সংক্ষিপ্ত

এসএসসি দুর্নীতি (SSC Scam) তদন্তে নেমে  ইডির হাতে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের (Arpita Mukherjee)কালো ডায়েরি (Balck Dairy)। সে ডায়েরি থেকে একাধিক বিস্ফোরক তথ্য সামনে আসতে পারে বলেই খবর। 

এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে  রহস্য ক্রমশ ঘনীভূত হচ্ছে। ঘটনায় ধৃত অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার কালো ডায়েরি। আর সেই কালো ডায়েরি ঘিরেই শুরু হয়েছে জোর জল্পনা। পূর্বেও একাধিক দুর্নীতির তদন্তে সামনে এসেছে ডায়েরি রহস্য। তা সে  নব্বইয়ের দশকের হাওয়ালা-কাণ্ডে সুরেন্দ্র জৈনের ডায়েরি কিংবা বছর আটেক আগে সহারা কর্তা সুব্রত রায়ের ডায়েরি, সারদা কর্তা সুদীপ্ত সেনের লাল ডায়েরি ঘিরেও কম জল্পনা হয়নি।  এবার এসএসসি দুর্নীতির তদন্তে নেমে অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের বাড়ি থেকে উদ্ধার হওয়া কালো ডায়েরি থেকে পাওয়া তথ্যে তদন্তের গতি বাড়বে বলেই মনেই করছেন ইডি আধিকারিকরা। 

এসএসসি দুর্নীতি  মামলার তদন্তে নেমে রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী ও বর্তমান শিল্প মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তার ঘনিষ্ঠ বান্ধবী অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে। অর্পিতার ফ্ল্যাট থেকে টাকার পাহারের (২১ কোটি ৯০  লক্ষ) পাশাপাশি উদ্ধার করা হয় ৭৯ লক্ষ টাকার সোনার গহনা, বিদেশী মুদ্রা, বেশ কিছু সম্পত্তির পাশাপাশি উদ্ধার হয়েছে ও কালো ডায়েরি। ইডি সূত্রের খবর, দুটি ডায়েরির পাওয়া গিয়েছে।  কালো ডায়েরিটি প্রায় ২৫০ পাতার। আর একটি পকেট ডায়েরি প্রায় ৪০ পাতার। এছাড়াও টালিগঞ্জের যে ফ্ল্যাটে ইডির অভিযান হয়েছিল সেখান থেকে উদ্ধার হয়েছিল ২ হার্ড ডিস্ক। রাজ্য শিক্ষা দফতরের নাম লেখা ওই কালো ডায়েরিতে অর্থ লেনদেনের কিছু হিসাব এবং কয়েক জন ব্যক্তির নামের উল্লেখ রয়েছে বলে জানা গিয়েছে। 

ইডি সূত্রে খবর ওই ডায়েরির মধ্যে কী রয়েছে তা খতিয়ে দেখার জন্য টিমও গঠন করা হয়েছে। জানা যাচ্ছে এই ডায়েরিতেই উল্লেখ রয়েছে ৬টি ভুয়ো সংস্থার নামও। যার ডিরেক্টর নাকি ছিলেন অর্পিতা মুখার্জি নিজে। এই ৬টি সংস্থাতেই বিনিয়োগ করেছেন অর্পিতা মুখার্জির আত্ময়ীরা।বাজেয়াপ্ত হওয়া ডায়েরির পাতা উল্টে অনেক হিসেবনিকেশের হদিশও পেয়েছেন তদন্তকারীরা। শুধু তাই, নির্দিষ্ট করে অনেকের নামও নাকি রয়েছে ওই ডায়েরিতে। ওই ডায়েরির ৮ ও ৯ নম্বর পাতায় না এমন চাঞ্চল্যকর তথ্য রযেছে যা সামলে আসলে 'বিস্ফোরণ' হতে পারে। তদন্তকারীরা এখন ওই ডায়েরির সূত্র ধরেই সেই ‘মিসিং লিঙ্ক’-এর অনুসন্ধান শুরু করেছেন। পাশাপাশি উদ্ধার হওয়া দুটি হার্ড ডিস্কে একাধিক ফাইল রয়েছে। সেখানে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য রয়েছে বলে খবর ইডি সূত্রে।

প্রসঙ্গত, আদালতের তরফে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে ১০ দিনের ইডি হেফাজতের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সোমবার ভুবনেশ্বর এইমসে মেডিক্যাল টেস্টের পর মঙ্গলবার সকালে কলকাতায় ফেরেন পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়। তাকে নিয়ে যাওয়া সিজিও কমপ্লেক্সে। সেখানে ইতিমধ্যেই জেরা শুরু হয়েছে ধৃতদের। জানা গিয়েছে প্রথমে পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে আলাদা আলাদা জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তারপর দুজনেকে মুখোমুকি বসিয়ে জেরা করা হবে সেখানেই দুজনের কাছেই জানতে চাওয়া হবে ও কালো ডায়েরি ও হার্ড ডিস্কের বিষয়ে। এখন কালো ডায়েরি থেতে কোন রহস্যের উন্মোচন হয় বা কোন বিস্ফোরক তথ্য বেরিয়ে আসে সেটাই দেখার। 

আরও পড়ুনঃপার্থ-অর্পিতাকে মুখোমুখি জেরা, মঙ্গলবারই সামনে আসতে পারে চাঞ্চল্যকর তথ্য

আরও পড়ুনঃ'কে কার বন্ধু আমি জানব কি করে?' , নজরুল মঞ্চের অনুষ্ঠান থেকে পার্থ ইস্যুতে দায় ঝাড়লেন মমতা