সংক্ষিপ্ত

বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, "২০১৮ সালের ভূমিকম্প এবং ২০১৯ সালে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তৈরি হওয়া সঙ্কট এবং বিপর্যয়ের সময়ে ভারত পাপুয়া নিউ গিনির সাথে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে।"

ভারত আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাতের ফলে হওয়া ক্ষয়ক্ষতি মোকাবিলা করার জন্য পাপুয়া নিউ গিনির দ্বীপ দেশকে সাহায্য করেছে। ত্রাণ সহায়তা হিসাবে ১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বা ৮ কোটি টাকার ত্রাণ পাঠানোর কথা ঘোষণা করেছে ভারত। পাপুয়া নিউ গিনির মাউন্ট উলাউনের একটি বড় আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত এই অঞ্চলে কার্যত ধ্বংসলীলা চালিয়েছে। মানবিক প্রয়োজনেই এই পদক্ষেপ বলে জানিয়েছে নয়াদিল্লি। ২৬ হাজার জনেরও বেশি মানুষ ঘরছাড়া এই দ্বীপদেশে। ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রক বলেছে যে ভারত এই বিপর্যয়ের ফলে তৈরি হওয়া ক্ষতির জন্য পাপুয়া নিউ গিনির জনগণের প্রতি গভীর সহানুভূতি প্রকাশ করেছে।

বিদেশ মন্ত্রক আরও বলেছে যে "ভারত-প্যাসিফিক দ্বীপপুঞ্জ সহযোগিতা ফোরাম (FIPIC) এর আওতায় থেকে ঘনিষ্ঠ বন্ধু এবং উন্নয়নের অংশীদার হিসাবে, এর সঙ্গে পাপুয়া নিউ গিনির বন্ধুত্বপূর্ণ জনগণের প্রতি সহানুভূতি জানিয়ে ত্রাণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। ভারত সরকার পাপুয়া নিউ গিনিতে ত্রাণ, পুনর্বাসন এবং পুনর্গঠনের জন্য বিশেষ পদক্ষেপ করছে।"

বিদেশ মন্ত্রক এক বিবৃতিতে বলেছে, "২০১৮ সালের ভূমিকম্প এবং ২০১৯ সালে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে তৈরি হওয়া সঙ্কট এবং বিপর্যয়ের সময়ে ভারত পাপুয়া নিউ গিনির সাথে দৃঢ়ভাবে দাঁড়িয়েছে।" ২০১৯ সালের নভেম্বরে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে ঘোষিত ভারতের ইন্দো-প্যাসিফিক ওশান ইনিশিয়েটিভ (IPOI) এর গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত হল একে অপরের বিপর্যয়ে পাশে দাঁড়ানো।

২০ নভেম্বর আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটে

জেনে রাখা ভালো যে ২০ নভেম্বর, পাপুয়া নিউ গিনিতে একটি বিশাল আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত ঘটেছিল। এ কারণে অবিলম্বে মানবিক সাহায্যের প্রয়োজন ছিল। ভারতের বিদেশ মন্ত্রক বলেছে যে তারা এই ধ্বংসযজ্ঞে পাপুয়া নিউগিনির জনগণের সাথে রয়েছে, যারা এই ধ্বংসযজ্ঞের কারণে অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। ভারত সবসময় এই দেশের পাশে আছে। প্রাকৃতিক দুর্যোগের সময়ও ভারত তার বন্ধু রাষ্ট্রের পাশে আছে। এর আগেও, যখন ২০১৮ এবং ২০১৯ সালে আগ্নেয়গিরির অগ্ন্যুৎপাত হয়েছিল, তখন ভারত সরকার পাপুয়া নিউ গিনিকে সাহায্য করেছিল।

আরও খবরের জন্য চোখ রাখুন এশিয়ানেট নিউজ বাংলার হোয়াটসঅ্যাপ চ্যানেলে, ক্লিক করুন এখানে।