সংক্ষিপ্ত

  • সততার পরিচয় দিলেন অটোচালক
  • বেলেঘাটার বাসিন্দা সঞ্জীবন মল্লিক
  • অটোতে টাকা ভর্তি ব্যাগ ফেলে যান নদিয়ার দুই ব্যবসায়ী
     

কয়েকদিন আগেই যাত্রীর ফেলে যাওয়া গয়না ভর্তি ব্যাগ ফিরিয়ে দিয়েছিলেন দক্ষিণ চব্বিশ পরগণার বজবজের  এক অটোচালক। এবার সততার নজির গড়লেন উল্টোডাঙার আরও এক অটোচালক। যাত্রীর ফেলে যাওয়া একাশি হাজার টাকা ফিরিয়ে দিলেন তিনি।  

বেলেঘাটার বাসিন্দা ওই অটোচালকের নাম সঞ্জীবন মল্লিক। তিনি উল্টোডাঙা- করুণাময়ী রুটে অটো চালান। পুলিশ সূত্রে খবর, গত শুক্রবার সল্টলেকের করুণাময়ী থেকে সঞ্জীবনবাবুর অটোতে উঠেছিলেন নদিয়ার দুই তাঁত শিল্পী নিমাই রায় এবং দিলীপ মালাকার। উল্টোডাঙা স্টেশনে নেমে যান তাঁরা। কিন্তু অটোর পিছনের দিকে রাখা ব্যাগ নিতে ভুলে যান তাঁরা। করুণাময়ীতে তাঁতের হাট মেলায় শাড়ি বিক্রি করা একাশি হাজার টাকা ছাড়াও ব্যাগের মধ্যে জরুরি কাগজপত্র ছিল। পরে ব্যাগের কথা মনে পড়লেও তখন আর ওই অটোটি খুঁজে পাননি দুই ব্যবসায়ী। ফলে ব্যাগ ফেরত পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন তাঁরা। 

রবিবার অটো পরিষ্কার করার জন্য প্রস্তুতি নেওয়ার সময়ই পিছনের দিকে ওই ব্যাগটি দেখতে পান সঞ্জীবনবাবু। ব্যাগ খুলে তার মধ্যে টাকা এবং কাগজপত্র দেখতে পান ওই অটোচালক। সঙ্গে সঙ্গে টাকা ভর্তি ব্যাগ নিয়ে বিধাননগরের বিধায়ক সুজিত বসুর কাছে যান সঞ্জীবনবাবু। তাঁর পরামর্শেই  বিধান নগর পূর্ব থানায় এসে ব্যাগটি জমা দিয়ে দেন ওই অটোচালক। এর পর থানা থেকেই ব্যাগে থাকা কাগজপত্রের মধ্যে থাকা মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হয়। খবর পেয়ে রবিবারই থানায় এসে টাকা ফেরত নিয়ে যান দুই ব্যবসায়ী। 

দুই ব্যবসায়ীই স্বীকার করে নেন, টাকা ফেরত পাওয়ার আশা ছেড়েই দিয়েছিলেন তাঁরা। সঞ্জীবনবাবুকে ধন্যবাদ জানানোর ভাষা খুঁজে পাচ্ছিলেন না। টাকা ফেরত দিয়েও অবশ্য নিরুত্তাপ ওই প্রৌঢ় অটোচালক। তাঁর কথায়, তিনি নিজের দায়িত্বটুকু পালন করেছেন মাত্র। এর পরেই অটো নিয়ে ফের ভাড়া খাটার জন্য দ্রুত থানা থেকে বেরিয়ে পড়লেন সঞ্জীবনবাবু।