সংক্ষিপ্ত

রবিবার বিজেপির রাজ্য সম্পাদকের পদ ছেড়েছেন গৌরিশঙ্কর ঘোষ । এবং পদ ছেড়েছেন দুই রাজ্য কমিটির সদস্যও। এরপরেই রাজ্যে দুই উপনির্বাচনে ভরাডুবির পর  বিজেপি নেতার একের পর এক পদত্যাগ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন অনুপম হাজরা।

রাজ্যে দুই উপনির্বাচনে ভরাডুবির পর  বিজেপি নেতার একের পর এক পদত্যাগ নিয়ে এবার প্রশ্ন তুললেন অনুপম হাজরা। যদিও আগেই মুখ খুলেছেন সৌমিত্র খাঁ। এবার ফেসবুকে বিজেপির রাজ্য নের্তৃত্বকে এবার তোপ দাগলেন তিনি। উল্লেখ্য, রবিবার বিজেপির রাজ্য সম্পাদকের পদ ছেড়েছেন গৌরিশঙ্কর ঘোষ । এবং পদ ছেড়েছেন দুই রাজ্য কমিটির সদস্যও। এরপরেই ফেসবুকে বিস্ফোরক বিজেপির হেভিওয়েট নেতা অনুপম হাজরা। তার বক্তব্য কেন এত জন নেতা একসঙ্গে ইস্তফা দিয়েছেন, তা রাজ্য বিজেপির বিশ্লেষণ করা উচিত।

এদিন ফেসবুকে বিজেপি নেতা অনুপম হাজরা বলেন, কেন এতগুলি ইস্তফা একসঙ্গে, সেটা রাজ্য বিজেপির খুব গুরুত্ব সহকারে বিশ্লেষণ করা উচিত। আমি যতদূর জানি গৌরিশঙ্করবাবু একজন ভালো সংগঠক। যাদের এতদিন গুরুত্ব দেওয়া হল, তারা সব দল ছেড়ে চলে গিয়েছে। আর যারা এতদিন মাটি কামড়ে পড়ে ছিল, তাঁর ইস্তফা দিচ্ছেন।' মূলত শনিবার রাজ্যে বালিগঞ্জ বিধানসভা উপনির্বাচন এবং আসানসোল লোকসভা উপনির্বাচনে ব্যাপক ভরাডুবি হয়েছে বিজেপির। যদিও তা মানতে নারাজ দিলীপ ঘোষ-সহ শীর্ষ নের্তৃত্ব। তাঁদের দাবি, রাজ্যে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নেই। যদিও যিনি নিজেই ভোটে দাঁড়িয়ে হারলেন, আসানসোলের সেই বিজেপি প্রার্থী অগ্মিমিত্রা পাল কিন্তু বলেছেন অন্য কথা। তিনি হারটা স্বীকার করে নিয়েই প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে 'সরি' বলে জানিয়েছেন। এদিকে তৃণমূলের সংখ্যালঘু বোট কমেছে বালিগঞ্জে, সেই বিশ্লেষণে ব্যস্ত রাজ্য বিজেপির সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। যদিও শাসকদলের উপর দোষ চাপালেও অগ্নিমিত্রা, সৌমিত্র খাঁ এবং এই মুহূর্তে অনুপম হাজরার মুখ খোলায় পরিস্থিতি আরও জটিলতর হয়ে উঠেছে।

আরও পড়ুন, 'তৃণমূল থেকে শেখার আছে, বহিষ্কৃতদের এবার ফেরানো উচিত', হারের পর বিস্ফোরক সৌমিত্র খাঁ

আরও পড়ুন, 'ঠাকুমা বলত, অভাগা যেদিকে যায়, সাগর শুকায়ে যায়', শুভেন্দুকে কটাক্ষ করে স্যোশালে পোস্ট দেবাংশুর

অনুপম হাজরা আরও বলেছেন, একশ্রেণির মানুষ আছেন, যারা আমার মতো। যারা বঙ্গ বিজেপির অসময়ে বিজেপিতে যোগদান করেছে। রাস্তায় নেমে আন্দোলন করেছে। তবে সেই সময়কাল উল্লেখ করতে গিয়ে বলেছেন, যখন মানুষ ভয় পেত পশ্চিমবঙ্গে বিজেপিতে যোগ দিতে, সেই সময়কালেই তিনি গেরুয়া শিবিরে ঢুকেছেন। সময়টা মূলত রাজীব-সব্যসাচী,  কিছু অভিেতা-অভিনেত্রীদের জামাই আদর খাওয়া মানুষদের বিজেপিতে আসার অনেক আগে যোগ দিয়েছেন বলে কটাক্ষ করেন তিনি। তবে এরপরেই একটা প্রশ্ন ছুড়েছেন, যারা মূলত বলেন যে, দাদা মাঠে নামুন। আপনাদের আর আন্দোলনে দেখা যায় না। শুধুই সোশ্যাল মিডিয়ায় লেকচার দিলেই হবে। এখন এধরণের প্রশ্নের সম্মুখীন হন। কিন্তু তবু রাজ্য বিজেপি থেকে দূরে, দিল্লিতে অন্য রাজ্যে পার্টির কাজ করতেই বেশি সচ্ছন্দ বোধ করেন বলে তোপ দাগেন এদিন অনুপম। এদিকে দলের ভরা ডুবিতে ইতিমধ্যেই সৌমিত্র খাঁ বলেছেন, 'তৃণমূল থেকে অনেক কিছু শেখার আছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াই করতে আমরা ব্যর্থ হয়েছি। এৎপরেই তিনি আর ওএক ধাপ এগিয়ে বলেন, যাদের বহিষ্কার করা হয়েছিল, তাঁদের ফেরানো উচিত।' 

আরও পড়ুন, 'অজুহাত দেব না, রিগিং হয়েছে বলব না', ভোটে হেরে মোদীকে 'সরি স্যার' বললেন অগ্নিমিত্রা