সংক্ষিপ্ত

  • ভোটপর্ব সাঙ্গ হতে এবার বেদের মেয়ে জোৎস্না খ্যাত বাংলাদেশি অভিনেত্রী অঞ্জু ঘোষ নাম লেখালেন বিজেপিতে।
  • গত মঙ্গলবার অঞ্জু ঘোষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে সেন্ট্রাল রোডের কার্যালয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন।

ভোটের আগে প্রচারে নেমে বিপাকে পড়েছিলেন দুই বাংলাদেশি অভিনেতা। ফিরদৌস ও গাজি আব্দুন নুরকে ভিসা বাতিল করে দেশে পাঠায় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। মূলত বিজেপি কমিশনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার পরেই কড়া ব্য়বস্থা নেওয়া হয়। ভোটপর্ব সাঙ্গ হতে এবার বেদের মেয়ে জোৎস্না খ্যাত বাংলাদেশি অভিনেত্রী অঞ্জু ঘোষ নাম লেখালেন বিজেপিতে। গত মঙ্গলবার অঞ্জু ঘোষ বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের উপস্থিতিতে সেন্ট্রাল রোডের কার্যালয়ে বিজেপিতে যোগদান করেন।

আরও পড়ুন:
সুপারি কিলার ঘুম কেড়েছে, নিমতা যাবেন মমতা
বদল বঙ্গ বিজেপির স্লোগানে, রামের সঙ্গে কালী নাম উঠবে মুকুল-দিলীপদের মুখে

তবে যোগদান পর্ব মেটার পরেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এক যাত্রায় পৃথক ফল কেন? ভোটপ্রচারের সময় বাংলাদেশি নাগরিক তথা অভিনেতাদ্বয় যদি কোনও দলের হয়ে মাঠে নামতে না পারেন ভোটের পরেই বা কী করে  একজন বাংলাদেশি নাগরিক একটি ভারতীয় রাজনৈতিক দলে যোগদান করেন!

এই প্রসঙ্গে জিজ্ঞেস করা হলে অঞ্জু ঘোষ বলেন, তিনি ভারতীয় নাগরিক। সমস্ত বৈধ কাগজপত্র রয়েছে তাঁর কাছে।  তাঁর কথার সত্যতা যদিও যাচাই হয়নি।

প্রসঙ্গত এদিন অঞ্জু ঘোষের যোগদানের পরে বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, "আসল বেদের মেয়ে জোৎস্নাকে পেয়ে আমরা ধন্য।" 'আসল' শব্দটি আসলে  বিজেপি নেতার টিপ্পনী। ১৯৯৮ সালে রাজ্যের বর্তমান মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে বলেছিলেন, "উনি তো বেদের মেয়ে জোৎস্নার মত যাত্রাপালা করছেন।"  মমতাও বিঁধতে ছাড়েননি তখন। সুব্রত মুখোপাধ্যায়কে তরমুজ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। এদিন সেই অতীতের তরজার স্মৃতিটাকেই ফের ফিরিয়ে আনলেন অঞ্জু ঘোষের যোগদান পর্বে।

১৯৭২ সাল থেকে ১৯৮১ সাল একটানা চট্টগ্রামে যাত্রা ও নাটক করেন অঞ্জলি ঘোষ। বাংলাদেশে অঞ্জু কাঞ্চন জুটি সাড়া ফেলে দেয়। ১৯৮৯ সালে তোজাম্মেল হক বকুল পরিচালিত 'বেদের মেয়ে জোৎস্না' ছবিটি ঝড় তোলার পরে টালিগঞ্জেও রিমেক হয় ছবিটি। ধীরে ধীরে কলকাতায় পরিচিত হয়ে ওঠেন অঞ্জু ঘোষ। চিৎপুরের পালাতেও দীর্ঘ দিন অভিনয় করেছেন তিনি। সল্টলেকে থেকছেন দুই দশকের বেশি সময়। তবে বেশ কয়েক বছর তিনি বাংলাদেশেই থাকছিলেন।

অঞ্জু ঘোষের বিজেপিতে যোগদানে দলীয় নেতৃত্বরা স্বাভাবিক ভাবেই খুশি। কিন্তু নাগরিকত্বের প্রশ্নটা দলের মাথায় খাঁড়া হয়ে ঝুলেই রইল। উপযুক্ত প্রমাণ মজুত না থাকলে এ ক্ষেত্রে আত্মঘাতী গোল হবে। ছেড়ে কথা  বলবেন না মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, বিলক্ষণ জানেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ।