সংক্ষিপ্ত

বাংলার রাজনৈতিক সংষ্কৃতি নিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা গেল বিজেপি নেতা অর্জুন সিংকে।

চলতি বছরে বিধানসভা নির্বাচনের(assembly election) আগে গুলিবিদ্ধ হয়েছিলেন তৃণমূল (Trinamool Congress) নেতা মহরম শেখ। কিন্তু সেবার তিনি প্রাণে বেঁচে যান। কিন্তু এবার ফের শনিবার সন্ধ্যায় দলীয় কার্যালয় থেকে বাড়ি ফেরার পথে ১ নম্বর ব্লকের সাতমুখী ব্লকে মহরম (৩২)-কে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। আর তার পরেই যমে-মানুষে টানাটানির পর মৃত্যু হয় তার। এই ঘটনা নিয়েই এখনও চলছে রাজনৈতিক তর্জা। এমতাবস্থায় এবার বাংলার রাজনৈতিক সংষ্কৃতি নিয়ে চাঁচাছোলা ভাষায় আক্রমণ শানাতে দেখা গেল বিজেপি(BJP) নেতা অর্জুন সিংকে(Arjun Singh)।

এদিকে মহরমের মৃত্যুর পিছনে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বই রয়েছে বলে আগেই অভিযোগ করেছে বিরোধীরা। যদিও তা অস্বীকার করেছে শাসকদল। হামলার পিছনে জড়িতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে তৃণমূল। কিন্তু অর্জুনের দাবি, বাংলায় বর্তমানে যে নোংরা রাজনীতি করছে শাসকদল তাতে ভাগ বাটোয়ারা নিয়ে ঝগড়া হবে, গুলিতে চলবে, বোমবাজি হবে, খুন হবেই! সমস্ত ঘটনার ক্ষেত্রেই আমরা দেখছি আগে মিডিয়া পৌঁছে যাচ্ছে কিন্তু পুলিশ পৌঁছাচ্ছে না, প্রশাসন কোথায়?”

আরও পড়ুন- ত্রিপুরায় ‘আক্রমণের’ নাট্য রূপান্তর, প্রতিবাদীদের পরিচয় নিয়ে ধোঁয়াশা তৃণমূলের অন্দরেই

এখানেই না থেমে তিনি আরও বলেন,এই লড়াইটা মূলত ৫০ হাজার ও ৫ হাজারের লড়াই। কে কত বেশি খাবে তাই নিয়ে যত ঝামেলা। একজন বেশি টাকা লুটেপুটে খাচ্ছে একজন কম টাকা লুটেপুটে খাচ্ছে! আর শুধুমাত্র বিরোধীদের মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হচ্ছে। এটাই এখন প্রশাসনের কাজ! রাজ্য সরকারের সমস্ত নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতির ছেয়ে গেছে, সে কর্পোরেশনের নিয়োগ ক্ষেত্রেই হোক আর পুলিশে ভর্তির ক্ষেত্রে হোক সর্বত্র দুর্নীতি! আপনি যেখানেই যাবেন শুধু দুর্নীতিই দেখতে পাবেন।যদিও অর্জুনের এই মন্তব্যের পর কোনও পাল্টা প্রতিক্রিয়া দিতে দেখা যায়নি তৃণমূলের তরফে।

আরও পড়ুন- বাবার হাতেই যৌন নির্যাতনের শিকার নাবালিকা, প্রতিবেশীর সহায়তায় গ্রেফতার কাকাও

এদিকে ত্রিপুরায় পুরভোট পিছানোর দাবি নিয়ে ইতিমধ্যেই সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিল তৃমমূল কংগ্রেস। কিন্তু সেখানও খায় বড় ধাক্কা। শীর্ষ আদালত সাফ জানিয়ে দেয়, পূর্ব নির্ধারিত সূচি মেনে আগামী ২৫ নভেম্বরই হবে ত্রিপুরার পৌরসভা নির্বাচন। এই প্রসঙ্গে অর্জুন সিং বলেন, মানুষকে দেখিয়ে নাটক করার জন্য ওরা সব করতে পারে। বাংলার সমস্ত ক্রিমিনালকে আমদানি করে মাথাপিছু ৫ হাজার টাকা করে দিয়ে ত্রিপুরা নিয়ে যাচ্ছে মমতার দল। ত্রিপুরা একটা শান্ত জায়গা, সেখানে সিন্ডিকেট রাজ কায়েম করার চেষ্টা করছে তৃণমূল।