সংক্ষিপ্ত
- 'বেঙ্গল কেমিক্যাল'-এই এবার তৈরি হবে করোনার জন্য় ওষুধ
- মাসে দেড় কোটি ওষুধ তৈরি করতে পারবে 'বেঙ্গল কেমিক্যাল'
- ওষুধ তৈরির ছাড়পত্র পেলেও, কাঁচামালের সমস্যা রয়েই যাচ্ছে
- কাঁচামাল আনতে মুম্বই-আমেদাবাদে যেতে হবে, লাগবে অনুমতি
রাজ্যেই তৈরি হবে এবার করোনার ওষুধ। করোনা রুখতে 'বেঙ্গল কেমিক্যাল'কে হাইড্রোক্সিক্লোরোকুইন তৈরির ছাড়পত্র দিল রাজ্য ড্রাগ কন্ট্রোল। জানা গিয়েছে, মাসে দেড় কোটি ওষুধ তৈরি করতে পারবে 'বেঙ্গল কেমিক্যাল'।
আরও পড়ুন, পরাণমুখ সবুজ-নালি ঘাসে ঢাকা পড়েনি মানবিকতা, লকডাউনে এক অন্য কাহিনি লিখছে গলফগ্রিন.
জানা গিয়েছে, এতদিন বেঙ্গল কেমিক্যালস ম্যালেরিয়ার ওষুধ ক্লোরোকুইন ফসফেট ২৫০ তৈরি করত। এবার করোনার ওষুধও তৈরি করবে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় নির্মীত এই প্রতিষ্ঠানটি। তবে ওষুধ তৈরির ছাড়পত্র পেলেও, কাঁচামালের সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। মুম্বই, আমেদাবাদ থেকে আনতে হবে কাঁচামাল। আর এরজন্য সরকারের সাহায্য লাগবে। তবে এক্ষেত্রে, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন ও ক্লোরকুইন ফসফেটের রাসায়নিক গঠন একই। হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন শুধু অতিরিক্ত হাইড্রক্সি যুক্ত। উল্লেখ্য, ম্যালেরিয়ার ওষুধ হিসেবে ক্লোরকুইন ফসফেট ২৫০ তৈরি করলেও হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন তৈরি করার অনুমতি বেঙ্গল কেমিক্যালসের ছিল না। এবার সেই অনুমতিও মিলে গেল। ফলে এবার রাজ্যেই তৈরি হতে চলেছে করোনার ওষুধ হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন। চিকিৎসকেরাও বলছেন, করোনার চিকিৎসার জন্য আপাতত এই ওষুধকেই সবচেয়ে বেশি ভরসা করা হচ্ছে। সেই ওষুধ তৈরি করার জন্যই স্টেট ড্রাগ কাউন্সিলের কাছে অনুমতি চেয়েছিল বেঙ্গল ক্যেমিক্যাল।
আরও পড়ুন, রাজ্য়ে করোনা হট স্পট কোনগুলো, সন্ধান দেবে 'সন্ধানে অ্যাপ'
অপরদিকে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ভারতের কাছ থেকে হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন চেয়ে কার্যত হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন। তারপরই ২৪টি ওষুধের উপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয় ভারত। এই খবরে আবার সাধারণ মানুষের মনে সংশয় তৈরি হয়েছে এই ভেবে যে, আমেরিকাকে ওষুধ দিলে দেশবাসীর জন্য ওষুধের ঘাটতি পড়তে পারে। তবে এই উদ্বেগ সরিয়ে ফেলা যাক। কারণ, বেঙ্গল কেমিক্যালসে প্রস্তুত ক্লোরোকুইন ফসফেট এবং সালফেটের ট্যাবলেট হাইড্রক্সিক্লোরোকুইনের মতই কার্যকর এক্ষেত্রে। অবশ্য এই পরিস্থিতিতে শুধু আমেরিকাকে নয়, সার্কভুক্ত যে কোনও দেশকেই ওষুধ দিয়ে সাহায্য করতে হচ্ছে ভারতকে। ম্যালেরিয়ার নিরাময়কারী কুইনাইনের উৎস এই বাংলা, দার্জিলিংয়ের মংপু। এখানকার সিঙ্কোনা গাছের ছাল কাজে লাগিয়ে গবেষণাগারে কুইনাইনের যৌগ তৈরি করা হয়। সেই যৌগ থেকে প্রস্তুত হয় ট্যাবলেট। তাই এই পরিস্থিতিতে দরকার প্রচুর পরিমাণ ওষুধ।
এনআরএস-র আরও ৪৩ জন স্বাস্থ্য কর্মীর রিপোর্ট নেগেটিভ, স্বস্তিতে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ
করোনার রোগী সন্দেহে বৃদ্ধকে বেধড়ক মার, স্যালাইনের চ্যানেল করা হাতে দড়ি পড়ালো মানিকতলাবাসী
করোনায় আক্রান্ত এবার কলকাতার ২ ফুটপাথবাসী, হোম কোয়ারেন্টাইনে উদ্ধারকারীরা