সংক্ষিপ্ত
অসুস্থ বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায়
চিকিৎসা চলছে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে
তাঁকে দেখতে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়
সৌজন্য সাক্ষাত নাকি রয়েছে অন্য কোনও রাজনৈতিক অঙ্ক
বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের স্ত্রী কৃষ্ণা রায় অসুস্থ। বর্তমানে চিকিৎসা চলছে কলকাতার অ্যাপোলো হাসপাতালে। বুধবার, তাঁকে দেখতে এলেন তৃণমূল সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সংজ্ঞাহীন কৃষ্ণা রায়কে তিনি দূর থেকেই দেখেন, আর তারপর অল্প সময় কথা বলেন শুভ্রাংশু রায়ের সঙ্গেও। আর তাতেই তৈরি হল এক বিরাট রাজনৈতিক জল্পনা - এটা কি শুধুই সৌজন্য সাক্ষাত নাকি এর পিছনে কোনও রাজনৈতিক অঙ্ক রয়েছে?
গত ১০ মে তারিখে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন মুকুল রায়ের স্ত্রী। অ্যাপোলো হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল তাঁকে। সেখানেই চিকিৎসায় সাড়া দিয়ে কোভিড মুক্তও হন তিনি। কিন্তু, তারপর আবার গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়েন। ওই বেসরকারি হাসপাতালেই তাঁর চিকিৎসা চলছে। এদিন সেখানেই এসেছিলেন অভিষক। বুধবার, ঘূর্ণিঝড় যশে বিধ্বস্ত পাথরপ্রতিমা এলাকা ঘুরে দেখার পরই সোজা ডায়মন্ড হারবারের তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ আসেন অ্যাপোলো হাসপাতালে।
আপাত দৃষ্টিতে এটা নেহাতই রাজনৈতিক সৌজন্য। একসময়, তৃণমূল কংগ্রেস দলের দুই নম্বর নেতা ছিলেন মুকুল রায়ই। তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে অভিষেকের পারিবারিক যোগাযোগও রয়েছে। কাজেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভাইপো তাঁকে দেখতে যাবেন, এরমধ্যে অস্বাভাবিক কিছু নেই। রাজনীতি হল সম্ভাবনার খেলা। আর সেখান থেকেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সফর ঘিরে তৈরি হচ্ছে নয়া জল্পনা।
আসলে এই বিষয়টি আরও প্রশ্রয় পেয়েছে, দিন কয়েক আগে মুকুল রায়ের ছেলে, বীজপুরের প্রাক্তন তৃণমূল বিধায়ক শুভ্রাংশু রায়ের একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টের কারণে। বীজপুর থেকে এইবার বিজেপির টিকিটে দাঁড়িয়ে পরাজিত হয়েছেন তিনি। এরপর রাজ্যের বিজেপি নেতাদের উদ্দেশ্য করে তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় বার্তা দিয়েছিলেন, বিপুল ভোটে নির্বাচিত সরকারের সমালোচনা করা ছেড়ে আত্মসমালোচনা করা উচিত। আর এদিন, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই সৌজন্যে তিনি আপ্লুত বলেই জানা গিয়েছে সূত্র মতে।
তবে শুধু শুভ্রাংশুই নয়, নির্বাচনের পর থেকে একটু হলেও বেসুরো বিজেপির জাতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায়-ও। বিধানসভায় শপথ নিতে গিয়ে তিনি বিজেপির বৈঠক এড়িয়ে গিয়েছিলেন। সৌজন্য বিনিময় করেছিলেন পুরোনো সহযোদ্ধা সুব্রত বক্সির সঙ্গে। তবে তারপর অবশ্য সোশ্যাল মিডিয়ায় নিজেকে বিজেপির অনুগত সৈনিক বলে দাবি করেছিলেন তিনি। তবে জল্পনা তাতে থামেনি, বরং যত দিন যাচ্ছে ততই পালে বাতালস পাচ্ছে। সোনালি গুহ থেকে বাচ্চু হাঁসদা - তৃণমূলের ফেরার লাইনে তো কম ব্যক্তি নেই!