সংক্ষিপ্ত

  • গতকাল সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পেয়েছেন অভিষেক
  • কাজ শুরুর আগে পার্থর সঙ্গে দেখা করলেন তিনি
  • আজ সকালে পার্থর নাকতলার বাড়িতে আসেন
  • একাধিক বিষয় নিয়ে কথা হয় তাঁদের মধ্যে

গতকালই নতুন দায়িত্ব পেয়েছেন তিনি। দলের যুব সভাপতি থেকে সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক হয়েছেন ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই নতুন দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে কাজ শুরুর আগে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বাড়িতে গেলেন তিনি। বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন পার্থবাবুর সঙ্গে। এক ঘণ্টারও বেশি সময় সেখানে থাকার পর চলে যান তিনি। 

ঘড়ির কাঁটায় তখন ঠিক বেলা ১২টা ৪০ মিনিট। পার্থবাবুর নাকতলার বাড়িতে পৌঁছান অভিষেক। সূত্রে খবর, নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর আশীর্বাদ নিতে মহাসচিবের বাড়িতে গিয়েছিলেন তিনি। একাধিক পরামর্শও নেন পার্থবাবুর কাছ থেকে। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, নতুন দায়িত্ব গ্রহণের পর দলের নবীন ও প্রবীণের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখার জন্যই আজ পার্থবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন অভিষেক। 

উল্লেখ্য, একুশের নির্বাচনে বড় ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল অভিষেককে। পাশাপাশি নির্বাচনী প্রচারে একাধিকবার তাঁকে নিশানা করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ। বারবার তাঁদের বক্তৃতায় ফিরে এসেছিল 'ভাইপো'-র প্রসঙ্গ। কয়লাপাচার কাণ্ড থেকে শুরু গরুপাচার কাণ্ড, একাধিক দুর্নীতির সঙ্গে তাঁর জড়িত থাকার অভিযোগ তুলেছিলেন বিজেপির প্রথমসারির নেতারা। এই নির্বাচনে তৃণমূলের জয়ের পিছনে অভিষেকের অনেকটা অবদান রয়েছে বলে মনে করেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ। আর তার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে গতকাল তৃণমূলের সাংগঠিক বৈঠকে। সেখানেই দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব তুলে দেওয়া হয় তাঁর কাঁধে। 

তবে বড় দায়িত্ব পেলেও দলের মধ্যে অভিষেক তুলনায় অনেকটাই নবীন। আবার তৃণমূলের নতুন কমিটিতে যোগ দিয়েছেন অনেক নবাগত। সেখানে দাঁড়িয়ে দেখলে দীর্ঘদিন ধরে দলের মধ্যে বড় দায়িত্ব সামলে আসছেন পার্থবাবু। এই সময় দলে নবীন ও প্রবীণদের মধ্যে ভারসাম্য বজায় রাখা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বিধানসভা নির্বাচনের আগেও একাজ করেছেন অভিষেক। আর ভোটে বিপুল পরিমাণ ভোটে জয়লাভের পরও সেটা বজায় রাখার জন্যই তিনি পার্থবাবুর বাড়িতে গিয়েছিলেন বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশ।  

যদিও এটাকে সৌজন্য সাক্ষাৎ বলে উল্লেখ করেছেন পার্থবাবু। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, "অভিষেকের সঙ্গে আমার সম্পর্কের কথা কারও অজানা নয়। আমার আশীর্বাদ সব সময় তার সঙ্গে রয়েছে। দীর্ঘক্ষণ ধরে আমাদের কথা হয়েছে। আগামী দিনে দলকে কীভাবে এগিয়ে নিয়ে যাওয়া যায়, সাধারণ মানুষের জন্য আরও কি কি নতুন সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায় এসব বিষয় নিয়ে আলোচনা হয়েছে। তৃণমূল কংগ্রেসের সব রকম কর্মসূচি থেকে শুরু করে নিজের মধ্যে অনেক ব্যক্তিগত কথাও হয়েছে।"