সংক্ষিপ্ত
- নিমতা কাণ্ডে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন।
- ঘুম উড়ে গিয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
নিমতা কাণ্ডে নড়েচড়ে বসেছে পুলিশ প্রশাসন। ঘুম উড়ে গিয়েছে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
সূত্রের খবর, এই দুর্ঘটনার পরে হতভম্ব হয়ে গিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। ঠিক করেছেন ঘটনাস্থলে যাবেন। বৃহস্পতিবারই নবান্নের কাজ সেরে নিমতা যাবেন মুখ্যমন্ত্রী। সেখানে তিনি গিয়ে দেখা করবেন নিহত নির্মল কুণ্ডুর পরিবারের সঙ্গে। পাশাপাশি তাঁর অন্যান্য কর্মসূচি রয়েছে।
মঙ্গলবার সন্ধ্যায় নিজের পাড়াতেই বাড়ির সামনে এলাকার কয়েকজনের সঙ্গে দাঁড়িয়ে কথা বলছিলেন নির্মলবাবু। অভিযোগ, সেই সময়ে মোটরবাইকে চড়ে হেলমেট পরা দুই দুষ্কৃতী সেখানে আসে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তারা নির্মলবাবুর মাথা লক্ষ্য করে গুলি চালায়। রক্তাক্ত অবস্থায় মাটিতে পড়ে যান ওই তৃণমূল নেতা। সঙ্গে সঙ্গেই এলাকা ছেড়ে পালায় দুই দুষ্কৃতী।
দ্রুত নির্মলবাবুকে উদ্ধার করে বেলঘড়িয়ার একটি নার্সিং হোমে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে তাঁকে সাগর দত্ত মেডিক্যাল কলেজ এবং হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। ঘটনার জেরে এলাকায় উত্তেজনা ছড়ায়। নিমতা থানার পুলিশ গিয়ে ঘটনার তদন্ত শুরু করে। এ ছাড়াও ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেট থেকেও পুলিশ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন।
তৃণমূলের স্থানীয় নেতৃত্বের অভিযোগ, এই হত্যাকাণ্ডের পিছনে বিজেপি রয়েছে। গুলি চালিয়ে এলাকা ছাড়ার সময় দুষ্কৃতীরা 'কাজ হয়ে গিয়েছে' বলে চিৎকার করে বলেও দাবি প্রত্যাক্ষদর্শীদের।
সুপারি কিলারের এই সাহস, নিখুঁত টিপ কার্যত ঘুম উড়িয়ে দিয়েছে প্রশাসনের। ভোট চলার সময় থেকেই রাজ্যে হিংসা চলছে। তবে এই ঘটনা সত্যি হাড় হিম করা। অপরাধীকে দ্রুত শনাক্ত না করা গেলে সেই দায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ওপরেই বর্তাবে, বিলক্ষণ জানেন মমতা। সেই কারণেই তাঁর এই তৎপরতা প্রসঙ্গত এই ঘটনায় এর মধ্যেই দুইজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ধৃত সুপারি কিলারের নাম সুজয় কুণ্ডু।