সংক্ষিপ্ত
- রাজ্য়ে করোনা আবহে বেকারত্বের হার ৪০ শতাংশ কমেছে
- মুখ্য়মন্ত্রীকে নোবেল দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য় বিরোধী নেতার
- এ রকম কাজ করে দেখানোয় ওনার বিশেষ কিছুই প্রাপ্য
- কার কথায় কেন এমন খোঁচা খেতে হল মুখ্যমন্ত্রীকে
রাজ্য়ে করোনা আবহে বেকারত্বের হার ৪০ শতাংশ কমেছে বলায় মুখ্য়মন্ত্রীকে নোবেল দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য় করলেন খোদ বিরোধী নেতা। কংগ্রেসের লোকসভার দলনেতার মতে, এ রকম কাজ করে দেখানোয় ওনার বিশেষ কিছুই প্রাপ্য। অতীতে এই একই দাবি করেছিলেন তৃণমূলের রাজ্য়সভার সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন। 'সোজা বাংলায় বলছি' প্রচারে এই দাবি করেছিলেন তিনি।
করোনার প্রভাবে ত্রস্ত সারা বিশ্ব। অর্থ ভান্ডারের হাল তথৈবচ। যার জেরে ভেঙে পড়েছে বিশ্বের অর্থনীতি। বেকারত্বের হার চরম সীমায় পৌঁছেছে। অথচ ব্য়তিক্রম বাংলা বলে দাবি করছেন মুখ্য়মন্ত্রী। সম্প্রতি আন্তর্জাতিক যুব দিবসে ট্যুইটে করে মুখ্যমন্ত্রী লেখেন, সারা দেশে যখন বেকারত্ব কমার হার ২৪ শতাংশ, সেখানে আমাদের বাংলায় সেই হার ৪০ শতাংশ। মমতা দাবি করেছেন,এই পরিসংখ্য়ানই বলে দিচ্ছে রাজ্য়ে বেকাারত্ব কমছে।
যদিও এই মন্তব্য় নিয়েই মুখ খুলেছেন কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। তিনি বলেন, গোটা পৃথিবীতে যেখানে বেকারত্ব বাড়ছে, সেখানে মুখ্যমন্ত্রী ৪০% বেকারত্ব কমিয়ে ফেলার দাবি করছেন। ওনার তো নোবেল পাওয়া উচিত। রাজ্য় সরকারের উচিত, বেকারদের জন্য কিছু করতে না পারলে অন্তত পরিহাস করা বন্ধ করুন।
সম্প্রতি দেশের সিএমআইই-র রিপোর্ট প্রকাশিত হয়েছে। যা নিয়ে এই দাবি করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। পরিসংখ্যান বলছে, চলতি বছরের জুন মাসে দেশে বেকারত্বের হার ১১%। এদিকে, তৃণমূলের এই দাবি নিয়ে কটাক্ষ করতে ছাড়েনি বিজেপির নেতারা। তাদের দাবি ,মুখ্য়মন্ত্রীই বলছেন ভিন রাজ্য় থেকে লক্ষ লক্ষ পরিয়ায়ী শ্রমিক রাজ্য়ে ফিরেছেন। তাদের সাহায্য করা হচ্ছে। এই কথাতেই প্রমাণিত, রাজ্য়ে চাকরি নেই বলেই তারা বাইরের রাজ্য়ে গিয়েছিলেন। সেখানে দাঁড়িয়ে মুখ্য়মন্ত্রী বলছেন বেকারত্ব কমে গিয়েছে। ওনার কথায় এখন আর বাংলার মানুষ বিশ্বাস করে না।