি রাশিয়ায় দ্বন্দ্বের সৃষ্টি করেছে। এ ছাড়া সেনাবাহিনীর ফেরার সিদ্ধান্ত নিয়েও প্রশ্ন উঠছে। এর আগে বৃহস্পতিবার ইন্দোনেশিয়া জানিয়েছিল যে ভ্লাদিমির পুতিন G-20 সম্মেলনে অংশ নেবেন না। G20 শীর্ষ সম্মেলনের সমর্থন প্রধান লুহুত বিনসার পান্ডজাইতান বলেছেন, পুতিনের শীর্ষ সম্মেলনে যোগ না দেওয়ার সিদ্ধান্ত "আমাদের সবার জন্যই ভালো"। ভ্লাদিমির পুতিন যদি অনুষ্ঠানে যোগ দিতেন, তাহলে ইউক্রেনে হামলার পর এই প্রথম তাকে জো বাইডেনের সঙ্গে মঞ্চে দেখা যেত। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইডোডো এ বছর জি-২০ সম্মেলনের আয়োজন করছেন।

এদিকে, G-20 সম্মেলনে যোগ দিতে ইন্দোনেশিয়া যাবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আসন্ন ১ ডিসেম্বরই ইন্দোনেশিয়ার থেকে G20 গ্রুপের সভাপতিত্ব গ্রহণ করবে ভারত। এক বছরের জন্য সভাপতির পদটি থাকবে ভারতের হাতে। G-20 আর্জেন্টিনা, অস্ট্রেলিয়া, ব্রাজিল, কানাডা, চিন, ফ্রান্স, জার্মানি, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, ইতালি, জাপান, কোরিয়া প্রজাতন্ত্র, মেক্সিকো, রাশিয়া, সৌদি আরব, দক্ষিণ আফ্রিকা, তুরস্ক, যুক্তরাজ্য, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইউরোপীয় দেশ নিয়ে গঠিত।

১৫ এবং ১৬ নভেম্বর ইন্দোনেশিয়ার বালিতে G-20 শীর্ষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। এই সম্মেলনে যোগ দেবেন প্রধানমন্ত্রী মোদী সহ বিশ্বের শীর্ষ নেতারা। G-20 হল আন্তর্জাতিক অর্থনৈতিক সহযোগিতার একটি ফোরাম, যা বিশ্বের মোট দেশজ উৎপাদনের (GDP) ৮৫ শতাংশ, বিশ্ব বাণিজ্যের ৭৫ শতাংশেরও বেশি এবং বিশ্বের জনসংখ্যার প্রায় দুই-তৃতীয়াংশ প্রতিনিধিত্ব করে।

আরও পড়ুন

নতুন তালিবানি ফরমান জারি, জিম ও পার্কে যাওয়া বন্ধ মহিলাদের, বোরখা নিয়ে আরও কড়া ফতোয়া

অবতরণের সময় বিমানে গুলি! ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা মিডল ইস্ট এয়ারলাইনসের ফ্লাইটে

ফের বিদেশ সফরে প্রধানমন্ত্রী, G-20 শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দিতে গন্তব্য ইন্দোনেশিয়া