সংক্ষিপ্ত
- দুই মিনিটেই বিক্রি হয়ে গিয়েছে আইপিএল ফাইনালের সব টিকিট
- হায়দরাবাদে ফাইনাল খেলা হলেও সেখানার সমর্থকরাই টিকিট পাননি বলে অভিযোগ
- টিকিট বিক্রির দায়িত্বে রয়েছে ইভেন্টস নাও সংস্থা
- এই বিষয়ে বিসিসিআই-এর ব্যাখ্যা চায় হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন
ম্যাগি তৈরি করতে ২ মিনিট সময় লাগে বলে দাবি করা হয়। ঠিক ওই দুই মিনিটেই বুধবার বিক্রি হয়ে গিয়েছে আইপিএল ২০১৯-এর ফাইনাল খেলার সব টিকিট বলে জানিয়েছে বিসিসিআই-এর টিকিট বিক্রির দায়িত্বে থাকা ইভেন্টস নাও সংস্থা। হায়দরাবাদের রাজীব গান্ধী স্টেডিয়ামে খেলা হবে এইবারের আইপিএল-এর ফাইনাল, অথচ অতি দ্রুত ব টিকিট বিক্রি হয়ে যাওয়ায় নিজামের শহরের কোনও ক্রিকেট ভক্তই টিকিট পাননি বলে অভিয়োগ উঠেছে। টিকিট বিক্রির ক্ষেত্রে 'ডাল মে কুছ কালা হ্য়ায়' বলে মনে করছেন হায়দরাবাদ ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের কর্তারাও।
স্টেডিয়ামটিতে দর্শকাসন রয়েছে ৩৯,০০০। এর মধ্যে ২৫,০০০ থেকে ৩০,০০০ টি আসনের টিকিট বিক্রি করা হয়। আগাম ঘোষণা ছাড়াই বুধবার সকালে হঠাত করেই ইভেন্টস নাও সংস্থা জানায় এদিন আইপিএল ফাইনালের টিকিট বিক্রি করা হবে। কিন্তু অধিকাংশ ক্রিকেট ভক্তই খবর পেয়ে আইপিএল-এর ওয়েবসাইটে লগ ইন করে হতাশ হয়েছেন। কারণ সবাইকেই দেখে হয়েছে সব টিকিট বিক্রি হয়ে গিয়েছে। পরে জানানো হয়, এতে সময় লেগেছে মাত্র ১২০ সেকেন্ড।
আর এই নিয়েই সন্দেহ দানা বাঁধছে এইচসিএ-এর কর্তাদের মনে। তাঁরা বলছেন, আগে থেকে কোনও খবর ছিল না, তা সত্ত্বেও এত টিকিট ২ মিনিটে কী করে বিক্রি হয়ে গেল? কারা কিনলেন সেইসব টিকিট? কেউ অবশ্য প্রকাশ্যে কিছু বলছেন না। কিন্তু নাম গোপন রেখে সংবাদমাধ্যমের সামনে ক্ষোভ উগরে দিচ্ছেন। তাঁদের বক্তব্য এই বিষয়ে সব তথ্য নিয়ে সামনে আশা উচিত বিসিসিআই-এর।
ফাইনালের জন্য ১০০০ টাকা, ১৫০০ টাকা, ২০০০ টাকা, ২৫০০ টাকা, ৫০০০ টাকা, ১০০০০ টাকা, ১২০০০ টাকা, ১৫০০০ টাকা, এবং ২২০০০ টাকা মূল্যের টিকিট বিক্রি করা হবে। কিন্তু, বুধবার ইভেন্টস নাও-এর পক্ষ থেকে শুধুমাত্র ১৫০০ টাকা, ২০০০ টাকা ২৫০০ টাকা এবং ৫০০০ টাকা মূল্যের টিকিটই বিক্রি করেছে বলে জানা গিয়েছে। হায়দরাবাদের ক্রিকেট কর্তা থেকে ভক্তরা সবাই প্রশ্ন করছেন অন্য টিকিটগুলির কী হল? কোথায় গেল অধিক মূল্যের টিকিটগুলি? মোট কত সংখ্যক টিকিট বিক্রি করা হয়েছে তাও পরিষ্কার করে জানায়নি ইভেন্টস নাও। তাদের দাবি বিসিসিআই তাদের যা টিকিট দিয়েছিল, তারা সেটাই বিক্রি করেছে।