সংক্ষিপ্ত
উল্লেখ্য, বাংলাদেশের দুর্গা পুজোয় সাম্প্রদায়িক হিংসায় ৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এহেন পরিস্থিতিতে সাম্প্রদায়িক হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের কাছে আব্বাস সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারের আবেদন পাঠিয়েছে বাংলাপক্ষ।
সাম্প্রদায়িক হিংসায় উস্কানি (Communal Violence)দেওয়ার অভিযোগ তুলে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায়ের (CM Mamata Banerjee ) কাছে আব্বাস সিদ্দিকীকে গ্রেপ্তারের আবেদন পাঠিয়েছে বাংলাপক্ষ (Bangla Pokkho)। উল্লেখ্য, ( Bangladesh Durga Puja Violence )বাংলাদেশে কুমিল্লার একটি পুজো প্যাণ্ডেলকে কেন্দ্র করে কোরানের অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ ওঠে। তারপরই ওই পুজো মণ্ডপে ঢুকে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায়। তারপর হামলা চলে বাংলাদেশের ইসকনেও। ইতিমধ্য়ে হিংসায় অসংখ্য হিন্দু গুরুতর জখম এবং ৬ জন প্রাণ হারিয়েছেন। এহেন পরিস্থিতিতে 'প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিষয়কে টেনে এনে এই বাংলার মাটিকেও অশান্ত করার অপচেষ্টা হচ্ছে' বলে ভাইজান (f Abbas Siddiqui) আব্বাস সিদ্দিকির বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলেছে বাংলাপক্ষ (Bangla Pokkho )।
আরও পড়ুন, 'খোদ পশ্চিমবঙ্গের দুর্গা প্রতিমা ভাঙা হয়েছে', পুজোয় হিংসার ইস্যুতে বিস্ফোরক দিলীপ-শুভেন্দু
একুশের নির্বাচনের সময় বাম-কংগ্রেসের ধর্ম নিরপেক্ষ জোটের অংশ ছিল আব্বাসের আইএসএফ। যদিও ভাইজানের ধর্মনিরপেক্ষতা নিয়ে প্রশ্ন ছিলই বাম-কংগ্রেসের। আর এবার আব্বাস সিদ্দিকীর বিরুদ্ধে সরাসরি সাম্প্রদায়িক হিংসায় উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ তুলেছে বাংলাপক্ষ সংগঠন। বাংলাপক্ষের তরফে লেখা মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো চিঠিতে বলা হয়েছে, 'সম্প্রতি সামাজিক মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওবার্তায় দেখা যাচ্ছে, মৌলবাদী রাজনীতিবিদ আব্বাস সিদ্দিকী তীব্র আক্রমণাত্মক সাম্প্রদায়িক বক্তব্য রাখছে। দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে প্রতিবেশী রাষ্ট্রে যে সাম্প্রদায়িক উত্তেজনা তৈরী হয়েছে, আমাদের পশ্চিমবঙ্গ তা থেকে সুরক্ষিত আছে। এখানকার বাঙালি নিজেদের অসাম্প্রদায়িক চরিত্র বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে ধর্ম নির্বিশেষে। বিগত বিধানসভা নির্বাচনে তার প্রমাণ আমরা পেয়েছি।বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রতিবেশী রাষ্ট্রের বিষয়কে টেনে এনে এই বাংলার মাটিকেও অশান্ত করার অপচেষ্টা হচ্ছে। বাঙালি বিরোধী বহিরাগত অপশক্তি যারা ধর্মের ভিত্তিতে বাঙালিকে ভাগ করতে চায়, তারা এইসব উস্কানির মদতদাতা।' মুখ্যমন্ত্রীকে পাঠানো বাংলাপক্ষের তরফে চিঠিতে আরও লেখা হয়েছে যে, 'আপনার কাছে বিনীত আবেদন অবিলম্বে এদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা অবলম্বন করুন। আব্বাসের মতো মৌলবাদীরা সখ্যাগুরু ধর্মীর মৌলবাদীদের ভিত মজবুত করে। পশ্চিম বাংলার অসাম্প্রদায়িক, মৌলবাদ বিরোধী চেতনা আপনার হাতে সুরক্ষিত থাকবে বলেই বিশ্বাস করি। এছাড়াও যে কোন ধর্মের যে কেউ ধর্মীয় সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়ালে সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার করে কঠোর আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানাই। জয় বাংলা।'
আরও পড়ুন, বাংলাদেশে হিংসার আগুন ছড়িয়ে মৃত্য়ু আরও ২ জনের, গঠিত তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি
প্রসঙ্গত, বাংলাদেশে এই ঘটনার সূত্রপাত কুমিল্লার একটি পুজো প্যাণ্ডেলকে কেন্দ্র করে। সোশ্যাল মিডিয়ায় কুমিল্লার ওই পুজো কমিটির বিরুদ্ধে কোরানের অবমাননা করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। তারপরই ওই পুজো মণ্ডপে একদল দুষ্কৃতী হামলা চালায় বলে অভিযোগ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে ব্যর্থ হয় বাংলাদেশের পুলিশ। কুমিল্লার হিংসার ঘটনার পরই চাঁদপুরের হাজিগঞ্জ চট্টগ্রাম ও বাংশখালি ও কক্সবাজারের পেকুয়া মন্দির এলাকাতে ভাঙচুর ও তাণ্ডবের ঘটনা ঘটে। তারপরেও থামেনি হিংসা। তাণ্ডবলীলা চলে বাংলাদেশের ইসকনের মন্দিরে। শনিবার নোয়াখালির চৌমুহনীতে ইসকন মন্দিরে প্রায় ৫০০ জন দুষ্কৃতী হামলা চালিয়েছে। এরপর মন্দির সংলগ্ন পুকুরের কাছ থেকে প্রান্ত চন্দ্র নমোদাস নামের এক যুবকের দেহ উদ্ধার হয়। এই হিংসার ঘটনায় জখম হয়েছেন ৩০ জন। পুলিশ সূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই বাংলাদেশে এই হিংসার ঘটনার ৬ জনের মৃত্যু হয়েছে।
আরও দেখুন, বিরিয়ানি থেকে তন্দুরি, রইল কলকাতার সেরা খাবারের ঠিকানার হদিশ
আরও দেখুন, কলকাতার কাছেই সেরা ৫ ঘুরতে যাওয়ার জায়গা, থাকল ছবি সহ ঠিকানা
আরও দেখুন, মাছ ধরতে ভালবাসেন, বেরিয়ে পড়ুন কলকাতার কাছেই এই ঠিকানায়
আরও পড়ুন, ভাইরাসের ভয় নেই তেমন এখানে, ঘুরে আসুন ভুটানে