সংক্ষিপ্ত
• কাল ছিল আইপিএল ২০২০ এর দশম ম্যাচ
• মুখোমুখি হয়েছিল আরসিবি এবং মুম্বই
• গোটা ম্যাচ জুড়ে বয়েছে চার ছক্কার বন্যা
• হাড্ডাহাড্ডি ম্যাচ গড়িয়েছিল সুপার ওভার অবধি
ফর্মে ফিরলেন ফিঞ্চ-
আইপিএলের প্রথম দুই ম্যাচে তেমন কিছু করে দেখাতে পারেননি ওপেনার অ্যারন ফিঞ্চ। তাকে নিয়ে অনেক প্রত্যাশা ছিল আরসিবি ভক্তদের কাছে। অবশেষে তৃতীয় ম্যাচে এসে ফিরলেন ফর্মে। এদিন করলেন ৩৫ বলে ৫২ রান।
ভরসা দিচ্ছেন দেবদূত-
কর্ণাটকের এই তরুণ চলতি আইপিএলে ব্যাঙ্গালোরের অন্যতম ভরসা হয়ে উঠেছেন। প্রথম ম্যাচের পর আজ আবারও করলেন অর্ধশতরান। ৫ টি চার ও ২ টি ছয়ের সাহায্যে ৫৪ রান করেন তিনি।
অফফর্ম অব্যহত কোহলির-
গত দুই ম্যাচের মতো এই ম্যাচেও ব্যর্থ আরসিবি অধিনায়ক কোহলি। এদিন ১১ বল খেলে মাত্র ৩ রান করে ফেরেন তিনি। তার ফর্মে না থাকা চিন্তা বাড়াচ্ছে ব্যাঙ্গালোরের।
দুর্দান্ত ছন্দে এবি-
এই মুহূর্তে আরসিবির কাছে সবচেয়ে ভালো খবর ডিভিলিয়ার্সের ফর্মে থাকা। তিন ম্যাচেই ব্যাট হাতে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করে অরেঞ্জ ক্যাপের দৌড়ে আছেন তিনি। এদিন মাত্র ২৪ বলে ৫৫ রান করেন তিনি। যশপ্রীত বুমরাকে স্কুল ক্রিকেটের স্তরে নামিয়ে এনে তার বিরুদ্ধে খেলা ৮ টি বলে ২৭ রান করেন এবি।
দুবে ধামাকা-
এক সময় মনে হচ্ছিল আরসিবির ইনিংস শেষ হবে ১৮০ থেকে ১৯০ এর মধ্যে। কিন্তু ব্যাট হাতে বিস্ফোরক ইনিংস খেলে আরসিবিকে ২০০র গন্ডি পার করতে সাহায্য করেন শিবম দুবে। মাত্র ১০ বলে তিনটি ছয় ও একটি চার সহযোগে ২৭ রান করেন তিনি।
ব্যর্থ মুম্বই টপ অর্ডার-
২০২ রান তাড়া করতে নেমে মুম্বইকে ভালো স্টার্ট দিতে ব্যর্থ হয় টপ অর্ডার। ব্যাক্তিগত ৮ এবং ১৪ রানের মাথায় ফেরেন রোহিত শর্মা ও কুইন্টন ডি কক। ব্যর্থ হন সূর্যকুমার যাদব এবং হার্দিক পান্ডিয়াও।
কিষান পোলার্ড জুটি-
মুম্বইয়ের বাকি ব্যাটসম্যানরা কাল ব্যর্থ হলেও মুম্বইকে ম্যাচে রেখেছিল পোলার্ড-কিষান জুটি। তাদের ৫১ বলে ১১৯ রানের পার্টনারশিপ শেষ পর্যন্ত ম্যাচকে সুপার ওভারে নিয়ে যায়।
ট্র্যাজিক নায়ক ঈশান-
একসময় অসম্ভব মনে হওয়া স্কোরকে প্রায় চেজ করে ফেলেছিল মুম্বই। সৌজন্যে সৌরভ তেওয়ারির চোটের কারণে সুযোগ পাওয়া ঈশান কিষান। ৫৮ বলে ৯৯ রানের অসাধারণ একটা ইনিংস খেলে ২ বলে ৫ রান বাকি থাকা অবস্থায় আউট হয়ে তিনি পরিণত হন ট্র্যাজিক নায়কে।
রোহিতের চমকপ্রদ সিদ্ধান্ত-
ম্যাচ সুপার ওভারে গড়ানোর পর পোলার্ডের সঙ্গী হিসেবে কিষানকে না পাঠিয়ে প্রথমে হার্দিক এবং পরে নিজে আসেন রোহিত শর্মা। যুক্তি হিসাবে কিষানের ক্লান্তির দোহাই দিলেও সেই যুক্তি মানতে পারেননি কেউই। প্রসঙ্গত, সুপার ওভারে পুরোপুরি ব্যর্থ হন পান্ডিয়া ও রোহিত।
দুর্দান্ত সাইনি-
সুপার ওভারে পোলার্ড এবং হার্দিক পান্ডিয়ার মতো দু জন মারকুটে ব্যাটসম্যানের সামনে ৬ বলে মাত্র ৭ রান দেন নভদীপ সাইনি। ওখানেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে যায়। মুম্বইয়ের হয়ে বুমরা সুপার ওভারে ভালো বল করলেও ৮ রান তুলতে অসুবিধা হয়নি কোহলি-এবি জুটির।