সংক্ষিপ্ত
ফের সিভিক ভলেন্টিয়ারের হাতে আক্রান্ত হলেন বেহালার এক যুবক ও যুবতী। ফের একই দৃশ্য উঠে আসতেই নাগরিক নিরাপত্তা নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠেছে।
ফের সিভিক ভলেন্টিয়ারের (Civic volunteer in Behala) হাতে আক্রান্ত হলেন বেহালার এক যুবক ও যুবতী (A young man and a woman)। রাজ্যে পুজোর পর এই অবধি সিভিক ভলেন্টিয়ারের একাধিক অমনাবিক ঘটনা দেখেছে কলকাতা। আর বছর শেষে এসে ফের একই দৃশ্য উঠে আসতেই নাগরিক নিরাপত্তা নিয়ে এবার প্রশ্ন উঠেছে।
জানা গিয়েছে, বেহালার গোপাল মিশ্র রোডে অনীশ সাহা তার এক আত্মীয় রিম্পা চক্রবর্তীকে নিয়ে ডায়মন্ড হারবার স্টেশন রোডে তাঁদের বিয়ে বাড়ি উপলক্ষে একটি দোকানে কেনাকাটি করতে যায়। দোকানের সামনেই তার বাইকটি রাখা ছিল কেনাকাটি করে বেরোনোর সময় এক সিভিক ভলেন্টিয়ার তাদেরকে প্রশ্ন করে যে,' আপনি এখানে গাড়িটা রেখেছেন কেন'। তখন ঐ যুবক বলেন, 'আমি গাড়িটা সরিয়ে নিচ্ছি।' এরপর সিভিক ভলেন্টিয়ারের সঙ্গে ওই যুবকের বচসা শুরু হয়। অনিক সাহা ও রিম্পা চক্রবর্তীর অভিযোগ, বচসা হওয়ার সময় হঠাৎ করেই সাত থেকে আট জন মহিলা ও পুরুষ সিভিক ভলেন্টিয়ার ঘটনাস্থলে এসে জড়ো হয়। ওই যুবক ও যুবতীর কোনও কথা না শুনে রীতিমতো সিভিক ভলেন্টিয়ারা তাদের টানতে টানতে নিয়ে যায় ট্রাফিক গার্ডের অফিসে। এবং সেখানে গিয়ে দরজা বন্ধ করে তাদের বেধড়ক মারধর করা হয় বলে অভিযোগ। কোনওরকমে তারা সেখান থেকে পালিয়ে যায়। এরপর ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে গিয়ে প্রাথমিক চিকিৎসা করায়। তারপর ডায়মন্ড হারবার থানায় গিয়ে অভিযোগ দায়ের করে ওই যুবক-যুবতী।
আরও পড়ুন, Birbhum Crime: কলেজ ছাত্রদেরকে বেধড়ক মার, কাঠগড়ায় মদ্যপ সিভিক ভলেন্টিয়ার
অপরদিকে তাঁদের এও অভিযোগ যে, ডায়মন্ড হারবার থানায় যাওয়ার পর তাদের তিন ঘণ্টা ধরে থানায় বসিয়ে রাখার পরও তাদের কোনও অভিযোগ নেওয়া হয়নি। শেষে তারা বেহালার বাড়িতে ফিরে আসে এবং বৃহস্পতিবার তাঁরা দক্ষিণ ২৪ পরগনা এসপি অফিসে অভিযোগ দায়ের করতে যাচ্ছেন। প্রসঙ্গত, এই প্রথমবার নয়, এর আগেও এমন নৃশংস ঘটনা প্রকাশ্যে এসেছে শহরের বুকে। ফুটপাথে পড়ে রয়েছেন এক যুবক । আর তাঁর বুকের উপরে বুট দিয়ে ঠেসে ধরেছেন সবুজ-রঙা পোশাক পরিহিত এক সিভিক ভলান্টিয়ার। মাটিতে পড়ে থাকা যুবক সেই সিভিক ভলান্টিয়ারের হাত থেকে নিজেকে বাঁচানোর জন্য অনেক চেষ্টা করছেন। কিন্তু, কিছুতেই পারছেন না। বরং গায়ের জোরে যুবককে মাটিতে শুইয়ে রেখে বুকে ও পিঠে বুট দিয়ে লাথি মারছেন ওই পুলিশ। নিজেকে ছাড়ানোর মরিয়া চেষ্টা করে চলেছেন বছর কুড়ির যুবটি। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে সমালোচনার ঝড় ওঠে নেট দুনিয়ায়। ঘটনাটি চোখ এড়ায়নি কলকাতার পুলিশ কমিশনার সৌমেন মিত্রর। এই ঘটনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'আমি ঘটনাটি দেখে বিব্রত। এর জন্য দুঃখিত। রাতেই ওই সিভিক ভলান্টিয়ারকে বরখাস্ত করা হয়েছে।'