সংক্ষিপ্ত

  • প্রতিবছরই গরমকালে রক্তের সংকট দেখা যায়
  • এ বছর তাই আগেভাগেই নড়েচড়ে বসল স্বাস্থ্য় দফতর
  • তারা এবছর প্রায় ১৮ হাজার বোতল রক্ত সংগ্রহের অভিযানে নামল
  • পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রতিটি থানা ও সরকারি দফতরও শামিল হল এই অভিযানে

গ্রীষ্মকালীন রক্ত সংকট নতুন কিছু নয় প্রতিবছরই গরমকালে রক্তের চাহিদা বাড়ে আর সে তুলনায় জোগান কমে ফি বছরেরর এই ছবিটাকে পাল্টি দিতে এবার উদ্য়োগী হল রাজ্য় স্বাস্থ্য় দফতর এ বছর গরমকালে তারা ১৮ হাজার বোতল রক্ত সংরক্ষণের লক্ষ্য় নিয়ে এগুলোআর পশ্চিম মেদিনীপুর জেলার প্রশাসন সেই লক্ষ্য়মাত্রা পূরণে প্রতিটা থানা আর সরকারি অফিসকে জানিয়ে দিল, সবাইকে  রক্তদানের শিবির আয়োজন করতে হবে। 

প্রতিবছরই গ্রীষ্মকালীন রক্ত সংকটের মাথা রেখে রাজ্য়ের স্বাস্থ্য় দফতর বিভিন্ন ক্লাব, সমাজসেবী সংস্থার কাছে রক্তদান শিবিরের অনুরোধ জানায় রক্তদান শিবির চলে বটে, তবে তাতে যে খুব-একটা চাহিদা মেটে, তা কিন্তু নয়এমতাবস্থায়, এবার আগে থেকেই রাজ্য় স্বাস্থ্য় দফতর ১৭,৬৮৮ বোতল রক্ত সংগ্রহের লক্ষ্য় নিয়ে এগোচ্ছেএই সেই লক্ষ্য়পূরণ করতে বিশেষভাবে সক্রিয় হতে দেখা গেল পশ্চিম মেদিনীপুর জেলা প্রশাসনকেজানা গিয়েছে, ইতিমধ্য়েই ৩৫২টি রক্তদান শিবির আয়োজন করার উদ্য়োগ নিল জেলা জেলা প্রশাসন

জেলার মুখ্য় স্বাস্থ্য় আধিকারিক গিরিশচন্দ্র বেরা জানিয়েছেন, "মার্চ এপ্রিল মে জুন ,এই চার মাসে খুব কম পরিমাণ রক্তদান শিবিরের আয়োজন হয়ে থাকে জেলায়। এরজন্য গ্রীষ্মকালে একটা কৃত্রিম রক্ত সংকট তৈরি হয়। সেই পরিস্থিতি যাতে না হয় তার জন্য এবছর সারা রাজ্যে ১৭,৬৮৮ বোতল রক্ত সংরক্ষণের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। পশ্চিম মেদিনীপুর জেলাতে এই কর্মসূচিতে নেমে মোট ৩৫২ টি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হচ্ছে। এজন্য ভলান্টারি ব্লাড ডোনেশন ক্যাম্প, বিভিন্ন ক্লাব, সমাজসেবী সংস্থা, সরকারি হাসপাতাল, স্বাস্থ্য কেন্দ্র, বিডিও, মহকুমা শাসক, পুলিশ সুপারের অফিস থেকে থানা -সকলের কাছে অনুরোধ করা হয়েছে কমপক্ষে দুটি করে রক্তদান শিবির করার জন্য।"