সংক্ষিপ্ত
জল সংকট সমাধান ২০২৫: বর্তমানে বিশ্ব জল সংকটে ভুগছে। জেনে নিন কোন ১০টি দেশে জলের অভাব সবথেকে বেশি যেখানে মানুষ জলের জন্য হাহাকার করছে।
Global Water Crisis: আজকের দিনে জল সংকট একটি বিরাট সমস্যা। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে বিভিন্ন দেশ জল সংরক্ষণের জন্য বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করছে। জলের অভাব এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য জল সংরক্ষণের জন্য সারা বিশ্বে ২২ মার্চ বিশ্ব জল দিবস (World Water Day) পালন করা হয়। সারা বিশ্বে জল সংকটের অনেক কারণ রয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হল জনসংখ্যা বৃদ্ধি, নগরায়ণ, আধুনিকীকরণ, জলবায়ু পরিবর্তন এবং জলের অপচয়। তাই আজ আমরা এই নিবন্ধে আলোচনা করব, বিশ্বের কোন দশটি দেশে জলের অভাব সবথেকে বেশি।
এখানে বিশ্বের ১০টি দেশ যেখানে জলের অভাব সবথেকে বেশি
কুয়েত – এই দেশ বিশ্বে সবথেকে বেশি জল সংকটে ভুগছে। এখানে মিষ্টি জলের প্রাকৃতিক উৎস প্রায় নেই বললেই চলে, যার কারণে জলের অভাব সবসময় লেগেই থাকে।
সাইপ্রাস – জলের চরম অভাবের কারণে এই দেশ বিশ্বে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে। জল সরবরাহ বজায় রাখা এখানকার প্রধান চ্যালেঞ্জ।
ওমান – জলের অতিরিক্ত অভাবের কারণে এই দেশের জনবসতি এবং কৃষিকাজ মারাত্নকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
কাতার – এখানে প্রাকৃতিক মিষ্টি জলের উৎস প্রায় নেই, তাই জল সরবরাহের জন্য প্রধানত সমুদ্রের জল পরিশোধন (Desalination) করার ওপর নির্ভর করতে হয়।
বাহরাইন – এই দেশেও জলের খুব অভাব এবং এই অভাব পূরণ করার জন্য ডিস্যালিনেশন পদ্ধতির ওপর নির্ভর করতে হয়।
লেবানন – এখানে জল সংকটের সাথে সাথে জল দূষণও একটি বড় সমস্যা, যার কারণে পরিষ্কার জল পাওয়া আরও কঠিন হয়ে পরে।
সংযুক্ত আরব আমিরাত (UAE) – অতিরিক্ত গরম এবং শুষ্ক জলবায়ুর কারণে এখানে জলের অভাব দেখা যায়। একই সাথে, এখানে জলের খরচও অনেক বেশি, যার কারণে জল সংকট আরও বেড়ে যায়।
সৌদি আরব – এখানে ভৌমজল স্তর খুব দ্রুত কমে যাচ্ছে, এবং জলের চাহিদা পূরণ করার জন্য ডিস্যালিনেশনের ওপর অতিরিক্ত নির্ভরতা রয়েছে।
ইজরায়েল – এখানে জল সংকট কমানোর জন্য উন্নত মানের প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়, কিন্তু তবুও জলের সহজলভ্যতা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
মিশর – এই দেশ নীল নদ থেকে অতিরিক্ত জল ব্যবহার করার ফলে এবং জনসংখ্যা বৃদ্ধির কারণে জলের চাহিদা বাড়ছে, যার ফলে জল সংকট আরও বাড়ছে।