সংক্ষিপ্ত
- দশমীর দিন ভোরে সল্টলেকে পথ দুর্ঘটনার কবলে পড়েন এক তথ্য-প্রযুক্তি কর্মী
- গত রবিবার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি
- পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন মৃতের পরিজনেরা
- অভিষেককে খুন করা হয়েছে বলে দাবি পরিবারের লোকেদের
এবার সল্টলেকে যুবকের মৃত্যুর ঘটনায় পুলিশে বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুললেন মৃতের পরিবারের লোকেরা। দশমীর দিন ভোরে সল্টলেকে এফবি ব্লকের কাছে দুর্ঘটনার কবলে পড়েছিলেন ওই যুবক। গত রবিবার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মারা যান তিনি। পরিবারের লোকেদের অভিযোগ, নিছক দুর্ঘটনা নয়, ওই যুবককেও পরিকল্পনামাফিক খুন করা হয়েছে। স্রেফ পুলিশের গাফিলতির কারণে অভিযুক্তকে ধরা যায়নি। বেঙ্গালুরু চলে গিয়েছে সে।
মৃতের অভিষেক মণ্ডল, পেশায় তথ্য-প্রযুক্তি কর্মী। কর্মসূত্রে বেঙ্গালুরুতে থাকতেন তিনি। পুজোর ছুটিতে নিউটাউনে বাড়িতে এসেছিলেন অভিষেক। পরিবারের লোকেরা জানিয়েছেন, নবমীর দিন সকালে বাড়ি থেকে বেরিয়ে যান ওই যুবক। বলে গিয়েছিলেন, সল্টলেকে এফডি ব্লকের বন্ধু রাহুল বসাক ওরফে রনির বাড়িতে রাত কাটিয়ে ফিরবেন দশমীর দিন সকালে। পরিবারের লোকেদের দাবি, দশমীর ভোরে ফোন করে অভিষেকের বাবাকে ছেলের দুর্ঘটনার খবর দেন রনির বাড়ির লোকেরাই। গুরুতর আহত অবস্থায় অভিষেককে ভর্তি করা হয়েছিল সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতালে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে তড়িঘড়ি সেই হাসপাতালে চলে যান অভিষেকের বাড়ির লোকেরা। কিন্তু শেষরক্ষা হয়নি। গত রবিরার হাসপাতালে মারা যান অভিষেক মণ্ডল। কিন্তু কীভাবে দুর্ঘটনা ঘটল? তদন্তে নেমেছে বিধাননগর দক্ষিণ থানার পুলিশ।
এদিকে পুলিশি তদন্তের গতিপ্রকৃতি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন মৃত অভিষেক মণ্ডলের পরিবার। বলা ভালো, পুলিশের বিরুদ্ধে গাফিলতির অভিযোগ তুলেছেন। তাঁদের বক্তব্য, নিছকই দুর্ঘটনা নয়, অভিষেককে খুন করা হয়েছে। আর এই ঘটনার সঙ্গে অভিষেকের বন্ধু রাহুল বসাক ওরফে রনিই জড়িত। পরিবার লোকের দাবি, দুর্ঘটনার সময়ে গাড়িতে অভিষেকের সঙ্গে রনিও ছিল। কিন্তু তাঁকে সেভাবে জেরা করেনি পুলিশ। স্রেফ পাসপোর্ট বাজেয়াপ্ত করে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। সে এখন বেঙ্গালুরুতে চলে গিয়েছে।