সংক্ষিপ্ত
- অনুপম হত্যায় অবশেষে দোশী সাব্যস্ত হল মনুয়া মজুমদার ও তার প্রেমিক অজিত
- রায় দিল বারাসতের ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্ট
- আজ ১১.৪০ মিনিট নাগাদ একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করা হয় অভিযুক্তদের
অনুপম হত্যায় অবশেষে দোশী সাব্যস্ত হল মনুয়া মজুমদার ও তার প্রেমিক অজিত। রায় দিল বারাসতের ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্ট। আজ ১১.৪০ মিনিট নাগাদ একাধিক অভিযোগের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করা হয় অভিযুক্তদের। মনুয়া ও অজিতকে সামনে এনে ফাস্ট ট্র্যাক কোর্টের বিচারক বৈষ্ণব সরকার জানান, ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০২ ও ১২০ বি ধারা মেনে খুনের অভিযোগে দুই অভিযুক্ত কে দোষী সাব্যস্ত করা হল।
পরকীয়া প্রেমের জন্য তাঁকে কুপিয়ে খুন করা হয়। আগামীকাল বারাসত ফার্স্ট ট্র্যাক কোর্ট সাজা ঘোষণা করবে। অনুপমের পরিবার মনুয়া ও অজিতের কঠোর শাস্তি দাবি করছেন।
অন্যদিকে, মনুয়ার আইনজীবী সুব্রত কুমার বসু জানান, এই খুনে মুল অপরাধীকে পুলিশ আড়াল করে মামলা অন্যদিকে চালিত করেছে। আমাদের আবেদন আদালতে গ্রাহ্য হয়নি। আমরা হাই কোর্টে আবেদন করব। মনুয়ার আইনজীবীর দাবি, উগ্রপন্থীদের টাকা লেনদেন করার বিষয় জেনে ফেলায় খুন হতে হয় অনুপমকে।
প্রসঙ্গত, ২০১৭ সালের ২ মে উত্তর চব্বিশ পরগণার বারাসতে নিজের প্রেমিক অজিত রায়ের সঙ্গে মিলে স্বামী অনুপম সিংকে খুনের অভিযোগ ওঠে মনুয়া মজুমদারের বিরুদ্ধে। নৃশংস এই হত্যাকাণ্ডে রীতিমতো চাঞ্চল্য ছড়িয়েছিল সাধারণ মানুষের মধ্যে। স্বামীকে যখন প্রেমিক খুন করছে, তখন ফোনে সেই আর্তনাদ শুনেছিলেন স্ত্রী মনুয়া। এই খুনের তেরো দিনের মাথায় মনুয়া এবং অজিতকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে ৩০২ ধারায় খুন এবং ১২০ বি ধারায় ষড়যন্ত্রের অভিযোগ আনে পুলিশ।
প্রায় তেইশ মাস ধরে এই মামলার শুনানি চলে বারাসত আদালতে। আদালতে শুনানি শুরু হওয়ার পরে অভিযুক্ত মনুয়া এবং অজিতের উপরে হামলাও চালায় ক্ষুব্ধ জনতা। তদন্ত চলাকালীন একের পর এক চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এসেছিল। তদন্ত শেষ করে আদালতে ৪৬৯ পাতার চার্জশিট জমা দিয়েছিল পুলিশ। ঘটনার প্রায় ছাব্বিশ মাস পরে এ দিন মামলার রায়দানের কথা ছিল।
অবশেষে আজ, ২৫ জুলাই দোষী সাব্য়স্ত করা হল অভিয়ুক্ত স্ত্রী মনুয়া ও তার প্রেমিক অজিত রায়কে। আগামী কড়া আদালত কড়া শাস্তি ঘোষণা করবে, এই দাবি করছে অনুপমের পরিবার।