সংক্ষিপ্ত
- সরকারি অনুষ্ঠান এড়িয়ে অন্য অনুষ্ঠানে শুভেন্দু অধিকারী
- মন্ত্রীর সরকারি অনুষ্ঠান দ্বিতীয় বার 'বয়কট' করায় বিতর্ক
- সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়
- বিতর্ক এড়াতে গিয়ে শুধু বললেন, উনি এলে ভালো হত
ফের সরকারি অনুষ্ঠান এড়িয়ে মূল সভাস্থল থেকে ৫ কিলোমিটারের মধ্যেই বেসরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকলেন মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। স্বাধীনতা সংগ্রামের দুই বীর যোদ্ধা সিধু-কানহুর আত্ম বলিদান দিবসের স্মরণীয় দিন হুল দিবসের ৪০দিনের মাথায় একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি। পরিবেশ মন্ত্রীর সরকারি অনুষ্ঠান দ্বিতীয় বার 'বয়কট' করায় বিতর্ক ছড়ালো রাজ্য়ে। সরকারি অনুষ্ঠানে উপস্থিত মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিতর্ক এড়াতে গিয়ে শুধু বললেন, উনি এলে ভাল হত।
অর্জুন ঘনিষ্ঠ বিজেপি নেতার গাড়িতে বোমাবাজি, কোনও মতে প্রাণ বাঁচিয়ে রক্ষা
রবিবার বিশ্ব আদিবাসী দিবস উপলক্ষ্যে ঝাড়গ্রামে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের রাজ্য স্তরীয় মূল অনুষ্ঠান ছিল। ঝাড়গ্রাম শহরের জেলাশাসক হলের সিধু কানু মঞ্চে যেখানে ৩০শে জুলাইয়ের মতোই দুই মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও শুভেন্দু অধিকারী উপস্থিত থাকার কথা ছিল। সেই মতো বিভিন্ন দৈনিকে বিজ্ঞাপন দেওয়াও হয় সরকারের তরফে। যদিও শুভেন্দু অধিকারী সেই সরকারি অনুষ্ঠান এড়িয়ে চলে যান ঝাড়গ্রাম শহর থেকে সামান্য কিছুটা দুরে জঙ্গল বেষ্টিত গ্রাম পিয়ালগেড়িয়া বাচরা বয়ার ক্লাব আয়োজিত 'বিশ্ব আদিবাসী দিবস' অনুষ্ঠানে।
সন্ত্রাসের বিষ ঢালাই ছিল কাজ, মুসলিম দুনিয়ায় অবাধ যোগ বাদুড়িয়ার 'জঙ্গি যুবতীর'
গতবারের মতোই শুভেন্দু অধিকারী বেছে নিয়েছিলেন ২০০৮-১১ মাওবাদী পর্বে উত্তাল হওয়া এলাকা ঝাড়গ্রামের শালবনি নেদাবহড়া অঞ্চল। ঠিক যেমনটা ৪০দিন আগে পৌঁছে গিয়েছিলেন লালগড়ের বিদ্রোহী এলাকা কাঁটাপাহাড়িতে। ঘটনা এটাই যে ওই উত্তাল সময়ে শুভেন্দুএই অঞ্চলে ঘুরে বেড়িয়েছেন। যদিও সিপিএমের অভিযোগ ছিল তিনি মাওবাদীদের সঙ্গে ওই এলাকায় সিপিএম বিরোধী অভিযান চালিয়েছিলেন । আবার ঘটনা এটাই যে ২০১১র পর এই এলাকার আদিবাসী যুবকদের নিয়েই মাও সন্ত্রাস বিরোধী সংগঠন গড়ে তুলেছেন, যখন সরকার পরিবর্তনের পর মাওবাদীদের হাতে তৃণমূল নেতা কর্মীরা খুন হতে শুরু করে। এদিনের সভায় শুভেন্দু তাই মাওবাদীদের হাতে খুন হওয়া তৃণমূল কর্মী সনাতন হেমব্রম, উত্তম মাহাতো কিংবা তৃণমূল মুখী বাবু বোসদের নাম বলেছেন।
শুভেন্দু বারবার মনে করে দিয়েছেন, এই এলাকায় মোটর বাইক বা পায়ে হেঁটে ঘুরেছেন তিনি, থেকেছেন আদিবাসী জনতার পাশে। এদিন এলাকার ৫০টি ক্লাবকে ফুটবল জার্সি এবং ১০টি ক্লাবকে ধামসা মাদল তুলে দিতে গিয়ে মন্ত্রী মনে করিয়ে দিয়েছেন লকডাউন পর্বে ঝাড়গ্রাম, বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ার প্রায় ১৫ হাজার পরিবারে ৫দিনের রেশন, মাস্ক ও সাবান পৌঁছে দিয়েছেন। শুভেন্দু আরও মনে করিয়ে দেন, বিখ্যাত তিরন্দাজ মনিকা সরেনকে তিনি যেমন চাকরি দিয়েছেন ঠিক তেমনই ফুটবলার লক্ষ্মী মাণ্ডির চাকরির ব্যবস্থাও চলছে।
বিগত একের পর এক সরকারি ও দলীয় অনুষ্ঠান কার্যত বয়কটের পর সদ্য গঠিত দলের রাজ্যস্তরীয় কো-অর্ডিনেশন কমিটির প্রথম বৈঠক বয়কট করেছেন দিন পাঁচেক আগে। তারপর আবারও ঝাড়গ্রামের সরকারি সভা এড়িয়ে সেই ঝাড়গ্রামেরই বেসরকারি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে ফের বুঝিয়ে দিলেন শুভেন্দু আছেন শুভেন্দুতেই।