সংক্ষিপ্ত
আসানসোলে বিপুল ভোটে শত্রুঘ্ন জয়ী হলেও বালিগঞ্জে বাবুল জয়ে কয়েকটা প্রশ্ন উঠে এসেছে। প্রথমত ভোটের মার্জিন। এবং দ্বিতীয়ত একাধিক ওয়ার্ডে সংখ্যালঘু ভোট সহ অন্যান্য ভোট কী করে মিস হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের, উঠেছে প্রশ্ন।
আসানসোলে বিপুল ভোটে শত্রুঘ্ন জয়ী হলেও বালিগঞ্জে বাবুল জয়ে কয়েকটা প্রশ্ন উঠে এসেছে। প্রথমত ভোটের মার্জিন। এবং দ্বিতীয়ত একাধিক ওয়ার্ডে সংখ্যালঘু ভোট সহ অন্যান্য ভোট কী করে মিস হয়ে গিয়েছে তৃণমূলের, উঠেছে প্রশ্ন। ভোটের ফলাফলের পর হেরে গিয়েও এনিয়ে কথা বলেছেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। আর এবার তা মাথা ব্যাথার কারণ হয়ে দাড়িয়েছে দলেও। অনেকটাই জয়ের পরে আসেনি পুরো শান্তি। তার কারণ বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে কাঁটা হয়ে রয়েছে দুটি ওয়ার্ড। আর এবার কারণ জানতে চেয়ে অনুসন্ধান শুরু করল তৃণমূল।
সূত্রের খবর, দক্ষিণ কলকাতার জেলা সভাপতি দেবাশিষ কুমারের তরফে সাংগঠনিকভাবে এই রিপোর্ট তৈরি করা হবে। পাশাপাশি গোটা ঘটনা খতিয়ে দেখবেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম। যদিও ভোটের ব্যবাধান নিয়ে চিন্তিত নন বাবুল। তাঁর দাবি উপনির্বাচনে যে পরিমাণ ভোট পড়েছে, তাতে ওই ব্যবধান থাকাটাই স্বাভাবিক। এদিন ২০ হাজার ৩০ ভোটে জয়ের পর বাবুল আরও জানান, ২০ হাজারের বেশি ব্যবধান থাকাটা খারাপ নয়। তিনি বলেন, উপনির্বাচনে ৪১ শতাংশ ভোট পড়েছে। তাই হিসেব করেই তিনি প্রথম থেকেই বলে এসেছেন, ২০ হাজার ভোটে জিতবে, আর সেটাই হয়েছে। গেরুয়া শিবিরের এহেন হারের পর বিজেপির রাজ্য সভাপতি বলেছেন,'বালিগঞ্জে তো আমরা প্রতিযোগীতাতেই নেই। ওখানে ৪০ শতাংশের উপরে সংখ্যা লঘু ভোটার। স্বাভাবিকভাবেই আমরা সেখানে প্রতিযোগীতায় থাকার কথা নয়। যাদের লড়ার তাঁরা লড়েছে। তবে সংখ্যা লঘু ভোটটাও এখন তৃণমূলের জন্য ধীরে ধীরে কমছে। আগামীদিনে আরও কমবে বলে মনে হয়।'
আরও পড়ুন, 'কেন এতগুলি ইস্তফা একসঙ্গে', বিজেপির ভরাডুবির পর বিস্ফোরক অনুপম হাজরা
প্রসঙ্গত, শনিবার ভোট গণনার শুরুতেই বালিগঞ্জে ১৩ হাজার ভোটে এগিয়ে যখন তৃণমূল প্রার্থী বাবুল সুপ্রিয়, তখনই বালিগঞ্জে দ্বিতীয় স্থানে ছিলেন সিপিআইএম পার্থী সায়রা শাহ হালিম। তারপর কংগ্রেস প্রার্থী পেরিয়ে চতুর্থ স্থানে ছিলেন বিজেপি প্রার্থী। যদিও পরের দশম রাউন্ডের পরে কংগ্রেসকে টপকে বিজেপি এগিয়ে আসে। তবে সায়রাকে টপকাতে পারেনি বিজেপি প্রার্থী কেয়া ঘোষ।প্রথমবার উপনির্বাচনের দাঁড়িয়ে প্রায় হেভিওয়েট বাবুলের সমানে সমানে একা হাতেই ব্যাটিং করেন বাম প্রার্থী সায়রা শাহ হালিম। বলতে গেলে একুশের বিধানসভা ভোটে বামেদের অনেক নতুন মুখই দেখা গিয়েছিল প্রার্থী পদে। তবে এভাবে সায়রার মতো লড়াই করতে দেখা যায়নি। উল্লেখ্য, বালিগঞ্জে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত ৬৪ এবং ৬৫ নং ওয়ার্ডে পিছিয়ে গেল তৃণমূল। বালিগঞ্জ উপনির্বাচনে এটা নিঃসন্দেহে বড় ধাক্কা। আর এই জায়গাটাকেই নিশানা করেন সুকান্ত মজুমদার।এদিকে বাবুল সুপ্রিয়োর কাছে সায়রা ২০ হাজার ভোটে হারলেও রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬ টায় বালিগঞ্জ ফাড়ি থেকে রিপন স্ট্রিট পর্যন্ত মিছিল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সিপিআইএম।