সংক্ষিপ্ত
- ভিনগ্রহীদের নিয়ে মানুষের মনে কৌতূহলের শেষ নেই
- ২ জুলাই বিশ্ব ইউএফও দিবস হিসেবে পালিত হয়
- ২০০১ সালে হ্যাকতান আকদগান সর্বপ্রথম এই দিবস পালন করেন
- অনেকে ২৪ জুনও এই দিবস পালন করেন
সত্যজিৎ রায়ের 'বঙ্কুবাবুর বন্ধু'-র সেই অ্যাং-কে মনে আছে। কিংবা 'কই মিল গায়া'-র জাদু। আসলে ভিনগ্রহীদের নিয়ে সাধারণ মানুষের মনে কৌতূহলের শেষ নেই। মহাকাশের বিভিন্ন অজানা বিষয়কে জানার জন্য সেখানে পাড়ি দিয়েছে মানুষ। একই সঙ্গে ভিনগ্রহীদের জীবন নিয়েও যথেষ্ট কৌতূহল রয়েছে। আর সেই কৌতূহলের জেরেই মহাকাশে চোখে পড়া বিভিন্ন অজানা বস্তুকে অনেকেই আনআইডেন্টিফায়েড ফ্লাইং অবজেক্ট বা ইউএফও বলে অভিহিত করেন। ২ জুলাই দিনটিকে বিশ্ব ইউএফও দিবস হিসেবে পালন করা হয়ে থাকে।
আরও পড়ুন- প্রবল গরমে মাঝ মরুভূমিতে বরফ জলে ডুব, করোনাকালে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াচ্ছেন দুবাইবাসী
ইউএফও সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধির জন্যই ২ জুলাই পালিত হয় বিশ্ব ইউএফও দিবস। ২০০১ সালে ইউএফও বিশেষজ্ঞ হ্যাকতান আকদগান সর্বপ্রথম এই দিবস পালন করেছিলেন। অনেকে ২৪ জুনও এই দিবস পালন করেন। ইউএফও এমন এক মহাজাগতিক বস্তু যার কোনও সংজ্ঞা নেই।
বিমানচালক কেনেথ আর্নল্ড সবার প্রথম ইউএফও-র কথা বলেছিলেন। তাঁর মতে, ইউএফও দেখতে খানিকটা চ্যাপটা ডিশের মতো। এরপর থেকেই অজানা ভিনগ্রহীর জাহাজের আকৃতি হিসেবে এই বর্ণনাই স্বীকৃত হয়ে আসছে।
আরও পড়ুন- গরুকে ঈশ্বর রূপে পুজো করেন কত জন, ধর্মীয় ভারতের অজানা তথ্য Pew-র সমীক্ষায়
১৯৪৭-র ২ জুলাই মেক্সিকোর রসওয়েলের কাছাকাছি মরুভূমিতে ভেঙে পড়েছিল একটি বেলুন। মেক্সিকোর লিংকন কান্ট্রিতে এই বেলুন দেখে ইউএফও ভেবে বসেন জনৈক উইলিয়াম ব্রিজেল। যদিও পরবর্তীতে মার্কিন সেনা ওই ধ্বংসাবশেষকে ওয়েদার বেলুন বলে চিহ্নিত করে। রসওয়েল ঘটনা মূলত এক গোপন মার্কিন ষড়যন্ত্রের দিকে ইঙ্গিত করে। গবেষকদের মতে, সোভিয়েত রাশিয়ার বিস্ফোরক গবেষণার বিষয়ে আন্দাজ করতে বাতাসে ওয়েদার বেলুনে মাইক্রোফোন আটকে উড়িয়ে দিয়েছিল আমেরিকা।
আরও পড়ুন- রূপকথা নয়, বাস্তবের মাটি ছেড়ে আকাশে উড়ল চারচাকা গাড়ি
এরপর থেকেই বিশ্ব ইউএফও সংগঠন ২ জুলাই ইউএফও দিবস হিসেবে পালন করে আসে। ২ জুলাই এই রসওয়েলের পাশাপাশি সারা বিশ্বের নানা জায়গায় এলিয়েনদের মতো সেজে শুরু হয় পার্টি, চলে ইউএফও দিবস উদযাপন।