সংক্ষিপ্ত

  • নিজে সেভাবে যাননি দেশের বাইরে
  • অথচ মুসলিম বিশ্বে তার অবাধ যোগাযোগ
  • যা দেখে হতবাক হয়েছেন কেন্দ্রীয় গোয়েন্দারা
  •  বাদুড়িয়ার 'জঙ্গি যুবতী' এখন চিন্তার কারণ  

নিজে সেভাবে যাননি রাজ্য়ের বাইরে। অথচ মুসলিম বিশ্বে তার যোগাযোগ দেখে হতবাক হয়েছেন ন্যাশনাল ইনভেস্টিকেটিভ এজেন্সির আধিকারিকরা। একাধারে পাকিস্তান,ইরান, ইরাক,সৌদি আরবে অবাধ নেটওয়ার্ক তার। বাদুড়িয়ার 'জঙ্গি যুবতী' এখন গোয়েন্দাদের চিন্তার কারণ।  

মাত্র ২১ বছর বয়সেই ঢুকে গিয়েছিল সন্ত্রাসের বিষ। যার জেরে রাজ্য়ে বসে পাকিস্তানের একাধিক জঙ্গি গোষ্ঠীর লিঙ্কম্যানের কাজ করছিল  বাদুড়িয়ার যুবতী। অ্যাকাউন্টে কোটি কোটি  টাকা লেনদেন  হওয়াতেই প্রথমে সন্দেহ হয় কলকাতা পুলিশের। এরপর যুবতীর ওপর নজর রাখা শুরু করে স্পেশ্য়াল টাস্ক ফোর্স। তারপরই বেরিয়ে আসে জঙ্গি যোগ।

'সুযোগ নিচ্ছেন মমতা', তড়িঘড়ি মুকুল নিয়ে 'ভোল বদল' দিলীপের.

জানা গিয়েছে, পাকিস্তানের ইন্টার সার্ভিসেস ইন্টেলিজেন্স বা আইএসআই-এর যোগ রয়েছে কলেজ ছাত্রীর। নতুন লিঙ্কম্য়ান তৈরি করতে ৩০টিরও বেশি গ্রুপের অ্যাডমিন ছিল তানিয়া পারভিন। মূলত, হোয়াটসঅ্যাপ-ফেসবুকের মাধ্যমে জিহাদি বার্তা ছড়াচ্ছিল এই কলেজ ছাত্রী। বৃহস্পতিবারই কলকাতা এসটিএফ-এর জালে ধরা পড়েছিল এই যুবতী। মাত্র ২৪ ঘণ্টার মধ্য়েই তাকে জেরা  করে আরও এক ছাত্রকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে,অভিযুক্ত যুবতী তানিয়া পারভিনের সঙ্গে একই কলেজে পড়াশোনা করে প্রথম বর্ষের ছাত্র মনাজিরুল ইসলাম মন্ডল। 

তানিয়ার মাধ্যমেই অনেক যুবক পৌঁছে গিয়েছে ভিন দেশের জঙ্গি প্রশিক্ষণ শিবিরে। গোয়েন্দাদের ধারণা,জঙ্গি সংগঠনগুলির নিয়োগকারী হিসাবে কাজ করত সে। ইতিমধ্য়েপারবিনকে জেরা করে ভারতে ইসলামিক জঙ্গি সংগঠনগুলি যে মাথাচাড়া দিচ্ছে, তা জানতে পেরেছে এনআইএ। লস্কর-এ-তইবা ছাড়াও আল-কায়েদা, জামাতুল মুজাহিদিন, আনসার উল ইসলাম নামে বহু জঙ্গি সংগঠন পাকিস্তানের হাত ধরে উপমহাদেশে সক্রিয় হয়ে উঠেছে। এদেরকে মদত জোগাচ্ছে পাক গোয়েন্দা সংস্থা আইএসআই।

হাতে ঘাসফুল-মনে পদ্মফুল, দলের 'গদ্দারদের' নিয়ে চিন্তায় তৃণমূল

চলতি বছরের মার্চ মাসেই স্পেশ্যাল টাস্ক ফোর্স গ্রেফতার করে তানিয়াকে।  পরবর্তীকালে ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব নেয় জাতীয় তদন্তকারী সংস্থা (এনআইএ)। জানা গিয়েছে কমবয়সীদের মগজ ধোলাই শুরু করেছিল ওই ছাত্রী। তার সঙ্গে জুড়ে যায় একই কলেজের প্রথম বর্ষের ছাত্র মনাজিরুল ইসলাম মন্ডল। খবর জানতে পেরেই দেগঙ্গা থানার হাঁদিপুর গ্রাম থেকে যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। ছাত্রের বাবা রুহুল আমিন ইসলাম স্থানীয় এক মাদ্রাসায় শিক্ষকতা করেন। 

কলকাতাতেই ২৭ হাজার ছাড়াল করোনা আক্রান্ত, মৃতের সংখ্যা ৯০০-র বেশি

ধৃত ছাত্রের কাছ থেকে কলকাতা পুলিশের এসটিএফ বেশ কয়েকটি মোবাইল ও গুরুত্বপূর্ণ নথি উদ্ধার করেছে। পাকিস্তান সহ বেশ কয়েকটি দেশের জঙ্গি গোষ্ঠীর সঙ্গে তথ্য আদান প্রদান সহ ফেসবুক গ্রুপে একাধিকবার যোগাযোগ করে ওই ছাত্র। রাজ্য়ে  ধর্মীয় উস্কানিমূলক কাজ ও যুবক-যুবতীর দেশবিরোধী কাজের সঙ্গে যোগসূত্র তৈরি করাই ছিল তার কাজ। রাজ্য়ে বিরোধীরা বার বার বলে এসেছে, মাদ্রাসা থেকে জঙ্গি সংগঠনগুলি কমবয়সী পড়ুয়াদের মগজ ধোলাই করে। ধর্মীয় উস্কানিকে কাজে লাগিয়ে দেশ বিরোধী শক্তিকে কাজে লাগাচ্ছে জঙ্গিরা। এবার তার সরাসরি প্রমাণ পাওয়া গেল।