সংক্ষিপ্ত

• কাল ছিল আইপিএল ২০২০-এর ষষ্ঠ ম্যাচ
• মুখোমুখি হয়েছিল পাঞ্জাব এবং ব্যাঙ্গালোর
• বড় রানের ব্যাবধানে বিরাটদের হারালো পাঞ্জাব
• দুই পেসারের ওপেনিং স্পেলই ম্যাচের গতি নির্ধারিত করে দিয়েছিল

 বিরাট কোহলির রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোরকে ৯৭ রানে হারিয়ে আইপিএল ২০২০-র প্রথম জয় তুলে নিল লোকেশ রাহুলের কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব। ম্যাচে এদিন ১৩২ রানের বিধ্বংসী ইনিংস খেলেন রাহুল। যার উপর ভর করে দল ২০৬ রান তুলে আরসিবিকে ২০৭ রানের টার্গেট ছুঁড়ে দেয়। এত বড় রান তাড়া করতে নেমে নিয়মিত ব্যাবধানে উইকেট হারাতে থাকে বিরাট কোহলির দল। শেষ পর্যন্ত ১৭ তম ওভারেই রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর ১০৯ রানে অলআউট হয়। এদিন ১৩২* হাঁকিয়ে আইপিএলে ভারতীয়দের মধ্যে ইনিংসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহক হয়েছেন রাহুল। যদিও তার ধন্যবাদ দেওয়া উচিত বিরাট কোহলিকে। ৯০ এর ঘরে থাকাকালীন দু বার তার মিসহিট করা শট তালুবন্দি করতে ব্যর্থ হন কোহলি। ওই ক্যাচ গুলি এতটাই সহজ ছিল যে পাড়ার ক্রিকেটেও তা মিস করা অপরাধ হিসেবে গণ্য হবে। সেই ক্যাচ মিসগুলির দৌলতে ম্যাচের সেরাও হয়েছেন কে এল রাহুল। 

পাহাড় প্রমাণ রান তাড়া করতে নেমে এদিন শুরু থেকেই চাপের মুখে পড়ে আরসিবি ধারাবাহিকভাবে উইকেট হারাতে থাকে। গত ম্যাচের হাফ সেঞ্চুরিয়ান দেবদূত পাডিকল এদিন ১ রান করে আউট হন। দ্রুত উইকেট হারানোয় নিজে তিন নম্বরে না এস বিরাট কোহলি জোস ফিলিপেকে ব্যাটিং করার সুযোগ করে দেন। টপ অর্ডারে সুযোগ পেলেও এদিন ০ রানে সাজঘরে ফিরলেন। বিরাট চারে নেমে ১ রানে আউট হন। ওইখানেই ম্যাচের ভাগ্য নির্ধারিত হয়ে গিয়েছিল। তারপরেও এবি ডিভিলিয়ার্স ২৮ ও আরসিবির হয়ে ওয়াশিংটন সুন্দর সর্বোচ্চ ৩০ রান করে একটি মরিয়া চেষ্টা চালিয়েছিলেন, কিন্তু তা একেবারেই যথেষ্ট ছিল না। 

পাঞ্জাবের স্পিনাররা এদিন অসাধারণ বোলিং করেন। ২০২০ অনূর্ধ্ব-১৯ বিশ্বকাপে ভারতের সবচেয়ে সফল বোলার রবি বিষ্ণোই আজও তার স্পিনের মায়াজালে ব্যাটসম্যানদের ব্যাতিব্যস্ত করে তোলেন। আগের ম্যাচে এক উইকেট পেয়েছিলেন, এদিন ৪ ওভারে ৩২ রান খরচে ৩টি উইকেট নিলেন। দলের অন্য স্পিনার মুরগান অশ্বিনও ৩টি উইকেট পান। পাঞ্জাবের বোলারদের মধ্যে সেলডন কটরেল ৩ ওভারে ১৭ রান খরচে ২টি উইকেট নিয়েছেন। মহম্মদ সামি ৩ ওভরে ১৪ রান খরচে ১টি উইকেট নিয়েছেন। তাদের ওপেনিং স্পেলই ছিল ম্যাচের মূল টার্নিং পয়েন্ট। এই বড় রান তাড়া করার ক্ষেত্রে শুরুটা ভালো না হলে পুরো দল সমস্যায় পড়ে যায়। আর কটরেল এবং সামির ওপেনিং স্পেলটাই আরসিবি-র টপ অর্ডার গুঁড়িয়ে দেয়। ম্যাচের ভাগ্য ওখানেই নির্ধারিত হয়ে যায়।