সংক্ষিপ্ত
পুরভোটের টিকিট না পেতেই অভিমানী বিলকিস বেগম বাম শিবির থেকে সরাসরি যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে। শনিবার পুর প্রশাসক তথা এই পুরভোটের প্রার্থী ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরে তৃণমূলে নাম লেখালেন তিনি।
দলের সঙ্গে দূরত্ব বাড়ছিল বেশ কিছুদিন ধরেই। অবশেষে পুরভোটের টিকিট না পেতেই অভিমানী বিলকিস বেগম(bilkis begum) বাম শিবির থেকে সরাসরি যোগ দিলেন ঘাসফুল শিবিরে। শনিবার পুর প্রশাসক তথা এই পুরভোটের প্রার্থী(Municipal polls) ফিরহাদ হাকিমের(Firhad Hakim) হাত ধরে তৃণমূলে নাম লেখালেন তিনি। তবে তৃণমূলে(TMC) যোগদান প্রসঙ্গে বিতর্কের মাঝে দাঁড়িয়ে ভাঙলেন তবু মচকালেন না পুরসভার এই বিদায়ী কাউন্সিলর। তাঁর দাবি তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দোপাধ্যায়ের(CM Mamata Banerjee) কাজে মুগ্ধ হয়েই তিনি ঘাসফুল শিবিরে নাম লিখিয়েছেন। ৭৫ নম্বর ওয়ার্ডের সিপিএম কাউন্সিলর ছিলেন বিলকিস।
এদিকে এদিন তার তৃণমূলে যোগদান পর্বটিও ছিল বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। ২০১৮ সালে পুর আইন সংশোধন করে যখন মেয়র পদে ফিরহাদ হাকিমকে বসানো হয়, সেসময় বিলকিস বেগমই কলকাতা হাই কোর্টে এর বিরোধিতায় মামলা দায়ের করেছিলেন। এদিন সেই ফিরহাদ হাকিমের হাত ধরেই তৃণমূলে নাম লেখালেন তিনি। বিলকিস যে ওয়ার্ডের বিদায়ী কাউন্সিলর সেই ৭৫ নম্বরে এবার সিপিএমের প্রার্থী হয়েছেন ফৈয়াজ আহমেদ খান। বিলকিস অনুগামীদের একাংশের দাবি, জেতা প্রার্থীকেও যে দল টিকিট দেবে না তা ভাবতেও পারছেন না তাঁরা। আর সেই কারণেই দল ছাড়ার কথা ভেবেছেন বিলকিস।
আরও পড়ুন- দাপট বাড়ছে রত্নার, শোভনের ওয়ার্ডে টিকিট পেতেই বাড়ি ছাড়তে নোটিশ বৈশাখীর
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ২০১৫ সালে এই ওয়ার্ডে বামেদের মুখ ছিলেন বিলকিস। ওয়ার্ডে নিজের সংগঠনও পোক্ত করেছেন বলেই স্থানীয়দের দাবি। গত পুরভোটে কলকাতা পুরসভায় তৃণমূলের দাপটেও কাস্তে-হাতুড়ি-তারা শিবিরের লড়াকু মুখেদের মধ্যে একজন ছিলেন তিনি। কিন্তু তারই এই ভোলবদলে অবাক হচ্ছেন অনেকে। তবে রাখঢাক না রেখেই বিলকিসের দাবি, টিকিট না পাওয়ার উষ্মা তো রয়েছেই, একই সঙ্গে তিনি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজে এতটাই অনুপ্রাণিত যে দলত্যাগের সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। এমনকী এতে তার কোনও আক্ষেপও নেই বলে দাবি করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন- রেলের সাইট হ্যাক করে ট্রেনের টিকিট জাল, বড়সড় প্রতারণা চক্রের পর্দা ফাঁস RPF-র
এদিকে মোট ১৪৪টি আসনের মধ্যে শুক্রবার বামেরা ১২৭টি আসনে প্রার্থী তালিকা ঘোষণা করে। বামেদের ১২৭ জন প্রার্থীর মধ্যে ৫৮ জন মহিলা এবং ১৮ জন সংখ্যালঘু প্রার্থী আছেন। তবে এবারের তালিকায় রয়েছে প্রচুর নতুন মুখ। বাম প্রার্থীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ প্রার্থীর বয়স ৫০ বছরের কম। তবে যুব ফ্রন্ট থেকে একাধিক নেতা জায়গা পেলেও তা হাতেগোনা। বর্তমান সময়ে মূলত বাম লড়াইয়ের সঙ্গে যুক্ত ব্যক্তিদেরই মূলত জায়গা দেওয়া হয়েছে বেশি। ১৭টি আসন ছেড়ে রাখা হয়েছে বিজেপি-তৃণমূল বিরোধী শক্তির জন্য। সহজ কথায় জোটের রাস্তা এখনও খোলা রয়েছে কংগ্রেস আইএসএফের জন্য।