সংক্ষিপ্ত
এআই ম্যাগাজিন জার্নালে গত মাসে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, এআই অগ্রগতির কারণে যে হুমকি তৈরি হয়েছে তা এই মুহূর্তের চেয়ে আরও বেশি গুরুতর হবে।
মনে হচ্ছে মানুষ আর যন্ত্রের যুদ্ধ আর সিনেমাতেই সীমাবদ্ধ থাকবে না। হয়তো কিছু সময় পর এআই এবং মানুষের মধ্যে যুদ্ধ হবে। এমন বলতে হচ্ছে কারণ একটি গবেষণা পত্রে, ক্যালিফোর্ণিয়ার বারকেলিতে অবস্থিত মেশিন ইন্টেলিজেন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউটের বিজ্ঞানী এলিজার ইয়ুদোকস্কি বলেন উন্নত AI (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) মানুষকে হত্যা করবে কারণ মেশিনগুলি মূলত তাদের শক্তির প্রয়োজনের জন্য মানুষের সাথে প্রতিযোগিতা করবে।
এআই কি মানুষকে শেষ করে দেবে?
এআই ম্যাগাজিন জার্নালে গত মাসে প্রকাশিত এই গবেষণায় বলা হয়েছে, এআই অগ্রগতির কারণে যে হুমকি তৈরি হয়েছে তা এই মুহূর্তের চেয়ে আরও বেশি গুরুতর হবে। যা ফোকাস করে যে AI, একবার যথেষ্ট উন্নত হলে, সমগ্র মানবজাতিকে হত্যা করতে পারে।
গুগল ডিপমাইন্ড সিনিয়র বিজ্ঞানী মার্কাস হাটার এবং অক্সফোর্ড গবেষক মাইকেল কোহেন এবং মাইকেল অসবোর্ন, যারা গবেষণা দলের অংশ, নিশ্চিত করেছেন যে ভবিষ্যতে এআই তার মানব নির্মাতাদের নিয়ম লঙ্ঘন করবে।
যদিও গবেষকরা কোন নিয়মের কথা বলছেন তা স্পষ্ট নয়, নিয়মগুলি ক্লাসিক কমান্ড হতে পারে যেমন একটি রোবট একজন মানুষকে আঘাত করতে পারে না।
গুগলের ইঞ্জিনিয়রা আগেই সতর্ক করেছিলেন
কিন্তু গবেষকরা সতর্ক করেছেন যে একবার মেশিন এবং এআই যথেষ্ট উন্নত হয়ে গেলে, তারা মানুষের সাথে প্রতিযোগিতা করবে। যা শক্তি জড়িত এবং তারপর নিয়ম লঙ্ঘন করবে যা তাদের নির্মাতাদের সাথে তাদের যোগাযোগ বাধ্যতামূলক করে।
সফ্টওয়্যার ইঞ্জিনিয়ার ব্লেক লেমোইন, যিনি গুগলে এআই টিমের সাথে কাজ করেছেন। তিনি দাবি করেছেন যে চ্যাটবটটিতে তিনি কাজ করছেন। এবার তাঁর দাবি যদি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার মাত্রা কমানো না হয়, তবে মানবজাতির প্রয়োজন আর বাঁচবে না। ধ্বংস হয়ে যেতে পারে মানুষ। এই পরিস্থিতি এড়ানো সহজ নয় বলেই মনে করছেন তাঁরা।
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার প্রযুক্তি মানবজাতির জন্য একদিকে যেমন আশীর্বাদ হতে পারে তেমনি এর ঝুঁকি নিয়েও চলছে বিস্তর জল্পনা। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কীভাবে পৃথিবীকে শেষ করে দেবে সম্প্রতি এক লোমহর্ষক বর্ণনায় সেই কথাই জানিয়েছে চ্যাটজিপিটি। এতে বহু ব্যবহারকারী তাদের উৎকণ্ঠা প্রকাশ করেছে। উদাহরণ হিসেবে বলা যায়, আলফাগো জিরো সফটওয়্যার তিন দিন ধরে নিজের বিরুদ্ধেই ‘গো’ (একটি বোর্ড গেম) খেলার পরে দক্ষতার দিক থেকে সুপার-হিউম্যান পর্যায়ে পৌঁছে গেছে। ‘কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার এ পদ্ধতি যতই শক্তিশালী হয়ে উঠবে, ততই এটি অতি বুদ্ধির অধিকারী হয়ে উঠবে। এটি হয়তো বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই মানুষের সক্ষমতাকেও ছাড়িয়ে যাবে’ বলছে এক্সিসটেনশিয়াল রিস্ক সেন্টার।