সংক্ষিপ্ত

  • ২ অক্টোবর থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানা দর্শকদের জন্য খোলা
  • বর্তমানে দর্শকের ভিড় জমেছে আলিপুর চিড়িয়াখানায়
  • যত দিন যাচ্ছে দর্শকের সংখ্যা-সহ ভিড় ততই বাড়ছে 
  • সবাইকে মেনে চলতে হচ্ছে করোনা প্রটোকল

২ অক্টোবর থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানা দর্শকদের জন্য খুলে দেওয়া হয়েছে। তবে এই করোনা পরিস্থিতির মধ্যেও শীত শুরুর আগে থেকেই বেশ ভালোই দর্শকের ভিড় জমেছে আলিপুর চিড়িয়াখানায়। চিড়িয়াখানা খোলার প্রথম দিন থেকেই বেশ ভালো সাড়া পাওয়া গিয়েছিল তবে যত দিন যাচ্ছে দর্শকের সংখ্যা-সহ ভিড় ততই বাড়ছে আলিপুর চিড়িয়াখানায়। আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা আশীষ কুমার সামন্ত জানিয়েছেন, প্রতিদিন গড়ে প্রায় ২৬০০ করে দর্শক আগমণ ঘটছে চিড়িয়াখানায়।

আরও পড়ুন- জেলায় জেলায় পৌঁছে গেল নির্দেশ, লোকাল ট্রেন চালুর আগে জেলাশাসকদের কী বলল নবান্ন

তিনি আরও জানিয়েছেন যে, যেই সমস্ত দর্শক চিড়িয়াখানায় আসছেন তাদের সবাইকে মেনে চলতে হচ্ছে করোনা প্রটোকল। আলিপুর চিড়িয়াখানায় প্রবেশের পর টিকিট কাউন্টারে সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে টিকিট কাটতে হচ্ছে সবাইকে এবং ভেতরে প্রবেশের সময় সবাইকে স্যানিটাইজার টানেলের এর মধ্যে দিয়ে প্রবেশ করতে হচ্ছে। সেই সঙ্গে সবাইর মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। যারা মাস্ক পড়ে আসবেন না তাদের চিড়িয়াখানার মধ্যে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না বলে জানিয়ে দিয়েছেন চিড়িয়াখানার অধিকর্তা। এছাড়া তিনি জানিয়েছেন চিড়িয়াখানার মধ্যে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা বাধ্যতামূলক। তার জন্য নির্দিষ্ট করে মাটিতে চিহ্ন করে দেওয়া হয়েছে এবং চিড়িয়াখানার মধ্যে মানুষ যাতে কোনরকম ভিড় না করে সেদিকটি আলিপুর চিড়িয়াখানার পক্ষ থেকে নজরদারিতে রাখা হচ্ছে। 

আরও পড়ুন- খাস কলকাতায় উদ্ধার হল চিতাবাঘের চামড়া, টালিগঞ্জ থেকে গ্রেফতার ২

এর পাশাপাশি চিড়িয়াখানার মধ্যে কোনও ভাবে ছবি তোলা বা পিকনিক করা যাবে না। এর পাশাপাশি আগামী বুধবার থেকে লোকাল ট্রেন চালু হলে সে ক্ষেত্রে চিড়িয়াখানায় দর্শনার্থীদের ভিড় বেশি হবে, তাই প্রথম থেকেই তারা সেই ভাবে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। তাই জন্য আরও বেশি করে স্যানিটাইজার টানেল বসানো হবে এবং মাস্কের বন্দোবস্ত করা হবে। সব দিক থেকে একেবারে আঁটোসাঁটো হয়ে মাঠে ময়দানে নামছে আলিপুর চিড়িয়াখানা কর্তৃপক্ষ। এর পাশাপাশি তিনি জানিয়েছেন চিড়িয়াখানার টিকিট অনলাইন এবং অফলাইন দুটি জায়গা থেকেই পাওয়া যাচ্ছে। লকডাউন এর সময় আলিপুর চিড়িয়াখানার পক্ষ থেকে যে অ্যাপের ব্যবস্থা করা হয়েছিল তা এখনও পর্যন্ত চলছে এবং সাধারণ মানুষের ফিডব্যাক খুব ভালো বলে জানিয়েছেন আলিপুর চিড়িয়াখানার অধিকর্তা।