সংক্ষিপ্ত
'রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে তো রাজ্য সরকারই চালায়', কমিশন পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি করতেই তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ। 'তাহলে আর কোর্ট-কাছারির অর্থ কী ',বলে শুক্রবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে প্রশ্ন ছুড়েছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি ।
'রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে (WB Election Commission) তো রাজ্য সরকারই (WB Govt) চালায়', কমিশন পুরভোটের ( Kolkata Municipal ELection 2021) বিজ্ঞপ্তি জারি করতেই তোপ দাগলেন দিলীপ ঘোষ। 'তাহলে আর কোর্ট-কাছারির অর্থ কী ',বলে শুক্রবার প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে প্রশ্ন ছুড়েছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি ( BJP Leader Dilip Ghosh)।
এদিন প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে দিলীপ বলেছেন, 'কলকাতায় পুরভোট জেতা তৃণমূলের কাছে একটা চাপের বিষয়। ওরা ভাবছে যেকরে হোক কলকাতা জিততে হবে। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে চালায় রাজ্য সরকার। সেই কারণেই আদালতে মামলা চলেছে, শুনানি হচ্ছে, এদিকে নির্বাচন কমিশনকে দিয়ে ভোট ঘোষণাও করা হয়ে গিয়েছে। তাহলে আর কোর্ট-কাছারির অর্থ কী ',বলে প্রশ্ন ছুড়েছেন বিজেপির সর্ব ভারতীয় সহ সভাপতি। উপনির্বাচন ঘিরে আইনি জটিলতার প্রসঙ্গ তুলে তিনি এদিন বলেন,' গতবার উপনির্বাচনে ভাগাভাগি নিয়ে আদালতে গেল, আদালত বলল এখন ভোট ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। আর কিছু করার নেই। এখন ভোট ঘোষণার আগে আদালতে গিয়েছে, তারপরেও কোর্টের শুনানি হতে হতে ভোটোের দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে গেল। এমনকী এত তাড়াহুড়ো রিপোলিংয়ের জন্য সময় রাখাই হয়নি। কাউন্টিং করে রাতারাতি সব গুছিয়ে ফেলতে হবে। তৃণমূলের যে একটা রয়েছে, তা বোঝাই যাচ্ছে।'
প্রসঙ্গত, ১৯ ডিসেম্বরই পুরভোট কলকাতায়, বিজ্ঞপ্তি জারি করল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। বিজ্ঞপ্তি জারির সঙ্গে সঙ্গেই জারি হয় আদর্শ আচরণ বিধি। বৃহস্পতিবার থেকেই কলকাতা পুরভোটের মনোনয়ন জমার কাজ শুরু হওয়ার কথা জানানো হয়। ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা পুরসভার ১৪৪টি ওয়ার্ডে ভোটগ্রহণ করা হবে। তবে হাওড়ায় পুরভোটের বিজ্ঞপ্তি জারি হয়নি। ১৯ ডিসেম্বর হাওড়ায় পুরভোট হবে কিনা, তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। যদিও একই দিনে হাওড়া ও বালিতেও পুরভোট চেয়েছিল রাজ্য সরকার। তবে হাওড়া পুরসভা সংশোধনী বিল ২০২১, যএ বিলে হাওড়া পুরসভা থেকে বালিকে পৃথক পুরসভা করার প্রস্তাব বিধানসভায় গৃহীত হয়েছে, সেই বিলে সেই বিলে এখনও সই করেননি রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। পুরভোট নিয়ে ইতিমধ্য়েই নির্বাচন কমিশনকে কড়া বার্তা দিয়েছেন রাজ্যপাল। রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে নিরপেক্ষ এবং কার্যকরী ভূমিকা পালন করতে হবে। রাজ্য সরকারের শাখা হিসেবে কাজ করলে চলবে না। তাঁদের কথা মতো চললেও হবে না বলে জানিয়েছেন রাজ্যপাল।
উল্লেখ্য, ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা এবং হাওড়া পুরসভার ভোট প্রথম থেকেই একদিনে করতে চেয়েছিল রাজ্য সরকার। নবান্নের প্রস্তাবে সম্মতিও দিয়েছিল রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এরপরেই ১৯ ডিসেম্বর কলকাতা ও হাওড়া পুরভোটের দিনক্ষণ মোটের উপর স্থির হয়। আর ২২ ডিসেম্বর ফল প্রকাশ করা হবে বলে জানানো হয়েছিল। উল্লেখ্য, এদিকে মেয়াদ শেষ হলেও রাজ্যে ২০১৮ সালের পর থেকে পুরভোট হয়নি। রাজ্যোর মোট ১১৬ টি পুর নিগম এবং পুরসভার ভোট বাকি রয়েছে। তারই মাঝে বেঁকে বসে বিজেপি। কেন রাজ্য সব পুরসভায় একসঙ্গে ভোট হচ্ছে না, প্রশ্ন তুলে আদালতের দ্বারস্থ হয় বিজেপি।