সংক্ষিপ্ত
রবিবার বেলা চারটে নাগাদ মধ্য কলকাতার গিরিশ পার্ক থেকে ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেল পর্যন্ত একটি পদযাত্রা সংগঠিত করে। এই পদযাত্রায় প্রায় আনুমানিক ১৮০ জন মহিলা ও পুরুষ কর্মী হাজির ছিলেন।
দিল্লি, পঞ্জাবের পর এবার বাংলা। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের পাখির চোখ এখন পশ্চিমবঙ্গের রাজনীতি। ধীরে ধীরে বাংলায় (West Bengal) পায়ের তলার মাটি শক্ত করছে আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party)। সেই লক্ষ্যেই রবিবার বেলা চারটে নাগাদ মধ্য কলকাতার গিরিশ পার্ক (Girish Park) থেকে ধর্মতলা ওয়াই চ্যানেল (Channel Y) পর্যন্ত একটি পদযাত্রা (Rally) সংগঠিত করে। এই পদযাত্রায় প্রায় আনুমানিক ১৮০ জন মহিলা ও পুরুষ কর্মী হাজির ছিলেন। এই পদযাত্রা থেকে আওয়াজ ওঠে, একবার সুযোগ পেলে কাজ করে দেখাবো পশ্চিমবঙ্গে। বেকার সমস্যা, শিক্ষা ক্ষেত্রে সমস্যা, চিকিৎসা ক্ষেত্রে সমস্যা সহ আরো বহু সমস্যা সমাধান করবে আপ, দিল্লির মত।
উল্লেখ্য, দিল্লীর পর পঞ্জাবও আম আদমি পার্টির দখলে এসে গিয়েছে। এছাড়াও গোয়াতেও নিজেদের আধিপত্য স্থাপন করেছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আপ। তাই এবার লক্ষ্য বাংলা। আগামী ২০২৩ সালের পঞ্চায়েত নির্বাচনে বাংলায় নির্বাচনে লড়বে আম আদমি পার্টি। কেজরিওয়ালের দলের প্রাথমিক লক্ষ্যে আপাতত পঞ্চায়েত নির্বাচন।
পঞ্জাব, গোয়া ও পশ্চিমবঙ্গ ফুটবল খেলার জন্য পরিচিত। বাংলা বাদে দুটি রাজ্যে নিজের আধিপত্য স্থাপন করেছে আপ। এবার বাংলাতেও লড়তে ময়দানে নেমে পড়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই জেলা কমিটি গঠন হয়েছে। জেলার বিভিন্ন প্রান্তে সদস্যপদ গ্রহণের জন্য পোস্টার এবং নানা ধরনের ক্যাম্প শুরু হয়েছে। তাই আগামী পঞ্চায়েতে আম আদমি পার্টির সদস্যরা লড়াই করবে বলে জানিয়েছেন।
এবিষয়ে আপের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে এবার পঞ্জাবেও আপ সরকার ক্ষমতায় এসেছে। পশ্চিমবঙ্গে আপই একমাত্র বিকল্প পার্টি। তাই আগামীতে এই রাজ্যেও আপ সরকার আসবে। আমরা পঞ্চায়েতে লড়াই করব। এদিকে, পঞ্জাবে যেভাবে ঝোড়ো ব্যাটিং করল আম আদমি পার্টি (Aam Aadmi Party), তা অবাক করেছে সবাইকে। অরবিন্দ কেজরিওয়ালের নেতৃত্বে আম আদমি পার্টি খুব ধীর গতিতে বিজেপির জাতীয় রাজনৈতিক বিকল্প হিসেবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছে। পঞ্জাব হোক বা গোয়া, আপ তার দিল্লি পরিচয়ের ছাঁচ থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য লড়াই করছিল, অনেকটা ডিএমকে বা এআইএডিএমকে যেমন তামিলনাড়ু বা তেলেগু দেশম পার্টি অন্ধ্রপ্রদেশে সীমাবদ্ধ রয়েছে, তাদের মতো। তবে এই দলগুলির থেকে এগিয়ে গেল আপ।
এমন অনেকগুলি কারণ রয়েছে যা আপের উত্থানে অনুঘটকের কাজ করেছে। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সুখবীর বাদল এবং নভজোত সিধুর মতো রাজনৈতিক পোড় খাওয়া ব্যক্তিত্ব আপ প্রার্থীর কাছে হেরে গিয়েছেন।