সংক্ষিপ্ত
- সম্প্রতি বাঘাযতীনের নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শিশু খোঁজ মিলল
- একটি মন্দিরের আশ্রম থেকেই শ্রেষ্ঠাংশু-র খোঁজ মেলে
- উদ্ধারকারীদের দাবি, মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা গিয়েছে তাকে
- নেতাজিনগর থানার পুলিশ ওই শিশুর সঙ্গে কথা বলবে
সম্প্রতি বাঘাযতীনের শ্রীকলোনি এলাকার নিখোঁজ হয়ে যাওয়া শিশু সন্ধান মিলল। ঘটনার প্রায় ১২ ঘন্টা কেটে যাবার পর শ্রেষ্ঠাংশু পোদ্দার নামের ওই শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়। তার বাড়ি থেকে কিছুটা দূরে একটি মন্দিরের আশ্রম থেকেই শিশুটির খোঁজ মেলে। উদ্ধারকারীদের দাবি, আশ্রমে মাস্ক পরা অবস্থায় দেখা গিয়েছে তাকে। তবে কেন শিশুটি বাড়ি ছেড়ে আশ্রমে চলে গিয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। নেতাজিনগর থানার পুলিশ ওই শিশুর সঙ্গে কথা বলবে।
শনিবার বেলা বারোটা নাগাদ শ্রেষ্ঠাংশু পোদ্দার নামের ওই শিশুটি বাঘাযতীনের শ্রীকলোনির বাড়ি থেকে বেরোয়। বাড়ি নীচের দোকান থেকে লজেন্স কিনতে যাচ্ছে বলে সে বাইরে যায়। তবে অনেকটা সময় কেটে যাওয়ার পর শিশু বাড়ি ফিরছে না দেখে বাড়ির সবার খেয়াল ফেরে। তারপর খোঁজাখুঁজি শুরু হয়। কিন্তু তারপরেও কোনও খোঁজ মেলেনি। বাড়ির নীচের দোকানির সঙ্গে কথা বলে তার বাবা-মা জানতে পারেন শ্রেষ্ঠাংশু সেখানে যায়নি। বাড়ি থেকে কিছুটা দূরের এক ওষুধ দোকানের মালিকের থেকে জানতে পারেন, শ্রেষ্ঠাংশু তাঁর দোকানে এসেছিল। এবং ৪০ টাকার বিনিময়ে সে একটি মাস্ক কিনে সেখান থেকে চলে যায়। ছেলের কোনও খোঁজখবর না পেয়ে শেষমেষ নেতাজিনগর থানায় নিখোঁজ ডায়েরি করেন শ্রেষ্ঠাংশু-র পরিবার।
রাত ১১টা বেজে যাওয়ার পরও শিশুটির খোঁজ না মেলায় স্থানীয় ক্লাবের সদস্য়রাও তৎপর হয়। তাঁরা শ্রীকলোনি এলাকার একটি রামঠাকুরের আশ্রমে যান। আর সেখান থেকেই বছর দশেকের ওই শিশুকে দেখতে পেয়ে উদ্ধার করেন। উদ্ধারকারীদের দাবি, শ্রেষ্ঠাংশুকে আশ্রম থেকে নিয়ে আসার সময় সে ওই মাস্কটি পরেছিল। এরপরই আবার পরিবারের তরফে নেতাজিনগর থানায় যোগাযোগ করা হয়। ছেলের খোঁজ পাওয়ার কথা জানান শ্রেষ্ঠাংশুর বাবা-মা।
পুলিশ সূত্রে খবর, আশ্রম থেকে উদ্ধারের পর থেকেই কারও সঙ্গে ভাল করে কথাও বলছে না শ্রেষ্ঠাংশু। পুলিশের অনুমান, মানসিকভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে ওই শিশুটি।
এছাড়াও পুলিশের দাবি, শিশুটির ছোটবেলা থেকেই শ্বাসকষ্টের সমস্যা রয়েছে। তাই মাস্ক পরা তাঁর অভ্যাস। হয়তো সে কারণেই আশ্রমেও মাস্ক পরেছিল শ্রেষ্ঠাংশু। কিন্তু বাড়ি ছেড়ে আশ্রমে কেন গেল সে, তা নিয়ে এখনও যথেষ্ট ধোঁয়াশা রয়েছে। শিশুটি স্বেচ্ছায় সেখানে গিয়েছিল, নাকি জোর করে তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল সেটা খতিয়ে দেখছে পুলিশ।