সংক্ষিপ্ত

  • আলাপনকে সোমবার দিল্লিতে তলব করেছে কেন্দ্র 
  • প্রশিক্ষণ দফতরে কাজে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর 
  • সূত্রের খবর, সোমবার মুখ্যসচিব দিল্লি যাচ্ছেন না 
  • ওইদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থাকবেন তিনি 


আলাপন বন্দ্য়োপাধ্যায়কে সোমবার দিল্লিতে তলব করেছে কেন্দ্র। নর্থ ব্লকে কর্মীবর্গ এবং প্রশিক্ষণ দফতরে কাজে যোগ দেওয়ার কথা তাঁর। সূত্রের খবর, মুখ্যসচিব যাচ্ছেন না। ওইদিন মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে থাকবেন তিনি।

আরও পড়ুন, 'নির্বাচন হেরে প্রতিশোধ নিচ্ছে কেন্দ্র-এটা কি দরকার ছিল', 'আলাপন' ইস্যুতে বিস্ফোরক কুণাল-অধীর  


রাজ্যের মুখ্যসচিব  আলাপন বন্দ্য়োপাধ্য়ায়কে ছেড়ে দেওয়া নিয়ে  কেন্দ্রের পাঠানো চিঠিতে ইতিমধ্যেই সরগরম রাজ্য-রাজনীতি। শুক্রবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ঘূর্ণিঝড় যশ পর্যালোচনা বৈঠকে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের যোগ না দেওয়া নিয়ে বিতর্ক তৈরি হওয়ার কয়েক ঘন্টা পরই,  কেন্দ্রে থেকে রাজ্যকে এই আদেশ পাঠানো হয়েছে। এনিয়ে প্রশাসনিক মহল থেকে শাসক দলে দেখা দিয়েছে তীব্র অসন্তোস। উল্লেখ্য, নবান্নে সাংবাদিক বৈঠক করে মুখ্য সচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের বদলি ইস্যুতে কেন্দ্রকে তোপ দাগেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।  তিনি বলেন মুখ্যসচিবের দিল্লিতে বদলির চিঠি আচমকা আসা বেশ আশ্চর্যের। ১০ই মে চিঠি দিয়ে কেন্দ্রকে জানানো হয়েছিল রাজ্যের সাইক্লোন পরবর্তী পরিস্থিতি মোকাবিলায় ও করোনা পরিস্থিতি মোকাবিলায় অবসর নেওয়ার সময় তিন মাস পিছিয়ে দেওয়া হোক মুখ্যসচিবের। সেই চিঠির উত্তর আসে ১৫দিন পরে। আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের অবসর গ্রহণের তারিখ ছিল ৩১শে মে। তার থেকে তিন মাস মেয়াদ বৃদ্ধি করা হয়। 

আরও দেখুন, Live Covid- কোভিডে সংক্রমণ কমল, ব্ল্যাক ফাংগাসে ফের মৃত্যু রাজ্যে 


মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেছেন, আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লি তলব করে কি প্রমাণ করতে চাইছে কেন্দ্র। কোন আইনের বলে এই তলব করেছে কেন্দ্র, তা জানতে চেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বলেন স্বাধীনতার এত বছরেও এই ধরণের আচরণ কোনও রাজ্যের সাথে কখনও কোনও কেন্দ্র সরকার করেনি। রাজ্যের মুখ্যসচিবকে অপমান করেছে কেন্দ্র। গোটা রাজ্যকে অপমান করা হচ্ছে। রাজ্যের কাজে বাধা সৃষ্টি করা হচ্ছে। এই ধরণের কাজ অসাংবিধানিক, অবৈধ। রাজ্যের সঙ্গে কোনও রকম আলোচনা করার সৌজন্য পর্যন্ত দেখায়নি কেন্দ্র, যা রীতিমতো অপমানজনক।' তবে  নিয়ম অনুসারে, আলাপন বন্দ্যোপাধ্য়ায়কে এখনও আটকে রাখার সুযোগ আছে রাজ্যের। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সরকার তাঁকে মুখ্য সচিবের পদ থেকে ছেড়ে দিতে হবে। তারপরই তিনি দিল্লি ফিরতে পারবেন।