সংক্ষিপ্ত
'ত্রিপুরায় কিছু আছে আর তৃণমূলের, কী করতে যাচ্ছে আবার', রবিবার অভিষেকের ত্রিপুরা সফর ঘিরে তোপ দিলীপের। এদিন দুয়ারে সরকার ইস্যুতে মমতা নিশানা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি।
'ত্রিপুরায় কিছু আছে আর তৃণমূলের, কী করতে যাচ্ছে আবার', রবিবার অভিষেকের ত্রিপুরা (Abhishek Banerjee visits Tripura)' সফর ঘিরে তোপ দিলীপের। এদিন দুয়ারে সরকার ইস্যুতে মমতা নিশানা করলেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি। কোভিড ইস্যু নিয়ে তোপ দাগতে ছাড়লেন না তিনি (BJP Leade Dilip Ghosh)।
রবিবার ত্রিপুরা সফরে রয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।উল্লেখ্য,রবিবার একাধিক কর্মসূচি রয়েছে তৃণমূলের যুবারাজের। ২ জানুয়ারি থেকে ৩ জানুয়ারি ত্রিপুরায় থাকবেন অভিষেক। পুরভোটে আক্রান্ত দলীয়কর্মীর বাড়ি যাবেন অভিষেক। প্রসঙ্গত, ২০২৩-এর বিধানসভা নির্বাচনে ত্রিপুরার দিকে নজর তৃণমূলের। আর এবার অভিষেকের সফর নিয়ে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে এসে বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি দিলীপ ঘোষ বলেন, 'ত্রিপুরায় কিছু আছে আর তৃণমূলের, কী করতে যাচ্ছে আবার। ত্রিপুরার লোক বুঝিয়ে দিয়েছেন এরকম পার্টি ত্রিপুরায় চলবে না।'
আরও পড়ুন, নতুন বছরের শুরুতেই আজ ত্রিপুরা সফর অভিষেকের, জানুন তৃণমূলের যুবরাজের রবিবারের কর্মসূচি
রাজ্যের স্বাস্থ্য দফতরের বুলেটিনের রিপোর্ট অনুযায়ী, গত ৬ দিনে দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ৬ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। রাজ্যে একদিনে আক্রান্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৫১২ জন। এরপরে লাগামছাড়া সংক্রমণে রাজ্যে আংশিক লকডাউনের সম্ভাবনা দেখা যাচ্ছে। এই নিয়ে তিনি বলেন, 'যেভাবে বাড়ছে করোনা। কয়েক গুণ বেড়ে গিয়েছে। সারা দুনিয়া জুড়ে বাড়ছে। অনেকে অনেকরকম কথা বলছে। তবে করোনা কেন ছড়াচ্ছে কীভাবে আটকানো যাবে কেউ ঠিক মতো বলতে পারছে না। সাবধানতা অবলম্বন করতে সবাইকে বলা হয়েছে। সকলকে সাবধান থাকা সতর্ক থাকা উচিত।'
তিনি আরও বলেন, 'যেভাবে কয়েকদিন ধরে দেখলাম ভিড় রাস্তা ঘাটে পার্কে। ভিড় তো ভিড় সেটা হ্যান্ডল করা কারো হাতে থাকে না। কিন্তু যাতে অত্যাধিক ভিড় না হয় সেটা প্রথম থেকে মেনে করা উচিত ছিল। স্বাভাবিক ভাবে মানুষ বেরোতে পারেননি দেড় দুবছর ধরে সুযোগ পেয়ে বেরিয়ে পড়েছেন। দু চারদিন পর বোঝা যাবে প্রতিক্রিয়া কি হয়। এরফলে সংক্রমন হচ্ছে কি না তার এক্সপেরিমেন্ট করার সুযোগ থাকবে। তার পর থেকে সরকারের বিবেচনা করা উচিত। চারদিকে ইলেকশন শুরু হয়েছে। উৎসব চলছে। করোনা বাড়ছে। যথা সময়ে সাবধানতা যদি না নেওয়া হয় মহামারীর রূপ নিতে পারে।'
অভিষেকের ত্রিপুরার কর্মসূচি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, 'এখন মসজিদের ব্যাপারটা হয়ে গিয়েছে। এখন মন্দির শুরু হয়েছে। এভাবে এক একটা গ্রুপকে খুশি করার চেষ্টা করছেন। যেটা করা উচিত পশ্চিমবাংলার ডেপপ্লোমেন্ট করা উচিত যাতে লোক বাইরে না যা কাজ কর্মের জন্য সেটা দেখা উচিত। লোক ভোট দিয়ে জিটিয়েছে। ধীরে ধীরে প্রকল্প বন্ধ করে দিচ্ছেন। দুয়ারে সরকার বন্ধ করে দিচ্ছেন করোনা দেখাচ্ছেন আসলে টাকা নেই। বিনা প্ল্যানিংয়ে যদি এরকম প্রোগ্রাম নেন তাহলে এরকম পরিস্থিতি হবে।' তিনি আরও বলেছেন, ' দুবছর ধরে মোদি সরকার ফ্রী তে রেশন খাইয়েছেন এখন বন্ধ হয়ে যাচ্ছে। মমতা বন্দ্য়োপাধ্যায় লোককে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। এবার ভাবুন কীভাবে দেবেন। অভিষেকের কর্মসূচি প্রসঙ্গে দিলীপ বলেন, বিজেপি সাফল্য পেয়েছে সারা দেশে। ওনারা মনে করছেন এটাই রেসিপি তাই ফলো করছেন। ভালো কথা যদি বিজেপিকে ফলো করে বিজেপির মতো ভালো হওয়ার চেষ্টা করে তাহলে পশ্চিম বাংলায় হিংসা আর দুর্নীতি বন্ধ হবে।'